পাঁচমিশালি Sun: সূর্যে পরপর বিস্ফোরণ! ২০২৪-এ পৃথিবীর বড় ক্ষতি! ধেয়ে আসছে ভয়ানক বিপদ Gallery April 25, 2024 Bangla Digital Desk সূর্যপৃষ্ঠের চারটি ভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। এই পরপর বিস্ফোরণের কারণে চারটি সৌর শিখা নির্গত হয়েছে। ২৩ এপ্রিল সকালে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা সারা বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের নজর কেড়েছে। নাসার সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি বিস্ফোরণের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই বড় বিস্ফোরণের জেরে সৌরঝড়ের উদ্ভব হতে পারে, যা আগামী দিনে পৃথিবীতে ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে। এই ধরনের পরপর বিস্ফোরণকে সহানুভূতিশীল সৌর শিখা বলা হয়। সৌর শিখা সূর্যের পৃষ্ঠে বিকিরণের শক্তিশালী বিস্ফোরণ। সৌর বায়ুমণ্ডলে হঠাৎ চৌম্বকীয় শক্তি নির্গত হলে সৌর শিখা বিস্ফোরিত হয়। এই আগুনের সঙ্গে সঙ্গে সানস্পটও উঠে আসে। সানস্পটগুলি সূর্যের পৃষ্ঠের অন্ধকার দাগ যা, চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের সঙ্গে আগুনের সংঘর্ষে শীতল অঞ্চলগুলিতে দেখা যায়। খবরে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণস্থলগুলো একে অপরের থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে ছিল। সাধারণত, সহানুভূতিশীল শিখার ঘটনাগুলিতে, দুটি শিখা একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। কিন্তু এবার চারটি সোলার ফ্লেয়ারে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে, যাকে ‘সুপার সহানুভূতিশীল’ বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিস্ফোরণের ধ্বংসাবশেষ! বিস্ফোরণের মোট শক্তি কত ছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে সানস্পট। Spaceweather.com লিখেছে, এমন একটি সম্ভাবনা রয়েছে যে “কমপক্ষে কিছু ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর দিকে আসতে পারে”, যা আসলে করোনাল মাস ইজেকশন (সিএমই) নামে পরিচিত। এর ফলে প্লাজমা এবং বিকিরণের একটি দৈত্য মেঘ হতে পারে। এটি ২০২৪ সালে আসা তৃতীয় সহানুভূতিশীল ফ্লেয়ার। এর আগে জানুয়ারি ও মার্চ মাসে সৌর শিখা ছড়িয়ে পড়েছিল। পৃথিবীতে কী প্রভাব পড়তে পারে? বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, এই সৌর অগ্নিশিখার কোনও একটি পৃথিবীতে সৌরঝড় সৃষ্টি করতে পারে। সৌরঝড় বা সিএমই যখন পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রে আঘাত হানে তখন এর ব্যাপক প্রভাব দেখা যায়। সৌরঝড়ের কারণে পৃথিবীর পাওয়ার গ্রিড থেকে শুরু করে স্যাটেলাইট যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বিঘ্নিত হতে পারে। নভোচারী ও বিমানযাত্রীদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তেজস্ক্রিয়তার সম্মুখীন হতে হতে পারে। সৌর ঝড়ের কারণে পৃথিবীর চৌম্বক মেরুর কাছেও সুন্দর প্রাকৃতিক আলো দেখা যায়, যাকে অরোরা বলা হয়।