আসানসোল: আসানসোলে প্রার্থী বদলে দিল বিজেপি। এসএস আলুওয়ালিয়াকে প্রার্থী করল গেরুয়া শিবির। ওই কেন্দ্রে প্রথমে ভোজপুরী গায়ক, নায়ক পবন সিংকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। কিন্তু প্রার্থী ঘোষণার পরই ট্যুইটারে পবন ঘোষণা করেছিলেন, আসানসোল থেকে ভোটে লড়তে চান না তিনি। এরপরই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, আসানসোলে কাকে প্রার্থী করবে বিজেপি। অবশেষে বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ আলুওয়ালিয়াকেই প্রার্থী করল গেরুয়া শিবির।
যদিও আসানসোল থেকে প্রার্থী হতে চান না ঘোষণার সাত দিনের মধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেন পবন সিং। লেখেন, ‘আমি ভোটে লড়ব। আমার সমাজের কাছে, মানুষের কাছে একটি প্রতিশ্রুতি রেখেছিলাম। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে আমি আসানসোলে BJP-র হয়ে ভোটে লড়ব। আপনাদের সকলের আশীর্বাদ এবং সহযোগিতা চাইছি। জয় মাতা দি।’ এখানেই শেষ নয়, পবন সিং জানিয়েছিলেন, তাঁর মাকে দেওয়া বিশেষ প্রমিস রাখতেই তিনি আসানসোল থেকে ভোটে লড়তে চান। কিন্তু সেখানে তাঁকে আর প্রার্থী করল না বিজেপি।
আরও পড়ুন: ‘গ্রেফতার নয়’, ভূপতিনগরে NIA-কাণ্ডে বিরাট নির্দেশ আদালতের! ভোটের মাঝেই তুমুল শোরগোল
পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি হল আসানসোল। পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এটি। ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী এই লোকসভা কেন্দ্র কয়লা খনন এবং রেল সংক্রান্ত কাজের জন্য পরিচিত। আসানসোলের জনসংখ্যার ৫০ শতাংশই হিন্দিভাষী। অবাঙালি ভোটার ৩৬ শতাংশ।
আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে। এগুলি হল- পাণ্ডবেশ্বর, রানিগঞ্জ, জামুরিয়া, আসানসোল দক্ষিণ, আসানসোল উত্তর, কুলটি ও বারাবনি। ১৯৮৪ সাল থেকে এই লোকসভা কেন্দ্র সিপিআইএমের গড় ছিল। তবে ২০১১ সালের পর থেকে বাম দুর্গের পতন হয়। ভোটারদের একটা অংশ বিজেপির দিকে ঝোঁকে, অপর অংশ তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভোট দেয়। বর্তমানে আসানসোলের সাংসদ অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন ২০২২ সালের উপনির্বাচনে। বিপুল ভোটে জেতার পর এবারও তিনি তৃণমূলের প্রার্থী। তার বিরুদ্ধেই এবার লড়বেন আলুওয়ালিয়া।