মুখে জ্বালাপোড়া, ঠোঁটে জ্বালাপোড়া, চোখে জল আসা- এগুলো মশলাদার খাবারের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যা আপনি তাৎক্ষণিকভাবে লক্ষ্য করবেন। কিন্তু, মশলাদার খাবার খাওয়ার পরে, আপনার শরীরের অভ্যন্তরে আরও অনেক কিছু ঘটছে যা সম্পর্কে আপনি হয়তো জানেন না।

Knowledge Story: ‘চিলি চিকেন’-এর জন্ম এই মিষ্টির শহরে, ইতিহাস জানলে চমকে যাবেন !

কলকাতা মানেই মিষ্টি। রসগোল্লা, সন্দেশ, জলভরা তালশাঁস। কতই না তার রূপ। আর স্বাদও বলিহারি। কলকাতা আর রসগোল্লা নিয়ে লেখা হয়েছে আস্ত একটা গানও। এ যেন নাড়ির টান। কিন্তু এহেন কলকাতার যে ঝালেও এমন অনুরাগ তা কে জানত! Representative Image
কলকাতা মানেই মিষ্টি। রসগোল্লা, সন্দেশ, জলভরা তালশাঁস। কতই না তার রূপ। আর স্বাদও বলিহারি। কলকাতা আর রসগোল্লা নিয়ে লেখা হয়েছে আস্ত একটা গানও। এ যেন নাড়ির টান। কিন্তু এহেন কলকাতার যে ঝালেও এমন অনুরাগ তা কে জানত! Representative Image
ঝাল মানে ঝাল। চোখ দিয়ে জল গড়াবে, কিন্তু মুখে তৃপ্তির হাসি। এমন রেসিপির কথা বললে সবার আগে মাথায় আসবে ‘চিলি চিকেন’-এর নাম। নাম শুনে চাইনিজ মনে হলেও এর জন্ম কিন্তু বঙ্গের কলকাতায়। হ্যাঁ, চিনা হাত যে কিছুটা আছে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। সময়টা ১৮ শতক। ভারতে তখন রাজত্ব করছে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। কলকাতা তার রাজধানী। চিনের চা এবং রেশম এই পথ ধরেই ব্রিটেনে যেত। Representative Image
ঝাল মানে ঝাল। চোখ দিয়ে জল গড়াবে, কিন্তু মুখে তৃপ্তির হাসি। এমন রেসিপির কথা বললে সবার আগে মাথায় আসবে ‘চিলি চিকেন’-এর নাম। নাম শুনে চাইনিজ মনে হলেও এর জন্ম কিন্তু বঙ্গের কলকাতায়। হ্যাঁ, চিনা হাত যে কিছুটা আছে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। সময়টা ১৮ শতক। ভারতে তখন রাজত্ব করছে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। কলকাতা তার রাজধানী। চিনের চা এবং রেশম এই পথ ধরেই ব্রিটেনে যেত। Representative Image
কলকাতা তখন অবশ্য ‘ক্যালকাটা’। কাজের সূত্রে এই শহরেই ডেরা বাঁধে চিনা সম্প্রদায়। বেশিরভাগই ট্যানারি শ্রমিক। জুতো তৈরি করেন। কেউ কেউ রেশমের ব্যবসা করতেন। সেই সময় চিনা দাঁতের ডাক্তারও ছিলেন অনেক।কলকাতায় বাসা বাঁধলেও নিজেদের সংস্কৃতি এবং খাদ্যাভ্যাস ধরে রেখেছিলেন চিনারা। আসলে শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার একরকমের চেষ্টা আর কী! সেখান থেকেই চালু হয় চিনা রেস্তোরাঁ। প্রথমে চিনারাই এই সব হোটেলে খেতে যেতেন। ধীরে ধীরে তা জনপ্রিয় হল। ভারতীয়রাও কবজি ডুবিয়ে চিনা খাবারের স্বাদ নিতে শুরু করলেন। ১৯২৪ সালে ভারতের প্রথম চাইনিজ রেস্তোরাঁ চালু হয় কলকাতায়। Representative Image
কলকাতা তখন অবশ্য ‘ক্যালকাটা’। কাজের সূত্রে এই শহরেই ডেরা বাঁধে চিনা সম্প্রদায়। বেশিরভাগই ট্যানারি শ্রমিক। জুতো তৈরি করেন। কেউ কেউ রেশমের ব্যবসা করতেন। সেই সময় চিনা দাঁতের ডাক্তারও ছিলেন অনেক।কলকাতায় বাসা বাঁধলেও নিজেদের সংস্কৃতি এবং খাদ্যাভ্যাস ধরে রেখেছিলেন চিনারা। আসলে শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার একরকমের চেষ্টা আর কী! সেখান থেকেই চালু হয় চিনা রেস্তোরাঁ। প্রথমে চিনারাই এই সব হোটেলে খেতে যেতেন। ধীরে ধীরে তা জনপ্রিয় হল। ভারতীয়রাও কবজি ডুবিয়ে চিনা খাবারের স্বাদ নিতে শুরু করলেন।
১৯২৪ সালে ভারতের প্রথম চাইনিজ রেস্তোরাঁ চালু হয় কলকাতায়। Representative Image
বলিউডের তারকা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা এর নিয়মিত খদ্দের হয়ে যান। জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁলে কলকাতার পাশাপাশি মুম্বই এবং ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও রেস্তরাঁ খোলে তারা। সোয়া সস, লঙ্কা আর মশলাদার গ্রেভির ভক্ত হয়ে যায় আপামর ভারতীয়। এর সঙ্গে যুক্ত হল ভারতীয় মশলা। সঙ্গে মুরগীর মাংস। চিনা মশলা আর ভারতীয় মশলার যুগলবন্দীতে কলকাতার ‘রস’-এর মাটিতে আবির্ভাব হল ঝাল চিলি চিকেনের। ভারতীয় মশলা হিসেবে এতে দেওয়া হল ‘গরম মশালা’। হৃদকমলে ধুম লাগার মতো বাঙালির রসনায় ঝড় তুলল এই রেসিপি। Representative Image
বলিউডের তারকা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা এর নিয়মিত খদ্দের হয়ে যান। জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁলে কলকাতার পাশাপাশি মুম্বই এবং ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও রেস্তরাঁ খোলে তারা। সোয়া সস, লঙ্কা আর মশলাদার গ্রেভির ভক্ত হয়ে যায় আপামর ভারতীয়। এর সঙ্গে যুক্ত হল ভারতীয় মশলা। সঙ্গে মুরগীর মাংস। চিনা মশলা আর ভারতীয় মশলার যুগলবন্দীতে কলকাতার ‘রস’-এর মাটিতে আবির্ভাব হল ঝাল চিলি চিকেনের। ভারতীয় মশলা হিসেবে এতে দেওয়া হল ‘গরম মশালা’। হৃদকমলে ধুম লাগার মতো বাঙালির রসনায় ঝড় তুলল এই রেসিপি। Representative Image
চিকেন মাঞ্চুরিয়ান এখন গোবি মাঞ্চুরিয়ানের মতোই জনপ্রিয়। দুটি পদই আবিষ্কার হয়েছিল কলকাতার ট্যাংরায়। আবিষ্কর্তার নাম নেলসন ওয়াং। আর পার্ক স্ট্রিটের চুং ওয়াহ বা ওয়াল্ডর্ফের চিলি চিকেন এবং ফ্রাইড রাইসের ভক্ত কে নয়। অবশ্য এরপর অনেকটা পথ পেরিয়ে চিলি চিকেন হয়ে ওঠে ‘চিল্লি চিকেন’। মাথায় রাখতে হবে, হাক্কা নুডলসের সঙ্গে যেমন চিনের হাক্কা প্রদেশের কোনও যোগ নেই, তেমনই চিলি চিকেনের সঙ্গে চিনের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা নিখাদ এবং নির্ভেজাল ভারতীয়, আরও স্পষ্ট করে বললে কলকাত্তাইয়া পদ। Representative Image
চিকেন মাঞ্চুরিয়ান এখন গোবি মাঞ্চুরিয়ানের মতোই জনপ্রিয়। দুটি পদই আবিষ্কার হয়েছিল কলকাতার ট্যাংরায়। আবিষ্কর্তার নাম নেলসন ওয়াং। আর পার্ক স্ট্রিটের চুং ওয়াহ বা ওয়াল্ডর্ফের চিলি চিকেন এবং ফ্রাইড রাইসের ভক্ত কে নয়। অবশ্য এরপর অনেকটা পথ পেরিয়ে চিলি চিকেন হয়ে ওঠে ‘চিল্লি চিকেন’। মাথায় রাখতে হবে, হাক্কা নুডলসের সঙ্গে যেমন চিনের হাক্কা প্রদেশের কোনও যোগ নেই, তেমনই চিলি চিকেনের সঙ্গে চিনের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা নিখাদ এবং নির্ভেজাল ভারতীয়, আরও স্পষ্ট করে বললে কলকাত্তাইয়া পদ। Representative Image