মালদহ: পাশাপাশি দুই পাড়ায় রয়েছে চামুন্ডা ও বুড়াকালি। স্থানীয়দের কাছে তাঁরা দুই বোন হিসাবেই পরিচিত। দুই বোন হলেও তাঁদের মধ্যে নাকি তুমুল ঝগড়া। শুধুমাত্র গম্ভীরা উৎসবেই নাকি তাঁদের দেখাহয়। এই বিশ্বাসেই আজও পুরাতন মালদহের গম্ভীরা উৎসবে চামুন্ডা ও বুড়াকালির নৃত্য দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন।
বহুদিন ধরে চলে আসা নিয়ম মেনে পুরাতন মালদহে পালিত হয়ে আসছে গম্ভীরা উৎসব। মালদহের প্রাচীন লোকউৎসব এই গম্ভীরা। বৈশাখ মাসের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয় এই গম্ভীরা উৎসব। গম্ভীরা উপলক্ষে পুরাতন মালদহের প্রতিটি মানুষ বাড়ি ফিরে আসেন এই সময়। গম্ভীরা উৎসবের মূল আকর্ষণ মুখা নাচের। বিভিন্ন দেব-দেবী সেজে, মুখোশ পরে নৃত্য করা হয় গম্ভীরা উৎসব উপলক্ষে। সেগুলির মধ্যে বিখ্যাত চামুন্ডা নৃত্য, বুড়াবুড়ি, পরীনৃত্য এছাড়াও বিভিন্ন রকম নাচ করা হয় গম্ভীরা উৎসব উপলক্ষে।
আরও পড়ুন: ছাদ বাগানে এই পদ্ধতিতে লঙ্কা গাছ লাগালে প্রচুর ফলন, আর বাজার থেকে কিনতে হবে না
স্থানীয় বাসিন্দা পঙ্কজ কুমার সরকার বলেন, এলাকায় প্রাচীন কাল থেকে গম্ভীরা উৎসব হয়ে আসছে। বাচামারি গম্ভীরা উৎসবের মূল আকর্ষণ চামুন্ডা ও বুড়াকালি দুই বোনের নৃত্য। কথিত আছে, পুরাতন মালদহের বাচামারি এলাকায় মহানন্দা নদীর ঘাট থেকে দেবী কালীর ভিন্ন ভিন্ন সাতটি মুখ ভেসে আসে। স্থানীয় মন্দিরের পুরোহিত সেগুলি নদীর ঘাট থেকে পান। তখনই দেখা যায় চামুণ্ডা আর বুড়িকালীর মুখ যতবার পাশাপাশি রাখা হচ্ছিল, ততবারই দুটি মুখ দূরে সরে যাচ্ছিল৷ অগত্যা দুটি মুখ দুই জায়গায় রাখা হয়৷
হরষিত সিংহ