দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে

Fire Break Out: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! কৃষক পরিবারের ফসল বিক্রি ও ঋণ নেওয়া টাকা সহ সবকিছু পুড়ে ছাই

মালদহ: খড়ের গাদায় আগুন লেগে তা ছড়িয়ে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গেল কৃষক পরিবার। শসা চাষ করেছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বচকোন্দা গ্রামের বাবলু দাস, পবিত্র দাস ও কংস দাস নামে তিন ভাই। সেই শসা বিক্রি করে পাওয়া লক্ষাধিক টাকাও আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সেইসঙ্গে বাড়ির সমস্ত জিনিসপত্র ভষ্মীভূত হয়েছে বিধ্বংসী আগুনে।

বিধ্বংসী আগুন সবকিছু কেড়ে নেওয়ায় এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভিঙ্গল পঞ্চায়েতের বচকোন্দা গ্রামের দাস পরিবার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বাবলু দাসের বাড়িতে প্রথমে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন প্রতিবেশীরা। আগুন নেভাতে ছুটে আসেন অনেকেই। ফোন করা হয় তুলসীহাটা দমকলে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসতে দেরি করেছে। যদিও দমকল কর্মীদের দাবি, ফোনে তাঁদের ভুল ঠিকানা দেওয়া হয়েছিল। তাই প্রথমে তাঁরা অন্যত্র চলে গিয়েছিলেন।

আর‌ও পড়ুন: ডিজিটাল প্রিন্টিংয়ের দাপটে ভোটের বাজারেও কাজ নেই দেওয়াল লেখকদের

এদিনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিন ভাইয়ের বাড়িই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরনে কাপড় ছাড়া কিছুই বাঁচাতে পারেননি তিনটি পরিবারের সদস্যরা। আগুনে পুড়েছে বাড়িতে থাকা আসবাবপত্র, কাপড় ও দানাশস্য সহ নগদ টাকা ও অলঙ্কার। ক্ষতিগ্রস্ত পবিত্র দাস বলেন, আগুন কীভাবে ছড়াল তা সঠিক বলতে পারছি না। তবে বাবলু দাসের বাড়ির পাশে খড়ের গাদা থেকে প্রথম আগুন ছড়ায় বলে গ্রামের মানুষের দাবি। আগুনে পুড়ে গেছে পবিত্র দাসের শশা বিক্রি করে রাখা ৭০ হাজার টাকা। বাবলু দাসের ২০ হাজার টাকা ও কংস দাসের ৪০ হাজার টাকাও এই আগুনের গ্রাসে ছাই হয়ে গিয়েছে।

আর‌ও পড়ুন: ভোট প্রচারে বেরিয়ে সত্যাগ্রহ বিজেপি প্রার্থীর! কারণ জানলে অবাক হবেন

জানা গিয়েছে, কংস দাস কয়েকদিন আগে ওই ৪০ হাজার টাকা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিল। তবে আগুনে কেউ হতাহত হননি। ক্ষতিগ্রস্ত কংস দাস বলেন, দমকলকে ফোন করা সত্ত্বেও সঠিক সময়ে ইঞ্জিন এসে পৌঁছায়নি। তাই আমাদের এত বড় ক্ষতি হয়ে গেল। তুলসীহাটা দমকল কেন্দ্রের স্টেশন ম্যানেজার প্রবীর রায় বলেন, আমাদের ফোনে ভুল ঠিকানা বলেছিল। তাই দমকলের একটি ইঞ্জিন হরিশ্চন্দ্রপুর চলে যায়। সেখান থেকে ঘুরে তারপর ঘটনাস্থলে পৌছয়। এতে একটু দেরি হয়ে যায়।

হরষিত সিংহ