জহুরা চন্ডীর পুজো 

Jahura Chandi Puja: জাগ্রত জহুরা চন্ডী! যা চাইবেন পাবেন! পুজোয় ভক্তের ঢল! দেখলেই মিলবে শান্তি!

মালদহ:  বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে মন্দিরে নিয়ে আসা হল দেবি বিগ্রহ। বৈশাখ মাস জুড়ে প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবার অনুষ্ঠিত হবে দেবি জহুরা চন্ডীর পুজো। জেলা ও জেলার বাইরের লক্ষাধিক ভক্তদের সমাগম হয় প্রাচীন এই পুজোয়। রীতি মেনে বিগ্রহ তৈরি করে নিজের হাতে প্রথম পুজো দিয়ে জহুরা চন্ডীকে মন্দিরে পাঠান মৃৎশিল্পী। ঐতিহ্য সহকারে এই নিয়ম মেনেই জহুরা চন্ডীর বিগ্রহ তৈরি করে আসছেন মালদহ শহরের কালিতার পাল পরিবার। এখন তেরো পুরুষের বর্তমান প্রজন্ম প্রাচীন জহুরা চন্ডীর বিগ্রহ তৈরি করে আসছেন।

পাল পরিবারের সব বর্তমান পরিবারের অভিভাবক জ্যোতির্ময় পাল জহুরা চন্ডীর বিগ্রহ তৈরি করছেন। পূর্বপুরুষের নিয়ম মেনেই বর্তমান বাড়ির বড় ছেলে বিগ্রহ তৈরি করছেন। তিনি বারো তম উত্তরসূরি। তাঁর ছেলে বাবাই পাল তেরো তম উত্তরসূরি হয়ে বিগ্রহ তৈরিতে এখন থেকেই বাবাকে সাহায্য করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ রজক বলেন, প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো এই মন্দির। আম বাগানের মধ্যে অবস্থিত মন্দিরটি প্রচুর ভক্তের সমাগম ঘটে। মা জহুড়া চন্ডী খুবই জাগ্রত। প্রাচীন কাল থেকেই মালদহের ইংরেজবাজারের জহুরাতলায় পুজিত হয়ে আসছেন মা জহুরা।

আরও পড়ুন:  প্রচারে বেরিয়ে একী করে বসলেন তৃণমূল প্রার্থী! জানলে অবাক হবেন

জহুরা চণ্ডীর নামেই গ্রামের নাম হয়েছে জহুরা তলা। প্রাচীন বাংলার রাজধানী গৌড়ে সেন বংশের আমলে তৈরি হয়েছিল এই জহুরা চন্ডী মন্দির। সেন বংশের কুলদেবী ছিলেন জহুরা। জহুরা ছাড়াও আরও তিনটি চন্ডী মন্দির তৈরি হয়েছিল সেন আমলে। সেগুলিরো অবস্থান বর্তমানে মালদহে রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই বৈশাখ মাসের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার পূজিত হন দেবী জহুরা চন্ডী। সেই নিয়ম আজও অব্যাহত। মন্দিরে পুজো দিতে আসা ভক্ত লাবণ্য চক্রবর্তী বলেন, ছোটবেলা থেকেই এই মন্দির দেখে আসছি পুজো দিচ্ছি। এখন পর্যন্ত যা মনস্কামনা করেছি সমস্ত কিছুই পূরণ হয়েছে। মা জহুরা চন্ডী খুব জাগ্রত।

বৈশাখ মাসের মঙ্গলবার ও শনিবার পুজো ও মেলা বসে। বৈশাখ মাসের প্রথম শনিবার বা মঙ্গলবার প্রথম জহুরা চণ্ডীর পুজো শুরু হয়। এবছর মঙ্গলবার মাসের প্রথম। তাই এদিন থেকেই শুরু হল প্রাচীন জহুরা চন্ডী পুজো। রীতি মেনে পুজোর দিন সকালে বিগ্রহ রং করা হয়। জোহরা মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে পায়ে হেঁটে শোভাযাত্রার মাধ্যমে নিয়ে আসা হয় বিগ্রহ ঢাকা দেওয়ার কাপড়।পথে প্রথমে মন্দিরের পুরোহিতের বাড়িতে পুজো হয়।তারপর মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত করে শুরু হয় পুজো। প্রথম দিনই জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু ভক্তের সমাগম ঘটে দেবী জহুরার পুজোর দিতে। পুজো কে কেন্দ্র করে প্রতি শনি ও মঙ্গলবার একমাস ব্যাপী বর্তমানে মেলা অনুষ্ঠিত হয় মন্দির প্রাঙ্গণে।

হরষিত সিংহ