তিন বারের প্রচেষ্টায় IAS হওয়ার স্বপ্নে সফল হলেন

Success Story: ২.৫ লক্ষ টাকার বেতনের চাকরি, ক্রিকেট ছেড়ে পড়াশোনা! UPSC পরীক্ষায় প্রথম হলেন এই ইঞ্জিনিয়ার

লখনউ : ইচ্ছে থাকলে হাত বাড়িয়ে আকাশকেও ধরা যায় মুঠোয়। হার না মানা মনোভাব নিয়ে সে কথা প্রমাণ করলেন লখনউ-এর বাসিন্দা আদিত্য শ্রীবাস্তব। ২০২৩ সালের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার মেধাতালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন কানপুর আইআইটি-র এই প্রাক্তনী। তিন বারের প্রচেষ্টায় IAS হওয়ার স্বপ্নে সফল হলেন এই ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।

ইউপিএসসি পরীক্ষায় সারা দেশের মেধাতালিকায় ২০২২ সালে আদিত্যর স্থান ছিল ২৩৬। আইপিএস হিসেবে মনোনীত হন তিনি। এখন হায়দরাবাদে তাঁর আইপিএস ট্রেনিং চলছে। ছেলের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত আদিত্যর বাবা। বলেছেন, তাঁরা ভাবতেও পারেননি ছেলে মেধাতালিকায় প্রথম স্থান পাবে। খবরটা পেয়ে প্রথমে তিনি ও তাঁর স্ত্রী কিছু বলতেই পারেননি। ছেলের ফোনে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।

মেধাবী আদিত্য ছোট থেকেই পরীক্ষায় প্রথম স্থান পেতে অভ্যস্ত। আইআইটি কানপুর থেকে পাশ করার পর তিনি বেঙ্গালুরুতে বিখ্যাত বহুজাতিক সংস্থা Goldman Sachs-এ যোগ দেন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কে চাকরি করেছেন ১৫ মাস। প্রতি মাসে বেতন পেতেন প্রায় ২.৫ লক্ষ টাকা।

আরও পড়ুন : অর্থলাভ! বিয়ে, সন্তানলাভে বাধা দূর! পরিবারে শান্তি! শুধু রামনবমীর সন্ধ্যায় করুন এই ছোট্ট কাজ

কর্পোরেট চাকরি করেও তাঁর পাখির চোখ ছিল ইউপিএসসি পরীক্ষায় সাফল্য। কিন্তু চাকরির জন্য বাধা পাচ্ছিলেন পরীক্ষার প্রস্তুতিতে। ২০২০ সালে ইউপিএসসি প্রিলিমস-এর ঠিক এক মাস আগে চাকরি ছেড়ে বাড়িতে ফিরে আসেন। জানিয়েছেন তাঁর বাবা, পেশায় ক্যাগ-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট অডিট অফিসার, অজয় শ্রীবাস্তব।

স্বপ্নপূরণের জন্য ছাড়তে হয়েছে প্রিয় শখ ক্রিকেট খেলাও। তবে এখনও খুবই ভালবাসেন বাইশ গজের খেলা। কিন্তু ক্রিকেট ও আইএএস হওয়ার মধ্যে বেছে নেন দ্বিতীয়টিকেই। নিয়মিত কোচিং বাদ দিয়ে আদিত্য ভরসা রাখতেন মক ইন্টারভিউ ও পুরনো প্রশ্নপত্র সমাধানেই। সময় ধরে পুরনো প্রশ্ন সমাধানই তাঁর সাফল্যের হাতিয়ার।