টেস্টের পর ওডিআই-তেও ধামাকাদার কামব্যাক, জাদেজার বিকল্প খোঁজা সত্যিই মুশকিল

মুম্বই: চোটের কারণে দীর্ঘ ৫ মাসের বেশি সময় ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। চোট সারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে দলে কামব্যাক করেন জাড্ডু। ফিরেই প্রথম দুটি টেস্টে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হওয়ার পাশাপাশি রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে যুগ্ম সিরিজ সেরাও নির্বাচিত হন জাদেজা। বুঝিয়ে দেন ভারতীয় দলে কতটা অপরিহার্য তিনি। আর এবার একদিনের ক্রিকেটেও কামব্যাকটাও স্মরণীয় করে রাখলেন ম্যাচের সেরা হয়ে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম একদিনের ম্যাচে ব্যাটে-বলে-ফিল্ডিংয়ে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করলেন জাড্ডু।

২০২২ সালের জুলাই মাসে ম্যাঞ্চেস্টারে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষ এক দিনের ম্যাচ খেলেছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা। আট মাস পর একদিনের ক্রিকেটে নেমে মানিয়ে নেওয়াটাই প্রধান লক্ষ্য ছিল। কিন্তু জাদেজা মানিয়ে নেওয়া যে আর পাঁচটা প্লেয়ারের মানিয়ে নেওয়ার থেকে আলাদা তা তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সই প্রমাণ করে দিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের সময় যখন মিচেল মার্শ বিধ্বংসী ব্যাটিং করছেন, কোনও ভারতী। বোলার অজি তারকাকে আউট করতে পারছেন না, তখ জাদেজের স্পিনেক ভেলকিতেই সাজঘরে ফেরেন মার্শ। এছাড়াও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন জাড্ডু। শুধু বোলিং নয় মাঠে ফিল্ডিংয়েও বরাবরের মত নজর কাড়েন রবীন্দ্র জাদেজা। ওয়াংখেড়ের দ্রুত গতির আউট ফিল্ডে বল তাড়া করে সেভ করা থেকে সেট হতে চলা মার্নাস লাবুশানের অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরা, নিজের সেরাটা উজার করে দেন জাড্ডু।

ব্যাটিংয়ের সময় ১৮৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে একসময় ভারতের স্কোর ছিল ৮৩ রানে ৫ উইকেট। সেখান থেকে কেএল রাহুলের সঙ্গে ইনিংসের রাশ ধরেন জাদেজা। ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করেন যান। বাজে বল পেলে প্রহার করতেও পিছ পা হননি জাদেজা। রাহুল-জাদেজা শতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন। তাদের ব্যাটে ভর করেই জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় ভারত। ৬১ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে জয় পায় ভারত। কেএল রাহুস ৭৫ ও জাদেজা ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন। বোলিংয়ে ২ উইকেট, ফিল্ডিংয়ে দুরন্ত ক্যাচ, ব্যাটিংয়ে ম্যাচ উইনিং ৪৫ রানের সুবাদে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন জাদেজা।

আরও পড়ুনঃ প্রবল চাপের মুহূর্তে ম্যাচ উইনিং ইনিংস, সমালোচকদের ব্যাটে জবাব দিয়ে কামব্যাক কেএল রাহুলের

দীর্ঘ দিন পর একদিনের ক্রিকেটে ফিরে সেরা নির্বাচিত হয়ে জাদেজা জানান,”আট মাস পর এক দিনের ম্যাচ খেললাম। চেয়েছিলাম যত দ্রুত সম্ভব ৫০ ওভারের ক্রিকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। ভাগ্য ভাল দু’টো উইকেট পেয়েছি। ব্যাটেও কিছু রান পেয়েছি।” চাপের মুহূর্তে ব্যাট করতে নেমে কেএল রাহুলের সঙ্গে শুধু ক্রিজে টিকে থেকে পার্টনারশিপ গড়াই যে মূল লক্ষ্য ছিল সেই কথাও জানান জাড্ডু। জাদেজার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। মনের জোর ও আত্মবিশ্বাস থাকলে যে চোট সারিয়ে দলে ফিরেই সেরাটা দেওয়া যায় তা ফের জাদেজা প্রমাণ করলেন বলেই মত ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের।