ফিরলেন শ্রমিক

Jalpaiguri News: টাকার লোভে ভিন রাজ্যে গিয়ে যা ঘটল ৪ শ্রমিকের সঙ্গে! অবশেষে লাল ঝাণ্ডা করল উদ্ধার

জলপাইগুড়ি: ডুয়ার্সের চা বাগানে নেই কাজ! বন্ধ ১০০ দিনের কাজও। লোভের ফাঁদে পা দিয়েই বিপত্তি। ভিন রাজ্যে গিয়ে অকথ্য অত্যাচারের কবলে ৪ যুবক। হাড় হিম করা ঘটনায় তাজ্জব ডুয়ার্সবাসী। ডুয়ার্সের ছোট কিংবা বড় চা বাগানগুলিতে শ্রমিকদের নানাবিধ সমস্যা দীর্ঘদিনের। অগত্যা কিছু বাড়তি উপার্জনের তাগিদে রাজ্য ছেড়ে ভিন্ন রাজ্য কিংবা ভিনদেশের পথে পাড়ি দেয় এ রাজ্যের চা বাগানের শ্রমিকেরা। শেষে লোভের ফাঁদে পা দিয়েই অকথ্য অত্যাচারের শিকার চার শ্রমিক।

জানা গিয়েছে, কৃষি জমিতে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে পঞ্জাবের অমৃতসরে নিয়ে গিয়ে ক্রীতদাসের মতো করে রাখা‌ হয়েছিল চা বাগানের শ্রমিক ৪ যুবককে। দীর্ঘ তিনমাস ধরে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গভীর রাতে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় এক যুবক। তার‌ কাছ থেকে সমস্ত বিষয় জানার পর বাকি ৩ যুবককে উদ্ধার করে আনেন চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের নেতারা।

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের‌ভান্ডিগুড়ি চা বাগানের ওই চার যুবকের নাম বিশাল মুন্ডা(১৯), শিবা মুন্ডা(১৮), শংকর মুন্ডা(২৪) ও করণ মুন্ডা(২২)।শ্রমিক নয়, ক্রীতদাস বানিয়ে রাখা হয়েছিল তাদের। সারা দিনে দুবেলা খাবার দিয়ে অমানুষিক কাজ করানো হতো। পাশাপাশি তাঁদের উপর চলতো নির্যাতন। সেখানে পৌঁছানোর‌ পর থেকেই কেড়ে নেওয়া হয়েছিল মোবাইল ফোন। এজন্য বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সবার। বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হতো মাসে মাত্র একদিন। তাও মালিকের ফোনে এক থেকে দুই মিনিটের বেশি কথা বলতে পারতনা তাঁরা।

আরও পড়ুনঃ India vs Bangladesh: যা এর আগে খুব একটা দেখা যায়নি টিম ইন্ডিয়ায়, এবার সেই পথেই হাঁটতে পারেন গম্ভীর

এরপর এক যুবক পালিয়ে আসার পর জেলা নেতারা দিল্লিতে সর্বভারতীয় নেতা কে হেমলতা ও সুদীপ দত্তর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁরা যোগাযোগ করেন পঞ্জাবের শ্রমিক‌ নেতা কে চন্দ্রশেখরের সঙ্গে। অবশেষে তাঁদের সকলের সহযোগিতায় বিশাল মুন্ডা, শিবা মুন্ডা ও শঙ্কর মুন্ডাকে‌ উদ্ধার করে নিয়ে আসা‌ হয়েছে জলপাইগুড়িতে। চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের নেতা অরুণ ভূমিজ ও শ্রমিক‌ নেতা কৃষ্ণ সেন জানান,”অনেক টানাপোড়েনের পর ঘরের ছেলেদের ঘরে ফিরিয়ে আনা‌ সম্ভব হয়েছে। খুশি তাদের পরিবার।”

সুরজিৎ দে