চৈত্রের গাজন গান

Gajan Festival: চৈত্র শেষে গাজন উৎসব গোটা জেলায়

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চৈত্র সংক্রান্তিতে গাজন উৎসবে মাতেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এ বহু প্রাচীন প্রথা। গ্রাম বাংলায় আজও সংক্রান্তিতে গাজন ও চড়ক উৎসব হয়। এর সঙ্গে জড়িত বহু প্রাচীন ইতিহাস। কেউ কেউ বলেন, গর্জন শব্দ থেকে এসেছে গাজন।

হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী চৈত্র মাস হল শিব-পার্বতীর বিবাহের মাস। এই মাসেই তাই গাজনের দেখা মেলে বিভিন্ন এলাকায়। গাজনের পাশাপাশি গ্রাম বাংলার মানুষ আজও চড়কের উৎসবে মাতেন। চড়ক হল হিন্দুদের এক অন্যতম উৎসব। শোনা যায়, শিবভক্ত বান রাজা ইষ্ট দেবতাকে তুষ্ট করতে কঠিন সাধনার মধ্য দিয়ে তপস্যা করেন। সেই ধরেই চড়কের শিবভক্ত সন্ন্যাসীরা আজও ঝাঁপ দেন। তবে এখন গ্রামবাংলার পাশাপাশি শহরেও গাজন গানের ছবি দেখা যায়।

আর‌ও পড়ুন: আমের জেলা মালদহে নেই রফতানির আধুনিক পরিকাঠামো, ভোটের মুখে সরব চাষিরা

গ্রাম বাংলার বহু মানুষকে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় চৈত্র মাসের শুরু থেকেই বাড়ির মহিলা থেকে পুরুষরা সন্ন্যাস নেন। সারাদিন সন্ন্যাসীরা পথে পথে ঘুরে ভিক্ষা করেন। দিনভর উপবাসের পরে ভিক্ষায় মেলা চাল, সবজি রান্না করে খান। আবার অনেকেই চৈত্র মাসের শেষ কটা দিনে সন্ন্যাসীর জীবন পালন করেন। গাজনের অংশ হিসেবেই পরের দিন পালিত হয় নীল পুজো। সনাতনী ধর্ম মেনে সন্তানের মঙ্গল কামনায় গাজন সন্ন্যাসীদের ফল, আতপচাল, ডাব নারকেল দান করেন মায়েরা। অনেকে গোটা দিন উপবাস করে শিবের পুজো দেন। কেউ দিনের শেষে সাগু মাখা খান, কেউ রুটি, লুচি। আর চৈত্রের একেবারে শেষ দিনে উদ্‌যাপিত হয় চড়ক। গাজনতলায় হয় চড়কগাছের পুজো। চড়কগাছ মানে একটি লম্বা কাঠের দণ্ড। তার উপরে অনেকটা উঁচুতে আংটায় ঝুলে থাকা জনা সন্ন্যাসীরা ক্রমাগত ঘুরপাক খান। এ দৃশ্য আজও দেখা যায়।

সুমন সাহা