Tag Archives: bengali video

একটা ছবি হাজার শব্দের সমান। প্রচলিত এ কথা সকলের জানা। তার প্রমাণ সকলের কমবেশি পেয়ে থাকেন। কিন্তু একটি ভিডিও এক মুহূর্তে একজন মানুষের কাছে অনেক প্রশ্নের উত্তর নিয়ে হাজির হয়। তাই ভিডিওর (Bengali Video) কোনও বিকল্প নেই।

বর্তমানে মানুষ ভীষণ ব্যস্ত। সকাল থেকে রাত তাঁকে ছুটতে হয় বিভিন্ন কাজে। ফলে ছুটির দিন বাদে সকালে উঠে চায়ের কাপ হাতে খবরের কাগজ পড়ার মানুষের সংখ্যা কমেছে। তার জায়গায় জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পড়া যায় যে খবর, অর্থাৎ ডিজিট্যাল প্ল্যাটফর্মের খবরগুলি। নিউজ18 বাংলার ওয়েবসাইট সেই সময় ডিজিট্যাল মিডিয়াগুলির মধ্যে অন্যতম। যারা সকাল থেকে রাত, সপ্তাহের প্রতিটা দিন আপনাদের হাতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সব খবর তুলে দেয় (Bengali Video)।

তবে খবরের মধ্যেও মানুষ কী ধরণের জিনিষ দেখতে পছন্দ করেন, তা বিশ্লেষন করলেই স্পষ্ট হচ্ছে ভিডিও (Bengali Video) দেখার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। খবরের সঙ্গে একটি ভিডিও জুড়ে দিলেই, সেই খবর পড়তে পছন্দ করছেন পাঠকেরা। তাই নিউজ18 বাংলার খবরের সঙ্গে এবং আলাদাভাবে উপভোক্তাদের কাছে ভিডিও পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাই কোথায় কী ঘটছে? তা কলকাতা থেকে রাজ্য, দেশ হোক বা বিদেশ, খবর পড়তে এবং ভিডিও দেখতে চোখ রাখতেই হবে নিউজ18 বাংলায়।

Bangla Video: আয়লা, আমফানে সুন্দরবনের একমাত্র এই বেল গাছের কিছু হয়নি! সে যেন সাক্ষাৎ মহাদেব

উত্তর ২৪ পরগনা: মন্দির বা শিবলিঙ্গ নয়, গাছকে এখানে শিবরূপে পুজো করা হয়। গত দুই শতাব্দী ধরে এই রীতিই চলে আসছে হিঙ্গলগঞ্জের বিশপুর গ্রামে।

গ্রাম বাংলার প্রায় সব হিন্দু পরিবারেই দেবাদিদেব মহাদেবের পুজো হয়। আর শিবের পুজোয় বেল পাতা থাকবেই। হিন্দু ধর্মের মানুষরা বিশ্বাস করেন, বেল ও বেল পাতা ভগবান শিবের খুব প্রিয়। তাই পুজোর সময় তাঁকে বেলপাতা নিবেদন করা হয়। সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জের ২০০ বছরের প্রাচীন এক বেল গাছকেই বছরের পর বছর ধরে শিবের প্রতীক হিসেবে পুজো করে আসছেন এলাকার মানুষরা।

আর‌ও পড়ুন: বান্ধবীকে নিয়ে নৌকায় তুমুল মদ্যপান, হঠাৎ বার্জে ধাক্কা! তারপর ৬ জনের যা হল

এখানকার অনেকে বিশ্বাস করেন, বেলপাতা নিবেদন করলে মহাদেব খুব খুশি হন। তবে বেল গাছকেই শিবের প্রতিরূপ হিসেবে পুজো করার এই ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। স্থানীয়রা জানান, শাস্ত্রী বাড়ির এই বেল গাছ বহু পুরনো। প্রথম থেকেই এই বেল গাছকে পুজো করা হচ্ছে। তবে ঠিক কত সালে এই পুজো শুরু হয়েছিল সেই বিষয়টি কেউই আজ আর পরিষ্কার করে বলতে পারেন না। তবে শাস্ত্রী পরিবারের দাবি, পুজোটি ২০০ বছরের বেশি পুরনো। কথিত আছে, এই গাছ আমফান, আয়লায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মৃতপ্রায় অবস্থায় পৌঁছে গেলেও আবারও যেন তার পুনর্জন্ম হয়। তা থেকে মানুষের বিশ্বাস ও ভক্তি আরো বেড়েছে।

জুলফিকার মোল্যা

Magic Show: পাঁশকুড়ার বুকে মায়ার ইন্দ্রজাল দেখতে ছুটে ছুটে আসছে সবাই

পূর্ব মেদিনীপুর: ছোটোবেলায় ফিরে যেতে চান? চলে আসুন পাঁশকুড়ার রবীন্দ্র-নজরুল ভবনে। এখানে বসেছে ম্যাজিক শো-এর আসর। ম্যাজিশিয়ানের ম্যাজিক দেখে আপ্লুত দর্শকেরা। ম্যাজিক মানেই আমাদের মনে ভেসে আসে মায়ার ইন্দ্রজাল। এই ইন্দ্রজালে দর্শকদের সম্মোহিত করে একের পর এক ম্যাজিকের খেলা দেখিয়ে চলেন ম্যাজিশিয়ান। ম্যাজিক কোনও মন্ত্র, তন্ত্র বিদ্যা নয়, সবটাই হাতের কৌশল। এবং তাতে আছে কেবলই বিজ্ঞান।

ম্যাজিক শো বাংলার একটি প্রাচীন বিনোদনের মাধ্যম। এই বাংলা থেকে বিখ্যাত জাদুকরেরা তাঁদের ম্যাজিক দেখিয়ে শুধু গোটা ভারত নয় বিশ্বজুড়ে সমাদৃত হয়েছেন। পিসি সরকার তুলল আর কোন‌ও ম্যাজিশিয়ানকে দুনিয়া বো হয় আর কোনদিনও পাবে না। কিন্তু বর্তমানে এই ম্যাজিক শো-এর কদর অনেকটাই কমছে। তবে পুরনো সেই দিন ফিরিয়ে আনতে পাঁশকুড়ার রবীন্দ্র-নজরুল ভবনে শুরু হয়েছে জাদুকর প্রিন্স ইন্ডিয়ার ম্যাজিক শো। এই ম্যাজিক শো চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন সন্ধে ৬ থেকে শুরু হয় ম্যাজিক শো। বিভিন্ন মূল্যের টিকিট রয়েছে। শো-এর দিন সকাল থেকে রবীন্দ্র-নজরুল ভবন চত্বরে টিকিট পাওয়া যাবে।

আর‌ও পড়ুন: প্রচারে বেরিয়ে আইসক্রিম বিক্রি করলেন প্রার্থী

প্রতিদিন সন্ধেয় ম্যাজিক শো’তে জাদুকর সম্রাট ও তাঁর সহযোগী মিলে একের পর এক ম্যাজিকের খেলা প্রদর্শন করেন দর্শকদের সামনে। কখনও দড়ি বাঁধা অবস্থায় বাক্স থেকে বেরিয়ে আসা, কখনও শূন্যে মানুষকে ভাসিয়ে রাখা। আবার কখনও মঞ্চে টাকার বৃষ্টি ঘটানো সহ একাধিক ম্যাজিকের খেলা প্রদর্শন করেন জাদুকর।

আর‌ও পড়ুন: কেরি সাহেবের নীলকুঠি পর্যটনকেন্দ্র হবে? ভোটের আগে জোরালো দাবি

বর্তমানে পারিবারিক অনুষ্ঠানগুলিতে মায়া ইন্দ্রজালের খেলা দেখানোর সুযোগ পায় ম্যাজিশিয়ানরা। রুটি রোজগারের তাগিদেই তারাও পারিবারিক বিভিন্ন ইভেন্টে শো করেন। কিন্তু শহরে গ্রামেগঞ্জে হল বুক করে সেভাবে শো হয় না। পাঁশকুড়ায় বহুদিন পর বসেছে ম্যাজিক শোয়ের আসর। তীব্র গরমের মধ্যে সন্ধ্যেবেলায় তাতেও মানুষজন দেখতে আসছে বলে জানান ম্যাজিসিয়ান। হারানো দিনের ম্যাজিক শো দেখে আপ্লুত পাঁশকুড়া এলাকার দর্শকেরা।

সৈকত শী

Bengali Literature: তৃতীয় বর্ষ গদ্যপদ্যপ্রবন্ধ কবিতার সপ্তম উৎসব পালন

পুরুলিয়া: বাংলা সাহিত্যের অগ্রগণ্য কয়েকটি পত্রিকার মধ্যে অন্যতম গভীর নির্জন পথের গদ্য-পদ্য-প্রবন্ধ। ২০২১ সাল থেকে প্রতিবছর মুদ্রিত ও অনলাইনের মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে এই পত্রিকাটি। সারা বছরই এই সংস্থা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় কবিতা উৎসবের আয়োজন করে থাকে। বহু গুণী বাচিক শিল্পীদের সমাগম হয় এই অনুষ্ঠানে। বিগত বছরের মত এই বছরও পুরুলিয়া শহরে গদ্যপদ্যপ্রবন্ধের একটি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। ‌ এক বছর পরে আবারও এই শহরেই অনুষ্ঠিত হলএই পত্রিকার কবিতা উৎসব। আর তাতেই অংশ নিয়েছিলেন জেলার বিশিষ্ট কবিরা।

আর‌ও পড়ুন: ভোটের রাজনৈতিক প্রচার নয়, তবে এই স্কুল পড়ুয়ারা বাড়ি বাড়ি ঘুরছে কেন!

২১ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার পুরুলিয়ার জগন্নাথ কিশোর কলেজের ইংরেজি বিভাগের আয়োজনে ও সপ্তর্ষি প্রকাশনের সহায়তায় তৃতীয় বর্ষ ও গদ্য পদ্য প্রবন্ধ কবিতা উৎসবের সপ্তম উৎসবটি পালিত হয়। এ বিষয়ে গদ্যপদ্যপ্রবন্ধ পত্রিকার সম্পাদক অংশুমান কর বলেন, প্রখর দাবদাহের মধ্যেও এই অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বহু গুনী শিল্পীরা এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ‌ অনেকেই শুধুমাত্র কবিতা শোনার জন্যই এই অনুষ্ঠানের এসেছিলেন।

এক কথায় খুবই সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে তাদের এই কবিতার অনুষ্ঠানটি। এই দিনের এই অনুষ্ঠানে যেমন উপস্থিত ছিলেন বহুগুণী কবিরা তেমনই কবিতাপ্রেমী মানুষেরাও এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ‌একেবারেই অভিনব সাজে সেজে উঠেছিল সমগ্র কলেজ চত্বর।

এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আগামীদিনে পুরুলিয়ার মত মফস্বল জেলায় সাহিত্য চর্চায় আরও অনেকেই এগিয়ে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অথিথিরা।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

BSF: বিএস‌এফ জ‌ওয়ান বাড়ি ফিরতেই শুরু হল উৎসব! কারণ জানলে চমকে উঠবেন

পূর্ব বর্ধমান: বিএসএফ জওয়ান বাড়ি ফিরতেই আনন্দে মেতে উঠলেন সকলে। নাচ-গানের মাধ্যমে সংবর্ধনাও জানানো হয় শিবশঙ্কর ভট্টাচার্যকে। কিন্তু কেন এহেন অনুষ্ঠান? আসলে সুস্থভাবে সম্মানে ৩৯ বছর ১ মাস ২৫ দিন চাকরি করার পর কর্মজীবন থেকে অবসর নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।

এমন উৎসব প্রসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ জওয়ানের স্ত্রী পূর্ণিমা ভট্টাচার্য বলেন, এতদিন চাকরি করার পরে সুস্থভাবে ঘরে ফিরে এসেছেন, এটাই আমাদের কাছে অনেক। প্রথমদিকে অসুবিধা হত, তবে যেহেতু দেশের জন্য কাজ করছে তাই আমাদেরও স্যাক্রিফাইস করতে হয়েছে।

সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিএস‌এফ জওয়ান শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য কাটোয়া-২ ব্লকের গাজিপুর অগ্রদ্বীপের বাসিন্দা। তিনি ত্রিপুরার পানিসাগর এলাকায় বিএসএফের সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি মাথা উঁচু করে সম্মানের সঙ্গে কর্তব্য পালন করেছেন। বাড়ি ফিরে আসতেই অভিনব অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে স্বাগত জানানো হয় শিবশঙ্করবাবুকে।

আর‌ও পড়ুন: তীব্র গরমের মধ্যেই মাঠ কাঁপাল ‘ওঁরা’, পুরোটা জানলে….

এই প্রসঙ্গে শিবশঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, বিএসএফ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। একসময় অভাবের সংসার ছিল, কিন্তু এখন স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করতে পারছি। আমার মায়ের সাপোর্টে আমার এই চাকরি হয়েছিল। মা বেঁচে থাকলে আজ অনেক খুশি হতেন। আমি বাড়ি ফিরে আসায় পরিবারে তরফে যে আয়োজন করা হয়েছে এতে অনেক খুশি হয়েছি।

অবসরপ্রাপ্ত জওয়ানের বাড়ি ফিরে আসাকে কেন্দ্র করে যে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সচরাচর এই ধরনের উদ্যোগ দেখা যায়না। এদিনের এই অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন পরিবারের লোকজন সহ এলাকার বহু মানুষ। দেশ রক্ষার কাজে নিযুক্ত থেকে অবশেষে সুস্থভাবে বাড়ি ফিরে আসায় খুশি এবং গর্বিত হয়েছেন সকলেই।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

River Dam Guard: নদীর পাড়ে জড়ো হয়ে রোজ সকাল-সন্ধে ওরা কী করেন!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শুরু হয়েছে বাংলার প্রথম মাস বৈশাখ। এরপরই ক্রমান্বয়ে আসবে জৈষ্ঠ্য ও আষাঢ়মাস। আর সেজন্য চিন্তায় ঘুম উড়েছে কুলপির হাঁড়া গ্রামের বাসিন্দাদের। নদীর পাড়ে এক হয়ে এখন থেকেই সকাল, বিকাল ও সন্ধে নিয়ম করে পাহারা দেন তাঁরা।

কিন্তু কেন? স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জৈষ্ঠ্য-আষাঢ়মাসে নদী ফুলে ওঠে। নদীর পাড় টপকে জল চলে আসে গ্রামে। সেজন্য এখন থেকেই তাঁদের নজর রাখতে হচ্ছে বাঁধের উপর। জল বাড়লেই খবর দিতে হয় গ্রামে। বিপদ ঘনিয়ে এলে সবাই চলে আসেন বাঁধের উপর। এই একটি বাঁধই ভরসা গ্রামবাসীদের। আগে একাধিকবার হাঁড়া গ্রামে ঘটেছে বাঁধ ভাঙার মত ঘটনা। অতীতের সেই দুঃখজনক ঘটনার পুনাবৃত্তি এড়াতেই গ্রামবাসীদের এই ব্যবস্থা।

আর‌ও পড়ুন: মমতার সভা থাকলেই ট্রাই সাইকেল নিয়ে হাজির হয়ে যান অজিত, অসুস্থতাও দমিয়ে রাখতে পারে না

সেবার সবাইকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল উঁচু জায়গায়। সাপ সহ অন্যান্য জলজ প্রাণী ঢুকে গিয়েছিল বাড়ির মধ্যে। আর তাই বৈশাখ মাস এলেই আতঙ্কে ভোগ দিয়ে শুরু করেন এখানকার মানুষজন। স্থানীয়রা এই আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে দ্রুত বাঁধ সারাইয়ের আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু তা যতদিন না হচ্ছে এইভাবেই পাহারা দিয়ে যেতে হবে এই গ্রামের মানুষদের।

নবাব মল্লিক

Lok Sabha Election 2024: মমতার সভা থাকলেই ট্রাই সাইকেল নিয়ে হাজির হয়ে যান অজিত, অসুস্থতাও দমিয়ে রাখতে পারে না

দক্ষিণ দিনাজপুর: পায়ে জোর না থাকলেও মনের জোর ষোল আনা। আর এই মনের জোরকে অবলম্বন করেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিটা জনসভাতেই হাজির হন অজিত নাথ মণ্ডল। ট্রাই সাইকেলে করেই তিনি ছুটে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিটি জনসভায়।

তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ সমর্থক তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই বালুরঘাট লোকসভার বিভিন্ন এলাকার দলীয় জনসভায় পৌঁছে যান সঙ্গী ট্রাই সাইকেলে করে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের ব্রতীসংঘ এলাকার বাসিন্দা পেশায় বেকারি ব্যাবসায়ী অজিত নাথ মণ্ডল। এই ট্রাই সাইকেলের উপর ভরসা করেই তিনি লোকসভা ভোটের প্রতিটি জনসভায় উপস্থিত হন। এমনকি এই তীব্র গরম’ও তাঁর উদ্যমকে দমিয়ে দিতে পারেনি। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় আয়োজিত সমাবেশে ট্রাই সাইকেলকে সঙ্গী করেই উপস্থিত হচ্ছেন অজিতবাবু। তার এই উদ্যাম দেখে চমৎকৃত অন্যান্য কর্মী সমর্থকরা।

আর‌ও পড়ুন: ‘রোমান্টিক’ ফল লিচু চাষে খুলেছে কপাল! পুরোটা জানলে…

জেলার যে প্রান্তেই সভা হোক না কেন ‘দিদি’ অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে তিনি হাজির হবেন‌ই। এবারও বিপ্লব মিত্রের সমর্থনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় হাজির হয়েছিলেন অজিত বাবু তার আগে নিজের শরীরটা ভালো না থাকা সত্ত্বেও পরিজনরা তাকে বাড়িতে আটকে রাখতে পারেননি তিনি ঠিক হাজির হয়ে যান সেখানে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দল এবং তৃণমূল নেত্রীর প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসার কথা জানান এই ব্যবসায়ী।

সুস্মিতা গোস্বামী

Charak Puja: বৈশাখে অসময়ের চড়ক দেখতে এখানে উপচে পড়ে মানুষের ভিড়

আলিপুরদুয়ার: কথাতেই আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তার মধ্যে অন্যতম প্রধান এবং বাঙালির ঐতিহ্যবাহী উৎসব হল চড়ক। চৈত্র মাসের শেষে সাধারণত এই চড়ক উদযাপন হয়। তবে বৈশাখের শুরুতে অকাল চড়ক উৎসব লক্ষ্য করা যায় ফালাকাটার ধুলাগাঁও এলাকায়। এই অসময়ের চড়ক দেখতে ভিড় করেন বহু মানুষ।

এই অকাল চড়ক পুজো শুধু বহু বছর ধরে আয়োজিত হয়ে আসছে। চড়ক পুজোর মধ্য দিয়ে সন্তুষ্ট রাখা হয় দেবাদিদেব মহাদেবকে। চৈত্র সংক্রান্তির চড়ক পুজোর মত নিয়ম পালিত হয় অকাল চড়ক পুজোতেও। রবিবার রাতে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের জটেশ্বর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুলাগাঁও এলাকায় অনুষ্ঠিত হয় এই অসময়ের চড়ক পুজো ও মেলা। রবিবার সন্ধে থেকে এলাকার বসতে শুরু করেছিল মেলা। মুহূর্তের মধ্যেই ভিড় জমে যায়। বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এই ময়দানে আসেন।

আর‌ও পড়ুন: মনসাই নদীর চরের তরমুজ খেলে স্বাদ মুখে লেগে থাকবে!

এই অকাল চড়কে বিভিন্ন ধরনের খেলা দেখানো হয়।পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে জানা গিয়েছে, ২০০২ সাল থেকে অকাল চড়ক পুজো করছেন তাঁরা। এটি এলাকাবাসীদের আবেগ। স্থানীয়দের মতে ধুলাগাঁও এলাকার এই চড়ক পুজোর মেলা নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা যথেষ্টই উপভোগ করছে। ফলে এর অত্যন্ত যথেষ্ট উজ্জ্বল।

অনন্যা দে

Watermelon: মনসাই নদীর চরের তরমুজ খেলে স্বাদ মুখে লেগে থাকবে!

কোচবিহার: গরমের তীব্রতা বাড়তেই বাজারে বিক্রি বেড়েছে তরমুজের। এই তীব্র গরমের মধ্যে তরমুজ শরীরকে অনেকটাই ঠান্ডা রাখে। সেইসঙ্গে খেতেও হয় অত্যন্ত সুস্বাদ। মূলত নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে হয় তরমুজের চাষ। কোচবিহারের বহু এলাকায় তরমুজ চাষ করেন কৃষকরা। তবে মাথাভাঙা মহকুমার মানসাই নদীর চরে যে তরমুজ চাষ করা হয় তার স্বাদ ও রসালোভাব অতুলনীয়। তা অন্য কোথাও সাধারণত দেখাই যায় না। মূলত এই কারণেই শুধুমাত্র কোচবিহার জেলা নয়, অন্যত্র এর চাহিদা আছে ব্যাপক। তাই জেলার বাইরেও বিভিন্ন এলাকায় এবং ভিন রাজ্যে এই তরমুজ রফতানি করা হয়।

আর‌ও পড়ুন: জলের পাইপ লাইন ফেটে বিরাট ধস উত্তরপাড়ায়

মানসাই নদীর চরে তরমুজ চাষ করা তারাপদ সরকার জানান, তাঁদের এখানকার তরমুজ স্বাদ ও তার রসালোভাবের জন্য এতটাই পরিচিতি লাভ করেছে যে বড় বড় গাড়ি ভর্তি করে তা এই মরসুমের সময় অন্যত্রর রফতানি করা হয়। মূলত গাড়ি প্রতি হিসাবে এই তরমুজগুলিকে বিক্রি করা হয় ভিন্ন রাজ্যে। এতে ভাল মুনাফা হয়। চলতি বছরেও বহু তরমুজ ভিন রাজ্যে পাঠিয়েছেন তাঁরা।

আর‌ও পড়ুন: প্রোমোটিংয়ের জন্য খেলার মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা! কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা

আরেকজন চাষি ভরত দাস জানান, একটা সময় বিহারের কিছু পরিযায়ী মানুষ এখানে তরমুজ চাষ শুরু করেছিলেন। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে প্রচার পায় মানসাই নদী চরের তরমুজ চাষ। এখন বর্তমানে বহু কৃষক এই তরমুজ চাষ করে থাকেন। তবে অন্যান্য তরমুজের চাইতে এই তরমুজের স্বাদ ও গুণগতমান অনেকটাই ভাল। ক্রেতারাও এই তরমুজ কেনার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকেন।

সার্থক পণ্ডিত

Road Collapsed: জলের পাইপ লাইন ফেটে বিরাট ধস উত্তরপাড়ায়

হুগলি: জলের পাইপলাইন ফেটে বড়সড় বিপত্তি উত্তরপাড়ায়। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের রামলাল দত্ত রোডের একাধিক জায়গায় ধস নামে শনিবার থেকে। রবিবার ধসে পড়ে ওই রাস্তার বেশ কিছু অংশ। পাইপ লাইন বসাতে গিয়ে রাস্তায় ধস নামছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এর আগেও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে একইভাবে ধস নেমেছিল। সেই সময় পুরসভা ব্যবস্থা নিয়ে ধস মেরামতি করে। পুরসভা সূত্রের খবর জলের পাইপ লাইন ফেটে এই বিপত্তি হয়েছে।

এদিকে ওয়ার্ডের ভেতর রাস্তার একাংশ ধসে পড়ায় ভয় ধরেছে আমজনতার মধ্যে। বাসিন্দারা পুরসভার কাছে আবেদন জানিয়েছেন যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যেদিন ধস নামতে শুরু করে সেইদিন রাতেই স্কুটিতে করে এক মহিলা যাচ্ছিলেন। তিনি রাস্তার ধসের কবলে পড়েন। স্কুটির চাকা ধসের মধ্যে আটকে যায়। ওই মহিলা গাড়ি থেকে ছিটকে পড়েন। স্থানীয় মানুষরা ছুটে এসে মহিলাকে সাহায্য করেন। এলাকার মানুষের বক্তব্য, দ্রুত ধস মেরামত না করলে আগামী দিনে আরও এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

আর‌ও পড়ুন: প্রোমোটিংয়ের জন্য খেলার মাঠের উপর দিয়ে রাস্তা! কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা

এদিকে ধস নামা জায়গায় সিপিএমের পতাকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বিপদ চিহ্নিত করতে। স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, পুরসভার উদাসীনতার ফলেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি ধস নামার পর পুরসভার পক্ষ থেকে সময় মত জায়গাটি ঘিরে দেওয়া হয়নি বলে বামেদের অভিযোগ।

রাহী হালদার

Lok Sabha Election 2024: ফি বছরের বন্যা থেকে বাঁচতে সুবর্ণরেখার সম্পূর্ণ পাড় বাঁধানোর দাবি

পশ্চিম মেদিনীপুর: গ্রামের গা ঘেঁষে বয়ে চলছে শান্ত সুবর্ণরেখা। কিন্তু বর্ষাকাল এলেই ফুলে ফেঁপে উঠে শান্ত এই নদী। তখন সে তার কী ভয়ঙ্কর রূপ! বর্ষাকালে একদিকে বর্ষার জল আর অন্যদিকে ব্যারেজের ছাড়া জলে ভয়াল রূপ নেয় সুবর্ণরেখা। নদীর খরস্রোতা প্রবাহ ভেঙে ফেলে পাড়। ফলে হামেশাই বানভাসি হয় দুই কুলের মানুষজন। নদী ভাঙনের জেরে ঘটা বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচতে সুবর্ণরেখার সম্পূর্ণ পাড় বাঁধানোর দাবি তুললেন স্থানীয়রা।

পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সুবর্ণরেখা। গিয়েছে ওড়িশার মধ্য দিয়েও। বেশ কিছু জায়গায় সুবর্ণরেখার পাড় বাঁধানো হলেও বেশ কিছু জায়গা আগের মতই পড়ে আছে। যার ফলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন নদীর পাড়ে থাকা জনপদগুলির বাসিন্দারা। নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে মাঠ, গাছপালাও। বন্যার জলে বানভাসী হয় নদী তীরের মানুষজন।

আর‌ও পড়ুন: শিল্পীর এ কেমন নেশা! জানলে অবাক হবেন

বর্ষাকালে ক্রমশ জল গ্রামের মধ্যে ঢুকতে থাকলে আশ্রয় নিতে হয় স্কুলে বা উঁচু জায়গায়। স্বাভাবিকভাবে গবাদি পশু থেকে কৃষিকাজ সবকিছুতেই মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হয়। দাঁতন ব্লকের বড়া, মহেশপুর, কাঁটাপাল সহ একাধিক গ্রাম নদীর তীরে অবস্থিত। কিছু জায়গায় নদীর পাড় বাঁধানো হলেও কিছু জায়গায় এখনও হয়নি। স্বাভাবিকভাবে বাঁধানো না হওয়া অংশে ভাঙছে নদীর পাড়। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের আগে নদীর সম্পূর্ণ পাড় বাঁধানোর দাবি তুললেন এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

রঞ্জন চন্দ