Tag Archives: Thakurnagar

Lok Sabha Election 2024: ভোটকেন্দ্র না বিয়েবাড়ি! ভোটারদের জন্য এলাহি আয়োজন দেখলে চমকে যাবেন

উত্তর ২৪ পরগনা: দূর থেকে দেখলে মনে হচ্ছে যেন কোনও অনুষ্ঠান বাড়ি বা বিয়ে বাড়ি। কিন্তু না, এটি বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ঠাকুরনগর শিমুলপুর আনন্দপাড়া নরহরি হাই স্কুল, যা পঞ্চম দফার নির্বাচনে মডেল বুথ করা হয়েছে কমিশনের তরফে। বাইরে থেকে দেখে মনে হবে যেন কোনও বিয়ে বাড়িতে প্রবেশের জন্য ফুল দিয়ে সাজানো গেট।

শুধু তাই নয় গোলাপি সাদা হলুদ কাপড় দিয়ে করা এই প্যান্ডেলে যেমন ঝুলছে ঝাড়বাতি, তেমনই রংবেরঙের আর্টিফিশিয়াল ফুলের বিভিন্ন কাজ চোখে পড়ছে এই মডেল বুথের ভেতর প্রবেশ করলেই। রয়েছে অনুষ্ঠান বাড়িতে ব্যবহারের আরামদায়ক গদির চেয়ার, ভোটারদের গরম থেকে স্বস্তি দিতে এয়ারকুলার এমনকি বক্সে বাজছে গানও। এমন এলাহী আয়োজন দেখে এলাকার ভোটাররাও রীতিমতো উৎসাহী গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হতে।

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

তাই এই ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের ভোটাররা সকাল সকাল বুথে হাজির হচ্ছেন ভোট দিতে। অনেকেই ঘুরে দেখছেন মডেল বুথের চারপাশ, মুঠো ফোনে বন্দি করছেন অনুষ্ঠান বাড়ির আদলে তৈরি ভোটের এই মডেল বুথের ছবিও। দায়িত্বে থাকা ভোট কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই পোলিং স্টেশনে মোট পাঁচটি বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথ-ই মহিলা পরিচালিত। ফলে, এই বুথে নেই কোনও পুরুষ ভোট কর্মী।

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

তবে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা রক্ষীরা অবশ্য রয়েছে কড়া পাহারায়। সব মিলিয়ে এই মডেল ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৬৫০০। ঠাকুরনগরের মডেল এই ভোটকেন্দ্রের পাঁচটি বুথেই সুষ্ঠুভাবে লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। মডেল বুথের এমন শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণের চিত্রই হয়তো বাকি আরও দুই দফায় দেখা যাবে, আশা নির্বাচন কমিশনের।

Rudra Narayan Roy

Viral Video: ‘কামনা সাগরে’ ডুব দিলেই মিলছে টাকা-সোনা! জেনে নিন কোথায়

উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগরের ‘কামনা সাগর’। স্থানীয় এই পুকুরে ডুব দিলেই মিলছে টাকা। ভাগ্য ভাল থাকলে মিলছে সোনাও। দিন কেউ ৫০০ বা কেউ হাজার টাকাও পাচ্ছে ‘কামনা সাগর’ থেকে। বর্তমানে টাকার আশায় দিনভর এই পুকুরে ঝাপাচ্ছেন যুবকেরা।

North 24 Parganas News: মতুয়া ঠাকুরবাড়ির ঘর দখলে লড়াই, শান্তি ফিরে হেরিটেজ হোক চাইছেন ভক্তরা

উত্তর ২৪ পরগনা: ঠাকুরনগর জুড়ে চলছে জোর চর্চা, কার দখলে ঠাকুরবাড়ি! গাইঘাটার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে মতুয়া বড়মা বীনাপানি দেবীর ঘর দখল ঘিরে জেঠিমা ও ভাইপোর লড়াই প্রকাশ্যে। বড়মা বীনাপানি ঠাকুরের ঘর শান্তনু ঠাকুরের দখলে থাকবে নাকি মমতা বালা ঠাকুরের দখলে তা নিয়েই বারুণী মেলা চলার মাঝেই তৈরি হয় লড়াই, বিতর্ক।

রাত থেকেই টানটান উত্তেজনা ঠাকুরবাড়ি ঘিরে। নিজে হাতে দরজায় তালা ভাঙতেও দেখা যায়, ঠাকুরবাড়ির অন্যতম সদস্য তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে। বড়মা বীণাপাণি দেবীর ঘর ও মন্দির জোর করে দখলের অভিযোগ তোলা হয় মমতা বালা ঠাকুরের তরফ থেকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঠাকুরবাড়ির নিরাপত্তায় দখল নেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় রাত থেকেই।

এ দিন সকাল থেকেই ঠাকুরনগর জুড়ে রয়েছে চাপা উত্তেজনা। মেলা চললেও নানা প্রান্ত থেকে মতুয়া ভক্তরা আসছেন ঠাকুরবাড়িতে। অনেক মতুয়া ভক্ত আবার এসেই ফিরে যাচ্ছেন, এমন কথাও শোনা যাচ্ছে ঠাকুরবাড়িতে কান পাতলে। তবে ঠাকুরবাড়ি ঘিরে এমন পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান হোক চাইছেন মতুয়া ভক্তরা। পারিবারিক বিবাদকে সরিয়ে রেখে, বজায় থাকুক ঠাকুরবাড়ির মাহাত্ম্য।

দূর দূরান্ত থেকে আসা মতুয়া ভক্তরা দাবি করেন, বছরের এই একটি সময়ে কষ্টার্জিত টাকা খরচ করেই তারা আসেন পূণ্য লাভের আশায় সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ঠাকুরবাড়িকে ঘিরে তৈরি হওয়া এমন পরিস্থিতি কখনোই কাম্য নয়। বিষয়টিতে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক রঙও লেগেছে। শান্তনু ঠাকুর যেমন মমতা বালা ঠাকুরের বিরুদ্ধে দখলদারির অভিযোগ এনেছেন তেমনি এদিন মমতা বালা ঠাকুর ও শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে নানা ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। এমনকি সারারাত বাইরে বসেই কাটাতে হয় তাকে বলেই জানান তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতা বালা।

এই কারণেই ১৪৪ ধারা চেয়েছিলেন বলেও দাবি করেন মমতা। শান্তনু ঠাকুরের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই মতুয়া ভক্তদের দাবি মেনে ঠাকুরবাড়ির স্মৃতি বিজড়িত এই ঘর হেরিটেজ ঘোষণা করার দাবি তোলা হয়েছে। তিনি জানান, এই ঘর হেরিটেজ হওয়া উচিত, কারও কুক্ষিগত ঘর হওয়া উচিত নয়। কারণ এই ঘরের সঙ্গে ঠাকুরনগরের স্মৃতি বিজড়িত, এই ঘরের সঙ্গে স্বগীয় পিআর ঠাকুর, মা বীণাপানির দেবীর স্মৃতি জড়িয়ে। এই ঘর যদি ভক্তরা হেরিটেজ চায়, আমরা মান্যতা দেব, আমরা চাই হেরিটেজ হোক। এক্ষেত্রে সবার জন্যই খোলা থাকবে, এবং খোলা রাখা উচিত বলেও মনে করেন শান্তনু। পরবর্তীতে ঠাকুরবাড়ির এই কলহ কী রূপ নেয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

Rudra Narayan Roy

Bangla News: কামনা পুকুরে ডুব দিলেই পুণ্যলাভ! লক্ষাধিক মতুয়া ভক্তরা ঠিক এই সময়ে দিলেন ডুব, অমৃতযোগ ঠিক কখন?

ঠাকুরনগর: বারুনী মেলা ঘিরে লক্ষাধিক মানুষ এই পুকুরে স্নান করলেও, কামনা সাগরের জলে আছে বিশেষ মাহাত্ম্য এমনটাই দাবি মতুয়া ভক্তদের। প্রতিবছরই নির্দিষ্ট সময় মেনে এই পুকুরে পুন্যস্নানে করতে মতুয়া ভক্তদের ঢল নামতে দেখা যায়। ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি এলাকা পার্শ্বস্থ হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে দলবদ্ধ হয়ে মতুয়ারা ডঙ্কা, কাশি, নিশান নিয়ে প্রদক্ষিন করে ডুব দেন কামনা সাগরের জলে। মাহেন্দ্রক্ষণ ধরে পুণ্যতিথিতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা গোসাই, পাগল, দলপতি-সহ মতুয়াভক্তরা সকলেই মনস্কামনা পুরনের লক্ষ্যে এই পুকুরে ডুব দেন।

ভিড় ঠেলে একবার কামনা সাগরে স্নান করতে পারলেই মনে তৃপ্তি আসে বলে জানিয়েছেন মতুয়াভক্তরা। তাদের বিশ্বাস হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের পদধুলি রয়েছে এই ঠাকুরবাড়িতে। আর ঠাকুরবাড়ির এই কামনা সাগরের জলে রয়েছে অনেক মাহাত্ম্য। তাই কামনা সাগরে স্নান বড় পুণ্যের। তাই প্রতিবছর দল বেঁধে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মতুয়া ভক্তরা ছুটে আসেন এই কামনা সাগরে ডুব দিতে।

আরও পড়ুনঃ গুণে ঠাসা লিচু ২ মাসই মেলে, রসে টইটম্বুর এই ফল গরমে আরাম! কাদের জন্য ‘বিষ’ লিচু?

মতুয়া ভক্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কামনা সাগরের জলে স্নান করলে বা পান করলে সব ব্যাধি দূর হয়। তাদের বিশ্বাস, কামনা সাগরে হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মতিথিতে স্নান করলে মনবাসনা পূরন হয়। ঠাকুরনগরের মেলায় লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমাগমে স্নানকালে কামনাসাগরের জল হয়ে যায় কালো। তবুও সেই জলেই ভক্তি ভরে সকলে স্নান সারেন তাতে ইচ্ছে পূরন হয়। জলের গুণগত মান যাচাই নয়, বরং একবার সেই জলে ডুব দিয়ে পূন্য অর্জনের আশায় সকলেই নামেন কামনা সাগরে।

কামনা সাগরের জলের মাহাত্ম্য নিয়ে আরেক মতুয়া ভক্ত জানালেন, শুধু স্নান নয়। তারা এই জল বাড়ি নিয়ে যান। সারাবছর সংরক্ষন করে রাখেন। যেকোন শুভ অনুষ্ঠানে তারা এই কামনা সাগরের জল ব্যবহার করে থাকেন। এমনকী শরীরে কোন রোগ-ব্যধির প্রকোপ দেখা দিলে এই জল বিশ্বাস নিয়ে পান করলে সেরে যায় তাদের ব্যাধি। মতুয়াদের বিশ্বাস কামনা সাগরের জলই তাদের কাছে ঈশ্বরের চরণামৃত। কামনা সাগরের এই জল গায়ে দিলে কিংবা চরণামৃত হিসেবে পান করলেও কোন রোগ-ব্যাধি হয় না বলেই জানান মতুয়া ভক্তরা। এ বছরও লক্ষাধিক ভক্তসমাগমে ভোর থেকে চলছে এই কামনা সাগরে পুণ্য স্নান। ১০:৪৫ এ অমৃতযোগে স্নান সারেন শান্তনু ঠাকুর। রাত পর্যন্ত চলবে স্নান।

Rudra Narayan Roy

North 24 Parganas News: ঠাকুরনগর বারুণী মেলায় কি জারি থাকছে ১৪৪ ধারা! সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন পুলিশ সুপার 

উত্তর ২৪ পরগনা: ঠাকুরনগর মতুয়াদের বারুণী মেলায় কোনও রকম ভাবেই জারি হয়নি ১৪৪ ধারা। মন্দিরে পূজো দিয়ে মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে এদিন জানালেন বনগাঁর পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। প্রতিবছর চৈত্র মাসে মতুয়া সম্প্রদায়ের ধর্মগুরু হরিচাঁদ এবং গুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শে মতুয়া ধামে মহা মেলার আয়োজন করা হয়। এবারও সেই মেলা বসেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ঠাকুরনগরে। শনিবার থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ঠাকুরনগরের শ্রীধামে এই মেলা চলবে।

এই মেলা ঘিরে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় প্রতিবছর। ইতিমধ্যেই নানা প্রান্ত থেকে মতুয়া ভক্তরা ঠাকুর বাড়িতে আসতে শুরু করেছেন। আগামিকাল পূর্ণ তিথিতে বারুণী স্নান। তারই আগে এদিন মেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখলেন বনগাঁর পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার স্বয়ং। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন্ত কবিরাজ, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অর্ক পাঁজা, গাইঘাটা থানার ভারপরাপ্ত আধিকারিক রাখেহরি ঘোষ সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।

আরও পড়ুন: ডিজিটাল প্রচার! কিউআর কোডে টাকা নয়, দেওয়া যাবে মতামত, কোথায় ঘটছে এমন ঘটনা

এদিন হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরেও পুজো দেন পুলিশ সুপার। তিনি জানান, মেলায় যাতে কোন রকম অপ্রীতিকার ঘটনা না ঘটে সেদিকে নজরদারি করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঠাকুরবাড়িতে পুলিশ কন্ট্রোল রুম তৈরি করা হয়েছে। ৫০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এবং সিসিটিভি ও ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি করা হবে। তৃণমূলে রাজ্যসভার সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর ঠাকুরবাড়িতে ১৪৪ ধারা জন্য যে আবেদন করেছিলেন।

আরও পড়ুন: ‘সন্দেশখালি সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম নয়…,’ বিজেপিকে মমতার ফের তোপ! দুর্নীতির প্রশ্নে মোদিকে কড়া জবাব

সে প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘কোন ১৪৪ ধারা লাগু হয়নি। উনি আবেদন করেছিলেন, সেটা পেন্ডিং অবস্থায় রয়েছে। আমরা সমস্ত ভক্তদের নির্ভয়ে মেলায় আসার জন্য আবেদন করছি। পুলিশ সুপারের এমন অভয় বাণীর পরই বাড়তি উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায় মতুয়া ভক্তদের মধ্যে। বেশ কয়েকদিন ধরে চলা ১৪৪ ধারা নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছিল এদিন তাতেই যেন জল ঢাললেন পুলিশ সুপার।’’

Rudra Narayan Roy