হাওড়া: সন্ধে নামলেই কফি হাউসে ভিড় জমাচ্ছে গ্রামের মানুষ। কফির কাপে তুফান তুলছে ৮ থেকে ৮০। এখানে এলে মনে পড়ে যাবে মান্না দের বিখ্যাত গানের লাইন, ‘কফি হাউসের সেই আড্ডা’টা আজ আর নেই/ কোথায় হারিয়ে গেল সোনালি বিকেলগুলো সেই’…
ছোট্ট গ্রামের এই কফি হাউসে চা বা কফির কাপে চুমুক দিয়ে সান্ধ্য আড্ডাটা বেশ জমজমাট কাটছে। অথচ এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষই কখনও কলকাতায় গিয়ে কলেজ স্ট্রিটের ঐতিহ্যবাহী কফি হাউজ দেখেননি। যদিও স্বচক্ষে কফি হাউস দেখার ইচ্ছে বা স্বপ্ন তো ছিলই। সেই স্বপ্নের কফি হাউসেই যেন এসে গিয়েছে আড্ডা দেওয়ার সুযোগ। তাতেই আনন্দে আত্মহারা হাওড়ার উদয়নারায়নপুরের এই গ্রামের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: গরমে যাত্রীদের স্বস্তি দিতে স্টেশনে বিশাল আয়োজন রেলের, হাওড়া-শিয়ালদায় গেলেই জুড়োবে প্রাণ
রাজ্য সড়কের পাশে গড়ে উঠেছে এই অন্য কফি হাউস। প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষ এখানে ভিড় জমাচ্ছেন। সামান্য টাকা খরচ করেই কফি হাউসের আড্ডার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রামের বাসিন্দারা। যাদের কাছে কলকাতার সেই বিখ্যাত কফি হাউস আর এই গ্রামের ছোট্ট কফি হাউজের মধ্যে বিশেষ তফাৎ নেই।
এই প্রসঙ্গে উদ্যোক্তা রাজা অধিকারী জানান, বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী মান্না দের সেই গান এবং কফি হাউস ঘিরে মানুষের আবেগ আজও বাঙালির মধ্যে বহমান। কলেজ স্ট্রিটের ঐতিহ্যবাহী কফি হাউজে যাওয়া শহরের মানুষের কাছে খুব সহজ হলেও প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের ইচ্ছা থাকলেও সেই উপায় হয় না। তাই গ্রামের মানুষের সেই ইচ্ছাকে পূরণ করতে গ্রামেই কফি হাউস গড়ে তোলা হয়েছে।
রাকেশ মাইতি