বিপ্লবীর বসতভিটা 

West Medinipur News: এঁকেছিলেন ভারতের জাতীয় পতাকার স্কেচ, একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন বিপ্লবীর বসতভিটা থেকে… আজও রয়েছে ইতিহাসের ঘ্রাণ

পশ্চিম মেদিনীপুর: বিপ্লবের মাটি মেদিনীপুর। শত বিপ্লবীর জন্ম, স্বাধীনতা আন্দোলন, সব এই মেদিনীপুরের মাটিতেই। শহীদ ক্ষুদিরাম থেকে হেমচন্দ্র কানুনগো, সবার জন্ম মেদিনীপুরেই। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের আলিপুর বোমা মামলা, যার তৈরি বোমা, জানেন সেই হেমচন্দ্র কানুনগোর জন্ম কোথায়? মেদিনীপুর জেলায় রয়েছে এখনও তার স্মৃতি বিজড়িত মাটির ঘর। সেই বসতভিটে থেকে ঘুরে আসুন একবার। জানবেন বিপ্লবীর নানা কর্মকাণ্ডের কথা।

হেমচন্দ্র দাস কানুনগো এই বাড়িতেই শেষ বয়স কাটিয়েছেন। এই বাড়িতেই রয়েছে তাঁর ইতিহাস। সামান্য মাটির একচালা বাড়ি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে রাধানগর গ্রাম। যে গ্রামে জন্ম এবং বড় হয়ে উঠা ভারতের সসস্ত্র আন্দোলনের অন্যতম বীর বিপ্লবী হেমচন্দ্র কানুনগোর। ১৮৭১ সালে এই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। যোগ দিয়েছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনে। ১৯০২ সাল নাগাদ বিপ্লবী অরবিন্দ ঘোষ, যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসুর সঙ্গে পরিচয় হয় হেমচন্দ্রের।বুঝেছিলেন,অত্যাচারী শোষক ইংরেজকে হঠাতে গেলে প্রয়োজন নতুন অস্ত্রের। ১৯০৬ সালে তিনি অস্ত্র নির্মাণ শিক্ষার জন্য কলম্বো হয়ে ফ্রান্সে যান। ফ্রান্সে বসেই তিনি আঁকেন ত্রিবর্ন রঞ্জিত জাতীয় পতাকার প্রথম স্কেচ।

আরও পড়ুন: উল্লেখ করতে হবে দোকানদারের নাম? কানওয়াড় যাত্রার সময় যোগী সরকারের বিতর্কিত নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

নিজের তৈরি মাটির বাড়িতেই আমৃত্যু জীবন কাটিয়েছেন। এঁকেছেন নানা ছবি। ওই বাড়িতেই থাকেন হেমচন্দ্রের দত্তক পৌত্র গণপতি কানুনগো। যাঁরা ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন, ইতিহাস-বিপ্লবকে ভালবাসেন, একদিন ঘুরে দেখতে পারেন এই বসতভিটে।

রঞ্জন চন্দ