প্রতিকী ছবি

Death: এক মুহূর্তে শেষ তরতাজা প্রাণ! মাঠে যাওয়াই কাল হল, আর ফেরা হল না বাড়িতে…

বাঁকুড়া: আবারও বজ্রপাতে প্রাণ গেলও বাঁকুড়ার দুই ব্যক্তির। এ যেন রোজের একটি ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। এবার গবাদি পশুকে আনতে গিয়ে বিদ্যুতের ঝলকানিতে এক ঝলকে চলে গেল দু’দুটি প্রাণ। এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। বাড়ি ফেরা হল না কৃষকের। দুটি আলাদা আলাদা বজ্রপাতের ঘটনা। দুই পৃথক ঘটনাতেই মৃত্যু দুজনের। স্বাভাবিকভাবেই এলাকাতে শোকের স্তব্ধতা। বিষ্ণুপুরের ভালুকা গ্রামের বাসিন্দা স্বপন মান্ডি, বয়স ৫৯ এবং হেতাগোড়া গ্রামের বাসিন্দা বাবলু সরদার, বয়স ৭১!  দু’জনেই মারা যান আলাদা দুই বজ্রপাতের ঘটনায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানালেন ঠিক কি ঘটেছিল। জানা গিয়েছে যে ভালুকা গ্রামের বাসিন্দা স্বপন মান্ডি শুক্রবার সন্ধ্যাবেলায় মাঠের কাজ সেরে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। ততক্ষণে আরম্ভ হয়ে গিয়েছিল ঝিরঝির বৃষ্টি সঙ্গে বজ্রপাত। কিন্তু তখনও মাঠের হয়ে গিয়েছিল একটি গরু, এবার খোলা আকাশের নিচে সেই গরুকে আনতে গিয়ে আকস্মিক বজ্রপাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন স্বপন মান্ডি। বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে, যেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে বছর একাত্তরের বাবলু সরদার, জমিতে সবজি তুলতে গিয়েছিলেন মাথায় বৃষ্টি নিয়ে। আর তখনই বজ্রনিনাদ, মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বৃদ্ধ। তাকেও নিয়ে আসা হয় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে, যেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় বাবলু সরদারকে।

আরও পড়ুন-     বলুন তো, স্ত্রী-রা কি রাখি পড়াতে পারেন স্বামীকে? ৯৯ শতাংশই ‘এই’ ভুলটা করেন, আপনিও কি তাই করছেন? আজই শুধরে নিন…

বারংবার ঘটছে এই ঘটনা। প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার সর্তকতা জারি করা হচ্ছে। বলে দেওয়া হচ্ছে বজ্রপাত হলে মাঠে না যেতে। তবুও যেন আকস্মিক চাহিদা মেটাতে গিয়ে প্রাণ হারিয়ে ফেলছেন বাঁকুড়ার মানুষ। সচেতনতার অভাব এবং জীবন জীবিকা বাঁচাতে গিয়ে যেন একপ্রকার প্রকৃতির রোষানলে পড়ছেন তারা। তবে কি দু’মুঠো ভাতের জন্য প্রাণের বাজি রাখছেন কৃষকরা? বিক্ষিপ্ত এই দুই ঘটনায় এক প্রকার স্তব্ধ বিষ্ণুপুর।

আরও পড়ুন-     বলুন তো, স্ত্রী-রা কি রাখি পড়াতে পারেন স্বামীকে? ৯৯ শতাংশই ‘এই’ ভুলটা করেন, আপনিও কি তাই করছেন? আজই শুধরে নিন…

আবহাওয়ার ভাব গতি খারাপ। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বৃষ্টিপাত চলবে বেশ কয়েকদিন। সঙ্গে থাকছে বজ্রপাত। মাথায় বৃষ্টি এবং বজ্রপাত নিয়ে কৃষকরা চাষ করে থাকেন। এই বৃষ্টিকে ব্যবহার করে তারা ভবিষ্যতের বীজ বপন করেন। তবে কীভাবে এড়ানো সম্ভব এই বজ্রপাতের মৃত্যু এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ভেবে হয়রান সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসন।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী