Tag Archives: Chinese

New Chinese Food Recipe: ভুলে যাবেন দোকানের চিলি চিকেন-ফিস-পনির! চাইনিজ লাভার জন্য স্বাদে-গুণে ভরপুর ঘরে বানানো এই পদ

দক্ষিণ দিনাজপুর : যাঁরা চাইনিজ খেতে পছন্দ করেন, তাঁদের অত্যন্ত প্রিয় একটি পদ চিলি চিকেন চিলি পনির। তবে শরীর ও স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বানিয়ে ফেলুন সোয়া চিলি। পুষ্টিগুণ ভরপুর সয়াবিন সব বয়সিদের জন্যই সমানভাবে উপকারী। পনিরে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম, সোডিয়ামের মতন প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ রয়েছে। তাই সুস্বাদু খাবারের সাথে স্বাস্থ্যের খেয়ালও রাখা যাবে খুব সহজেই। পনিরের অনেক রকম পদ আমরা খেয়ে থাকি। তবে, চাউমিন হোক বা ফ্রায়েড রাইস, সোয়া চিলির সঙ্গে জুটিতে ‘সুপারহিট’ দুটিই।

প্রথমেই একটি পাত্রে পরিমাণ মতন কর্নফ্লাওয়ার, হলুদ, নুন, লঙ্কার গুঁড়ো, গোল মরিচ গুঁড়ো, সামান্য চালের গুঁড়ো ও জল দিয়ে বেশ ভালভাবে ফেটিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। এরপর তাতে সেদ্ধ করা সয়াবিন দিয়ে হাতের সাহায্যে বেশ ভালভাবে মেখে নিতে হবে। এবারে গ্যাসে পাত্র বসিয়ে তাতে পরিমাণ মতন সাদা তেল গরম করে হালকা নেড়েচেড়ে সয়াবিন গুলো হালকা লালচে ভাবে ভেজে নিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে কোনভাবেই যেন গ্যাসের আচ বেশি না থাকে। এভাবেই সব সয়াবিন গুলো একইভাবে ভেজে তুলে নিতে হবে।

এবারে কড়াইতে আবারও তেল গরম করে তাতে ফোড়ন হিসেবে সামান্য জিরে দিয়ে কিউব করে কেটে নেওয়া পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম দিয়ে হালকা ভেজে নিতে হবে। এরপর তাতে টুকরো করে কেটে নেওয়া টমেটো দিয়ে আবারও বেশ ভালভাবে নেড়েচেড়ে নিয়ে উপর থেকে সামান্য হলুদ ও নুন দিয়ে ভালভাবে ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে তাতে পরিমাণ মতন আদাবাটা, সয়াসস, চিলি সস, টমেটো সস দিয়ে আবারও নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিতে হবে।

আরও পড়ুনঃ বিরাট কোহলি নয়! টেস্টে সচিনের রেকর্ড ভাঙবেন এই ক্রিকেটার? রয়েছেন খুবই কাছে

এবারে তাতে কিছুটা রসুন ও কাঁচালঙ্কা কুচি ও সামান্য কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে বেশ ভালভাবে নেড়ে চেড়ে কষিয়ে নিতে হবে। কষানো হয়ে গেলে তাতে ভেজে নেওয়া সয়াবিনের পিস গুলো দিয়ে বেশ ভালভাবে একই সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। সবশেষে সামান্য কনফ্লাওয়ার জলে গুলে ওপর থেকে ছড়িয়ে নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি সয়া চিলি। অতিথি আপ্যায়ন হোক বা রাতের ডিনারে গরমা গরম জিরা রাইস বা নানের সঙ্গে পরিবেশন করুন চাইনিজ স্টাইলে সয়া চিলি, মন করবে ছোট থেকে বড় সকলের।

সুস্মিতা গোস্বামী

Chinese Samosa: খাবারের থেকে উঁকি দেবে চাউমিন! একেবারে অন্য রূপে চাইনিজ খাবার, আট থেকে আশি, মুখে জল আসবে সকলের

গরম গরম শিঙাড়া আর চা! এভাবেই এক নিমেষেই বন্ধু বান্ধব থেকে পরিবারের সঙ্গে সময় কেটে যায়। সাধারণত আমরা বাজার থেকে কিনে আনা শিঙাড়া কিংবা আলুর চপ দিয়ে বিকেল ও সন্ধ্যার টিফিনটা সেরে থাকি। তবে বাজারের সেই শিঙাড়ায় যদি একটু ভিন্ন স্বাদ পাওয়া যায় তবে কেমন হয়। (জুলফিকার মোল্যা)
গরম গরম শিঙাড়া আর চা! এভাবেই এক নিমেষেই বন্ধু বান্ধব থেকে পরিবারের সঙ্গে সময় কেটে যায়। সাধারণত আমরা বাজার থেকে কিনে আনা শিঙাড়া কিংবা আলুর চপ দিয়ে বিকেল ও সন্ধ্যার টিফিনটা সেরে থাকি। তবে বাজারের সেই শিঙাড়ায় যদি একটু ভিন্ন স্বাদ পাওয়া যায় তবে কেমন হয়। (জুলফিকার মোল্যা)
শিঙাড়ায় এক কামড় দিলেই যদি ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে আলুর পরিবর্তে মশলাদার নুডুলস? ভাবছেন ব্যাপারটা কী হল? হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন এই শিঙাড়ায় পাবেন ‘চাইনিজ ট্যুইস্ট’। এবার বসিরহাটে বোর্ড ঘাটে মা মনসা ঘোষ সুইট -এ দেখা মিলছে এমন অভিনব শিঙাড়া।
শিঙাড়ায় এক কামড় দিলেই যদি ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে আলুর পরিবর্তে মশলাদার নুডুলস? ভাবছেন ব্যাপারটা কী হল? হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন এই শিঙাড়ায় পাবেন ‘চাইনিজ ট্যুইস্ট’। এবার বসিরহাটে বোর্ড ঘাটে মা মনসা ঘোষ সুইট -এ দেখা মিলছে এমন অভিনব শিঙাড়া।
চাইনিজ এই সিঙাড়ায় আলুর পুরের পরিবর্তে নুডুলসের দেওয়া শিঙাড়াকে রীতিমতো নজর কেড়েছে। সাবেকি শিঙাড়ার মতো আকার হলেও, রূপ ও বৈচিত্র্যে সম্পূর্নই আলাদা। এই চাইনিজ শিঙাড়ায় কিন্তু কোনওভাবেই জায়গা নেই আলুর। নুডুলস, পনীর সহ নানা ধরনের সবজি ও বিশেষ ধরনের মশলার যুগলবন্দীতেই বানানো হয় এই চাইনিজ শিঙাড়া।
চাইনিজ এই সিঙাড়ায় আলুর পুরের পরিবর্তে নুডুলসের দেওয়া শিঙাড়াকে রীতিমতো নজর কেড়েছে। সাবেকি শিঙাড়ার মতো আকার হলেও, রূপ ও বৈচিত্র্যে সম্পূর্নই আলাদা। এই চাইনিজ শিঙাড়ায় কিন্তু কোনওভাবেই জায়গা নেই আলুর। নুডুলস, পনীর সহ নানা ধরনের সবজি ও বিশেষ ধরনের মশলার যুগলবন্দীতেই বানানো হয় এই চাইনিজ শিঙাড়া।
কলকাতার বিশেষ কিছু জায়গায় এই চাইনিজ শিঙাড়া পাওয়া গেলেও, তেমনভাবে জনপ্রিয়তা পায়নি শহরতলীতে। তবে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে কিন্তু এই মুখরোচক দোকানের তৈরি চাইনিজ শিঙাড়া ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে।
কলকাতার বিশেষ কিছু জায়গায় এই চাইনিজ শিঙাড়া পাওয়া গেলেও, তেমনভাবে জনপ্রিয়তা পায়নি শহরতলীতে। তবে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে কিন্তু এই মুখরোচক দোকানের তৈরি চাইনিজ শিঙাড়া ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে।
অভিনব এই স্বাদের শিঙাড়ার স্বাদের পাশাপাশি আকারেও ভিন্ন ছোঁয়া আছে। যা সাধারণ শিঙাড়ার থেকে পার্থক্য গড়ে দেয়। প্রতিদিন বেড়েই চলেছে এই সিঙাড়া বিক্রিও।
অভিনব এই স্বাদের শিঙাড়ার স্বাদের পাশাপাশি আকারেও ভিন্ন ছোঁয়া আছে। যা সাধারণ শিঙাড়ার থেকে পার্থক্য গড়ে দেয়। প্রতিদিন বেড়েই চলেছে এই শিঙাড়া বিক্রিও।

Knowledge Story: ‘চিলি চিকেন’-এর জন্ম এই মিষ্টির শহরে, ইতিহাস জানলে চমকে যাবেন !

কলকাতা মানেই মিষ্টি। রসগোল্লা, সন্দেশ, জলভরা তালশাঁস। কতই না তার রূপ। আর স্বাদও বলিহারি। কলকাতা আর রসগোল্লা নিয়ে লেখা হয়েছে আস্ত একটা গানও। এ যেন নাড়ির টান। কিন্তু এহেন কলকাতার যে ঝালেও এমন অনুরাগ তা কে জানত! Representative Image
কলকাতা মানেই মিষ্টি। রসগোল্লা, সন্দেশ, জলভরা তালশাঁস। কতই না তার রূপ। আর স্বাদও বলিহারি। কলকাতা আর রসগোল্লা নিয়ে লেখা হয়েছে আস্ত একটা গানও। এ যেন নাড়ির টান। কিন্তু এহেন কলকাতার যে ঝালেও এমন অনুরাগ তা কে জানত! Representative Image
ঝাল মানে ঝাল। চোখ দিয়ে জল গড়াবে, কিন্তু মুখে তৃপ্তির হাসি। এমন রেসিপির কথা বললে সবার আগে মাথায় আসবে ‘চিলি চিকেন’-এর নাম। নাম শুনে চাইনিজ মনে হলেও এর জন্ম কিন্তু বঙ্গের কলকাতায়। হ্যাঁ, চিনা হাত যে কিছুটা আছে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। সময়টা ১৮ শতক। ভারতে তখন রাজত্ব করছে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। কলকাতা তার রাজধানী। চিনের চা এবং রেশম এই পথ ধরেই ব্রিটেনে যেত। Representative Image
ঝাল মানে ঝাল। চোখ দিয়ে জল গড়াবে, কিন্তু মুখে তৃপ্তির হাসি। এমন রেসিপির কথা বললে সবার আগে মাথায় আসবে ‘চিলি চিকেন’-এর নাম। নাম শুনে চাইনিজ মনে হলেও এর জন্ম কিন্তু বঙ্গের কলকাতায়। হ্যাঁ, চিনা হাত যে কিছুটা আছে সেটা অস্বীকার করা যাবে না। সময়টা ১৮ শতক। ভারতে তখন রাজত্ব করছে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। কলকাতা তার রাজধানী। চিনের চা এবং রেশম এই পথ ধরেই ব্রিটেনে যেত। Representative Image
কলকাতা তখন অবশ্য ‘ক্যালকাটা’। কাজের সূত্রে এই শহরেই ডেরা বাঁধে চিনা সম্প্রদায়। বেশিরভাগই ট্যানারি শ্রমিক। জুতো তৈরি করেন। কেউ কেউ রেশমের ব্যবসা করতেন। সেই সময় চিনা দাঁতের ডাক্তারও ছিলেন অনেক।কলকাতায় বাসা বাঁধলেও নিজেদের সংস্কৃতি এবং খাদ্যাভ্যাস ধরে রেখেছিলেন চিনারা। আসলে শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার একরকমের চেষ্টা আর কী! সেখান থেকেই চালু হয় চিনা রেস্তোরাঁ। প্রথমে চিনারাই এই সব হোটেলে খেতে যেতেন। ধীরে ধীরে তা জনপ্রিয় হল। ভারতীয়রাও কবজি ডুবিয়ে চিনা খাবারের স্বাদ নিতে শুরু করলেন। ১৯২৪ সালে ভারতের প্রথম চাইনিজ রেস্তোরাঁ চালু হয় কলকাতায়। Representative Image
কলকাতা তখন অবশ্য ‘ক্যালকাটা’। কাজের সূত্রে এই শহরেই ডেরা বাঁধে চিনা সম্প্রদায়। বেশিরভাগই ট্যানারি শ্রমিক। জুতো তৈরি করেন। কেউ কেউ রেশমের ব্যবসা করতেন। সেই সময় চিনা দাঁতের ডাক্তারও ছিলেন অনেক।কলকাতায় বাসা বাঁধলেও নিজেদের সংস্কৃতি এবং খাদ্যাভ্যাস ধরে রেখেছিলেন চিনারা। আসলে শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত থাকার একরকমের চেষ্টা আর কী! সেখান থেকেই চালু হয় চিনা রেস্তোরাঁ। প্রথমে চিনারাই এই সব হোটেলে খেতে যেতেন। ধীরে ধীরে তা জনপ্রিয় হল। ভারতীয়রাও কবজি ডুবিয়ে চিনা খাবারের স্বাদ নিতে শুরু করলেন।
১৯২৪ সালে ভারতের প্রথম চাইনিজ রেস্তোরাঁ চালু হয় কলকাতায়। Representative Image
বলিউডের তারকা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা এর নিয়মিত খদ্দের হয়ে যান। জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁলে কলকাতার পাশাপাশি মুম্বই এবং ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও রেস্তরাঁ খোলে তারা। সোয়া সস, লঙ্কা আর মশলাদার গ্রেভির ভক্ত হয়ে যায় আপামর ভারতীয়। এর সঙ্গে যুক্ত হল ভারতীয় মশলা। সঙ্গে মুরগীর মাংস। চিনা মশলা আর ভারতীয় মশলার যুগলবন্দীতে কলকাতার ‘রস’-এর মাটিতে আবির্ভাব হল ঝাল চিলি চিকেনের। ভারতীয় মশলা হিসেবে এতে দেওয়া হল ‘গরম মশালা’। হৃদকমলে ধুম লাগার মতো বাঙালির রসনায় ঝড় তুলল এই রেসিপি। Representative Image
বলিউডের তারকা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা এর নিয়মিত খদ্দের হয়ে যান। জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁলে কলকাতার পাশাপাশি মুম্বই এবং ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও রেস্তরাঁ খোলে তারা। সোয়া সস, লঙ্কা আর মশলাদার গ্রেভির ভক্ত হয়ে যায় আপামর ভারতীয়। এর সঙ্গে যুক্ত হল ভারতীয় মশলা। সঙ্গে মুরগীর মাংস। চিনা মশলা আর ভারতীয় মশলার যুগলবন্দীতে কলকাতার ‘রস’-এর মাটিতে আবির্ভাব হল ঝাল চিলি চিকেনের। ভারতীয় মশলা হিসেবে এতে দেওয়া হল ‘গরম মশালা’। হৃদকমলে ধুম লাগার মতো বাঙালির রসনায় ঝড় তুলল এই রেসিপি। Representative Image
চিকেন মাঞ্চুরিয়ান এখন গোবি মাঞ্চুরিয়ানের মতোই জনপ্রিয়। দুটি পদই আবিষ্কার হয়েছিল কলকাতার ট্যাংরায়। আবিষ্কর্তার নাম নেলসন ওয়াং। আর পার্ক স্ট্রিটের চুং ওয়াহ বা ওয়াল্ডর্ফের চিলি চিকেন এবং ফ্রাইড রাইসের ভক্ত কে নয়। অবশ্য এরপর অনেকটা পথ পেরিয়ে চিলি চিকেন হয়ে ওঠে ‘চিল্লি চিকেন’। মাথায় রাখতে হবে, হাক্কা নুডলসের সঙ্গে যেমন চিনের হাক্কা প্রদেশের কোনও যোগ নেই, তেমনই চিলি চিকেনের সঙ্গে চিনের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা নিখাদ এবং নির্ভেজাল ভারতীয়, আরও স্পষ্ট করে বললে কলকাত্তাইয়া পদ। Representative Image
চিকেন মাঞ্চুরিয়ান এখন গোবি মাঞ্চুরিয়ানের মতোই জনপ্রিয়। দুটি পদই আবিষ্কার হয়েছিল কলকাতার ট্যাংরায়। আবিষ্কর্তার নাম নেলসন ওয়াং। আর পার্ক স্ট্রিটের চুং ওয়াহ বা ওয়াল্ডর্ফের চিলি চিকেন এবং ফ্রাইড রাইসের ভক্ত কে নয়। অবশ্য এরপর অনেকটা পথ পেরিয়ে চিলি চিকেন হয়ে ওঠে ‘চিল্লি চিকেন’। মাথায় রাখতে হবে, হাক্কা নুডলসের সঙ্গে যেমন চিনের হাক্কা প্রদেশের কোনও যোগ নেই, তেমনই চিলি চিকেনের সঙ্গে চিনের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা নিখাদ এবং নির্ভেজাল ভারতীয়, আরও স্পষ্ট করে বললে কলকাত্তাইয়া পদ। Representative Image