সেন্ট্রাল কলোনির পুজো মন্ডপ 

থাইল্যান্ডের মন্দিরের আদলে যক্ষপুরী থিম সেন্ট্রাল কলোনির পুজোতে

শিলিগুড়ি : এদেশ থেকে কম খরচে ঘোরার জন্য অন্যতম পছন্দসই দেশ হল থাইল্যান্ড। এবার শিলিগুড়িতে পুজোয় তৈরি করা হচ্ছে সেই থাইল্যান্ডের একটি মন্দির।

এনজেপি সেন্ট্রাল কলোনির এবার থিম ‘‌যক্ষপুরী’‌। শিলিগুড়ির বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এনজেপি সেন্ট্রাল কলোনির পুজো। থাইল্যান্ডের মন্দিরের অনুকরণে এই মণ্ডপ এবার তৈরি করছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী মেদিনীপুরের গৌরাঙ্গ কুইল্যা।

এক মাসের বেশি সময় ধরে প্রায় দিন রাত কাজ করে তিনি তৈরি করেছেন মন্ডপ। আর থাইল্যান্ডের এই মন্দির দেখতে ভিড় করছেন শহরবাসী।

আরও পড়ুন- চূড়ান্ত আরসিবির ৫ জনের রিটেনশন তালিকা! বাদ এক ঝাঁক তারকা? কারা থাকছে তাহলে

সেন্ট্রাল কলোনির এবার ৬২তম বছরের পুজো। প্রতিবারই সেন্ট্রাল কলোনি একটা বিশেষ জায়গা করে নেয়। দর্শনার্থীরা একবারের জন্য হলেও এই মণ্ডপে আসবেন। অনেকের কাছে এই মণ্ডপ না দেখলে অসম্পূর্ণ থেকে যায় শিলিগুড়ির পুজো দেখা। আর এতেই ভিড় বাড়তে থাকে পুজোর কদিন।

এমনও হয় যে কোনও বার বাড়তি দিনের জন্য মণ্ডপ রাখতে হয় দর্শনার্থীদের জন্য। এবারও চোখ ধাঁধানো মণ্ডপ। বাজের প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা।

আরও পড়ুন- কেকেআরে জায়গা পাকা! রাসেলের মতই বিধ্বংসী! ফিনিশার নিয়ে চিন্তামুক্ত নাইটরা

উদ্যোক্তাদের কথায়, এই যক্ষপুরীর থিমের ভাবনার কারণ, সমাজ অবক্ষয়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মানবিক ও সামাজিক চেতনার বৈশিষ্ট্যগুলি ক্রমশ যেন অবলুপ্ত হয়ে চলেছে।

যক্ষ যেমন তার ধন আগলে রাখেন, এখানে সেরকম যক্ষপুরীর মধ্য দিয়ে অবক্ষয় থেকে মানবিক ও সামাজিক চেতনার বৈশিষ্ট্যকে আকড়ে ধরে রাখার আবেদন জানানো হচ্ছে। যক্ষের মতোই মূল্যবোধের চেতনা ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে হবে।

এই পুজো কমিটির সম্পাদক পার্থ দে বলেন, ‘‌এই পুজো মণ্ডপে এত কারুকাজ করা হয় যে দর্শনার্থীরা চোখ ফেরাতে পারেন না। পাশাপাশি, এখানে পুজোর কদিন মেলা বসে।

এখানে শিলিগুড়ির বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষ পুজো দেখতে আসেন। “আলিপুরদুয়ার থেকে ঘুরতে আসা রিতা ছেত্রী বলেন যে এখনো পর্যন্ত শিলিগুড়ির পুজো গুলির মধ্যে এই পূজাটি আমাদের দারুন লেগেছে পুজোর কদিন দারুন চুটিয়ে আনন্দ করব।’

অনির্বাণ রায়