ঠাকুরনগরের কামনা সাগর

Bangla News: কামনা পুকুরে ডুব দিলেই পুণ্যলাভ! লক্ষাধিক মতুয়া ভক্তরা ঠিক এই সময়ে দিলেন ডুব, অমৃতযোগ ঠিক কখন?

ঠাকুরনগর: বারুনী মেলা ঘিরে লক্ষাধিক মানুষ এই পুকুরে স্নান করলেও, কামনা সাগরের জলে আছে বিশেষ মাহাত্ম্য এমনটাই দাবি মতুয়া ভক্তদের। প্রতিবছরই নির্দিষ্ট সময় মেনে এই পুকুরে পুন্যস্নানে করতে মতুয়া ভক্তদের ঢল নামতে দেখা যায়। ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি এলাকা পার্শ্বস্থ হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে দলবদ্ধ হয়ে মতুয়ারা ডঙ্কা, কাশি, নিশান নিয়ে প্রদক্ষিন করে ডুব দেন কামনা সাগরের জলে। মাহেন্দ্রক্ষণ ধরে পুণ্যতিথিতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা গোসাই, পাগল, দলপতি-সহ মতুয়াভক্তরা সকলেই মনস্কামনা পুরনের লক্ষ্যে এই পুকুরে ডুব দেন।

ভিড় ঠেলে একবার কামনা সাগরে স্নান করতে পারলেই মনে তৃপ্তি আসে বলে জানিয়েছেন মতুয়াভক্তরা। তাদের বিশ্বাস হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের পদধুলি রয়েছে এই ঠাকুরবাড়িতে। আর ঠাকুরবাড়ির এই কামনা সাগরের জলে রয়েছে অনেক মাহাত্ম্য। তাই কামনা সাগরে স্নান বড় পুণ্যের। তাই প্রতিবছর দল বেঁধে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মতুয়া ভক্তরা ছুটে আসেন এই কামনা সাগরে ডুব দিতে।

আরও পড়ুনঃ গুণে ঠাসা লিচু ২ মাসই মেলে, রসে টইটম্বুর এই ফল গরমে আরাম! কাদের জন্য ‘বিষ’ লিচু?

মতুয়া ভক্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কামনা সাগরের জলে স্নান করলে বা পান করলে সব ব্যাধি দূর হয়। তাদের বিশ্বাস, কামনা সাগরে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে স্নান করলে মনবাসনা পূরন হয়। ঠাকুরনগরের মেলায় লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগমে স্নানকালে কামনাসাগরের জল হয়ে যায় কালো। তবুও সেই জলেই ভক্তি ভরে সকলে স্নান সারেন তাতে ইচ্ছে পূরন হয়। জলের গুণগত মান যাচাই নয়, বরং একবার সেই জলে ডুব দিয়ে পূন্য অর্জনের আশায় সকলেই নামেন কামনা সাগরে।

কামনা সাগরের জলের মাহাত্ম্য নিয়ে আরেক মতুয়া ভক্ত জানালেন, শুধু স্নান নয়। তারা এই জল বাড়ি নিয়ে যান। সারাবছর সংরক্ষন করে রাখেন। যেকোন শুভ অনুষ্ঠানে তারা এই কামনা সাগরের জল ব্যবহার করে থাকেন। এমনকী শরীরে কোন রোগ-ব্যধির প্রকোপ দেখা দিলে এই জল বিশ্বাস নিয়ে পান করলে সেরে যায় তাদের ব্যাধি। মতুয়াদের বিশ্বাস কামনা সাগরের জলই তাদের কাছে ঈশ্বরের চরণামৃত। কামনা সাগরের এই জল গায়ে দিলে কিংবা চরণামৃত হিসেবে পান করলেও কোন রোগ-ব্যাধি হয় না বলেই জানান মতুয়া ভক্তরা। এ বছরও লক্ষাধিক ভক্তসমাগমে ভোর থেকে চলছে এই কামনা সাগরে পুণ্য স্নান। ১০:৪৫ এ অমৃতযোগে স্নান সারেন শান্তনু ঠাকুর। রাত পর্যন্ত চলবে স্নান।

Rudra Narayan Roy