কৃষ্ণনগরঃ পুলিশ সুপারের অফিস থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে যুবতীর অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার। অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কৃষ্ণনগরের রামকৃষ্ণ আশ্রম পাড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে ওই এলাকার দুর্গাপুজোর মণ্ডপের ঠিক পিছনে ওই অজ্ঞাত পরিচয় যুবতীর অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় কোতয়ালি থানায়। এরপর পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। উল্লেখ্য ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরেই পুলিশ সুপারের অফিস।
স্থানীয়দের দাবি, একাধিক পুলিশ অফিসার ও আইনজীবীর ওই এলাকায় বাস করেন। এরকম জায়গায় এমন সাঙ্ঘাতিক ঘটনা ঘটায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্য জুড়ে যখন মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন চলছে সেই সময় এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। মৃতের পরিচয় জানতে এবং কীভাবে এই ঘটনা ঘটল বা কেন তিনি এই ঘটনা ঘটালেন, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে কোতয়ালি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ আজ লক্ষ্মীপুজোয় উপোস করবেন নিশ্চই? মেনে চলুন এই ছোট্ট নিয়ম, দিনভর চাঙ্গা শরীর, ছুটে পালাবে ক্লান্তি
এদিকে, মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে স্টেটাস দেন ওই যুবতী। তাতে তিনি লেখেন, “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়”। অর্থাৎ তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান।
জানা গিয়েছে, ওই যুবতী কৃষ্ণনগর উত্তর কালীনগরের বাসিন্দা। তিনি কৃষ্ণনগর লেডি কারমাইকেল গার্লস হাই স্কুলে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল, সকালে মৃতদেহ মেলে। পরিবারের দাবি, এক যুবকের সঙ্গে প্রেম ছিল, ওই যুবকই তাঁকে ধর্ষণের পর খুন করেছে বলে দাবি পরিবারের।
সমীর রুদ্র