বাঁকুড়া: বিশাল আকৃতির পঁয়ত্রিশ ফুটের উচ্চতার কালী প্রতিমা! তৈরি হয়েছে বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের কোলি গ্রামে। কোলি মা কালী সংঘের উদ্যোগে তৈরি বিশাল আকৃতির ওই প্রতিমা যা জেলার মধ্যে এই প্রথম এত উঁচু কালী প্রতিমা।
এই প্রতিমা ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের। প্রতিমার উচ্চতা ৩৫ ফুট, কমিটির সদস্য, বাসিন্দাদের মধ্যে গভীর আগ্রহ ও উৎসাহের সৃষ্টি হয়েছে। কোলি গ্রামের মানুষজন নিজেদের উৎসাহ ও কঠোর পরিশ্রমে এই বিশাল মূর্তিটি নির্মাণ করেছেন।
আরও পড়ুন- খিচুড়ি, পোলাও, পোড়া শোল মাছ, মাংস…কী কী থাকে তারাপীঠে কালীপুজোর ভোগে? জানুন
মূর্তির নির্মাণে স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি বাইরের শিল্পীরাও অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁরা প্রতিমার সূক্ষ্ম কারুকাজে বিশেষ নজর দিয়েছেন। এ বিষয়ে শিল্পী জানান, তিনি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে প্রতিমা তৈরির প্রতি নজর দেন। দশ দিনেরও বেশি সময় নিয়ে মূর্তি তৈরি করেন। দানা ঘূর্ণিঝড়ের ফলে প্রতিমা তৈরিতে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছিল।
পুজো কমিটি সদস্যদের বক্তব্য একদিকে যেমন ৩৫ ফুটের কালী প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে, হিন্দু শাস্ত্রে দশ মহাবিদ্যা কালির যে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে আবির্ভাব তার চিত্র তুলে ধরা হবে এই পুজোমন্ডপে।
এলাকার মানুষ কালীর এই দশ মহাবিদ্যা সম্পর্কে আরও বেশি করে অবগত হতে পারবেন। দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এই কালী প্রতিমা দর্শন করতে আসবেন বলে মনে করছেন ক্লাবের সদস্যেরা, ফলে গ্রামের পরিবেশ এক উৎসবমুখর রূপ নিতে চলেছে।
সন্ধে হলেই প্রতিমা প্রাঙ্গণে আলো ও সঙ্গীতের মাধ্যমে ভক্তদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে। গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিরা বলছেন, এত বড় মূর্তি কোলি গ্রামে আগে কখনও দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন- প্রায় ৪০০ কেজি ভোগপ্রসাদ রান্না করা হয় শান্তিপুরের এই প্রাচীন কালীপুজোয়
তাঁরা আশাবাদী, এই প্রতিমা, দর্শনার্থীদের জন্য একটি বড় আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। গ্রামের মা কালী ক্লাবের সদস্যেরা জানিয়েছেন, আগামী বছরগুলোতেও এই ধরনের উদ্যোগ তারা চালিয়ে যাবেন, যা কোলি গ্রামের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে আরও মজবুত করবে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী