Crime News: নৃশংস! মাত্র ১৯ বছরে মর্মান্তিক মৃত্যু, শ্বাসরোধ করে খুন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীকে, আটক স্বামী, কঠোর শান্তির দাবি পরিবারের

মুর্শিদাবাদ: পনের দাবি মেটাতে না পারায় দ্বিতীয় বর্ষের কলেজ ছাত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে জিয়াগঞ্জ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় মৃতার পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে জিয়াগঞ্জ থানার আমিনাবাজার এলাকায়। মৃতার নাম রুকসেনা খাতুন (১৯)। জিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ জানা উদ্ধার করে আজিমগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষনা করেন। পরিবারের অভিযোগ খুন করা হয়েছে রুকসেনাকে। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামী মিসকাতুল ইসলামকে আটক করেছে।

চার বছর আগে সাগরদিঘি দস্তরহাট গ্রামের বাসিন্দা রুকসেনা খাতুনের সঙ্গে জিয়াগঞ্জ মুকুন্দবাগ গ্রাম পঞ্চায়েতের আমিনাবাজার এলাকার বাসিন্দা মিসকাতুল ইসলামের বিয়ে হয়। রুকসেনা খাতুন জিয়াগঞ্জ শ্রীপৎ সিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিন বছরের এক কন্যা সন্তানও আছে তাদের। মিসকাতুল ইসলাম সৌদি আরবে কর্মরত থাকায় বিয়ের কিছুদিন পর বাচ্চা হওয়ার আগে থেকে সাগরদিঘিতে বাবার বাড়িতেই থাকত রুকসেনা।

আরও পড়ুন-   শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

অভিযোগ শ্বশুরবাড়ি গেলেই পনের দাবিতে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। একমাস আগে স্বামী মিসকাতুল ইসলাম ফিরে আসলে নানান কারনে অশান্তি লেগেই থাকত। রবিবার দুপুরে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তার বাপের বাড়ি ফোন করে জানায় কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে রুকসেনা এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ রুকসেনার মৃতদেহ কবর দিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের। রুকসেনার বাপের বাড়ি লোকেরা জিয়াগঞ্জ থানায় খবর দেয়। জিয়াগঞ্জ থানার  পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে আজিমগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষনা করেন।

পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। অভিযোগ তিন বছরের কন্যা সন্তানের সামনেই খুন করা হয় রুকসেনাকে। সেই কারনে ওই শিশুটিকে ঘরবন্দী করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। মাকে খুনের সমস্ত ঘটনা জানায় রুকসেনার তিন বছরের কন্যা সন্তান। মৃত রুকসেনা খাতুনের আত্মীয় মুরসেলিম শেখ বলেন, বিয়ের পর থেকেই একটার পর একটা পনের দাবিতে রুকসেনার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেয়েটার উপর অত্যাচার করত। একমাস আগে ওর স্বামী সৌদি আরব থেকে ফিরে আসলে সেই অত্যাচার আরও বেড়ে যায়। ওর স্বামী মিসকাতুল ইসলাম আর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা খুন করে মৃতদেহ কবর দিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। আমরা চাই রুকসেনার খুনিদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।