উত্তর দিনাজপুর: কৃষি নির্ভর উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রধান খাদ্যশস্য হিসেবে ধানের পরেই গম চাষ করা হয়। তবে অনেক কৃষকই গমের ভাল ফলন না পাওয়ায় গম চাষে তেমন আগ্রহ দেখান না। এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি বিশেষজ্ঞ। কী করলে গমের ভাল ফলন পাওয়া যাবে সেই কথা তুলে ধরেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ১৪ দিন পর আবার শুরু বজবজ-বাউড়িয়া ফেরি চলাচল
গমের ভাল ফলন পেতে প্রথমে বেছে নিতে হবে গমের উন্নত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জাত। গমের কোন জাতের বীজে ভাল ফলন হয় জানেন কি? কৃষি বিশেষজ্ঞ গোপেন দেব শর্মা জানান, গমের উন্নতমানের জাতগুলির মধ্যে অন্যতম হল সোনালিকা, হাইব্রিড ও সাদা এক ধরনের জনক গম। গমের এই জাতগুলো বাকিদের তুলনায় ভাল ফলন দেয়।
সোনালিকা গম: এই জাতের গম গাছগুলো বেঁটে, দানা ফিকে রঙের, পুরুষ্ঠ ও শক্ত হয়। বপনের ৬০ দিন পর এই গমের গাছে ফুল আসে। ১০০ থেকে ১০৫ দিনে এই গমের ফসল পেকে যায়।
জনক বা সাদা গম: এই গম গাছও অপেক্ষাকৃত বেঁটে। এই গমের দানা মাঝারি সাদাটে, বাদামি মরচে রোগে সহনশীল। উর্বর মাঝারি উর্বর জমিতে সময়মত বপনের জন্য এবং খুব উর্বর জমিতে বপনের পক্ষে উপযোগী। এই গম বোনার ৬০ দিন পর ফুল আসে। এবং এর ফসল পাকতে ১১৫ থেকে ১২০ দিন সময় লাগে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
হাইব্রিড গম: তবে দ্রুত ফলনশীল জাত হিসেবে জেলার বহু চাষি হাইব্রিড জাতকেই বেছে নেন। এই হাইব্রিড জাতের ফলন অন্যান্য গমের তুলনায় ভাল হয়। তবে এই জাতের একটি সমস্যা হল, এই গমে রোগ পোকার আক্রমণ বেশি হয়। ফলে এই গমে বিষ প্রয়োগ করতে হয়। এই গমগুলো সাধারনত অগ্রহায়ণ-পৌষ মাস থেকে বপন করা হয়। বপনের তিন মাস পর এর ফলন পাওয়া যায়। এলাকাভিত্তিক এই বিভিন্ন জাতের গম চাষ হয়ে থাকে।
পিয়া গুপ্তা