চলছে পাঁচ টাকায় খাবার সরবরাহ

Maa Canteen: ৩ বছরে বন্ধ হয়নি একদিনও! রোদে, ঝড়বৃষ্টিতে রোজ ৫ টাকায় গরিব মানুষের পেট ভরায় মা ক্যান্টিন

নদিয়া: করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কর্মহীন মানুষজনদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এইরকমই এক সদর্থক ভূমিকা পালন করে গঠন করতে দেখা গিয়েছিল ‘মা ক্যান্টিন’কে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই অনেক জায়গায় বন্ধ হয়ে গেলেও বিষয়টি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ দেখে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে সেবাকার্যে বিরত নয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা এবং শান্তিপুর পৌরসভা। নদীয়া শান্তিপুর পৌরসভার পাশে স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীর দ্বারা পরিচালিত মা ক্যান্টিনে আজ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও মাত্র ৫ টাকায় ভাত পেটে আজও লাইন দিয়েছে ওঁরা।

২০২১ সালের ২৬ জুলাই শান্তিপুর পৌরসভার উদ্যোগেই পৌরসভার সন্নিকটে চালু করা হয়েছিল এই মা ক্যান্টিন। যেখানে ৫ টাকায় আপনি কুপন কাটলে পেয়ে যাবেন পেটভর্তি ভাত, ডাল, তরকারি ইত্যাদি। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে ওইদিন থেকে আজ পর্যন্ত একদিনও বন্ধ হয়নি এই মা ক্যান্টিনের পরিষেবা। এমনকি ঘূর্ণিঝড় রিমলের জেরে টানা বৃষ্টি, ঝড় হওয়া সত্ত্বেও সেদিন মিলেছে সেই ৫ টাকায় ভাত।

আরও পড়ুন: সাইক্লোনে বিধ্বস্ত রাজ্যে কি বর্ষার প্রবেশ হয়ে গেল? কলকাতায় বর্ষা শুরু ঠিক কত তারিখে? যা জানাল হাওয়া অফিস…

এই মা ক্যান্টিন পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছেন শান্তিপুর নোয়াখালি পাড়ার চার নম্বর ওয়ার্ডের দুই নম্বর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তাঁদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নাম ‘স্বয়ংসিদ্ধা’। তাঁদের গোষ্ঠীতে সদস্য সংখ্যা ১৩। তার মধ্যে চারজন সেই শুরু থেকেই এই কাজের সঙ্গে নিযুক্ত। সকাল ৯টার সময় তাঁরা এই ক্যান্টিনে চলে আসেন প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও খাবার নিয়ে। এরপরেই একে একে লাইন দিতে শুরু করেন খাবার নিতে আসা সকলেই। এরপর পাঁচ টাকার বিনিময়ে কুপন কেটে তাঁদেরকে দেওয়া হয় প্রত্যেক দিনের রান্না করা খাবার। কখনও সেখানে থাকে ভাত, ডাল, তরকারি, কখনও বা ডিমের কারি, ইত্যাদি একাধিক পুষ্টিকর খাবার।

স্বাভাবিকভাবেই ৫ টাকার বিনিময় এই খাবার দেওয়ার ফলে উপকৃত হচ্ছেন একাধিক অসহায় ব্যক্তিরা যাঁরা দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করতেও অনেক সময় অসুবিধার মধ্যে পড়ে যান। এঁদের মধ্যে কেউ অন্যের গৃহে ঘরোয়া কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন, কেউ বা ভবঘুরে, কেউ ভিক্ষাবৃত্তি করেন কিংবা কেউ অন্যের দোকানে কাজ করেন, এই মা ক্যান্টিন হওয়ার ফলে অন্তত তাঁরা প্রতিদিন ভরপেট খেতে পারছেন।

Mainak Debnath