Tag Archives: Sun
Sun: এই ছবিটি কীসের বলুন তো? ‘সূর্যের’! বিশ্বাস হচ্ছে না? আসল ঘটনা জানলে চোখ কপালে উঠে যাবে
Sun: সূর্যে পরপর বিস্ফোরণ! ২০২৪-এ পৃথিবীর বড় ক্ষতি! ধেয়ে আসছে ভয়ানক বিপদ
Sunlight: মিশে আছে সাত রং, তাও সূর্যের আলো সাদা বা হলুদ দেখায় কেন? জানলে চমকে যাবেন
সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় সূর্যের রং লাল হলেও আমরা সূর্যের আলোকে সবসময় সাদা হিসেবেই দেখি। কেন? হয়তো কোনও না কোনও সময়ে, এই প্রশ্নটি অনেকেরই মনে এসেছে। সূর্যের আলোতে অনেক রং মিশে থাকে, তাই মাঝে মাঝে আমরা আকাশে রামধনুর রং দেখতে পাই, কিন্তু সূর্যের আলোর রং সাধারণত সবসময় একই থাকে। এর মূল কারণ কী, সেটাই এবার জেনে নেওয়া যাক।
প্রকৃতপক্ষে, শুধুমাত্র দুই ধরনের প্রাথমিক রং আছে। এগুলি হল উজ্জ্বল রং, যেমন লাল-সবুজ এবং নীল। দ্বিতীয়ত, যেগুলি পিগমেন্ট অর্থাৎ পদার্থের রং। এগুলিকে আমরা পেইন্টিং ইত্যাদিতে ব্যবহার করি যেমন, লাল, নীল, হলুদ। এই পিগমেন্ট রঙের ওপরে যখন আলো পড়ে, তখন এগুলি সমস্ত রং শোষণ করে এবং শুধুমাত্র সেই রঙের প্রতিফলন করে যা পদার্থটির নিজের রং।
আরও পড়ুন- বিয়ের পরই চোখে জল ‘নববধূ’ সন্দীপ্তার! কারণটা কী? শুনলে আঁতকে উঠবেন
উদাহরণস্বরূপ, যখন আকাশে আলো পড়ে, তখন এটি সমস্ত রং শোষণ করে এবং শুধুমাত্র নীল রঙকে প্রতিফলিত করে। যে কারণে এটি নীল দেখায়। এর স্পষ্ট অর্থ হল এটি নীল রঙের মধ্যে অন্যান্য রঙকে লুকিয়ে রেখেছে।
এখন আলোর রঙ সম্পর্কে কথা বলা যাক। এটি যেমন আছে ঠিক তেমনই দেখা যায়। আলো যদি লাল রঙের হয় তবে তা লাল দেখাবে এবং যদি এটি সবুজ রঙের হয় তবে এটি কেবল সবুজ রঙ দেখাবে। কিন্তু যে কোনও দুটি রঙ একত্র হলেই মিশে গিয়ে নতুন রঙ তৈরি হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি লাল এবং সবুজ মেশানো হয় তবে এটি হলুদ দেখাবে। অর্থাৎ রঙের মিশ্রিত হওয়ার বৈশিষ্ট্য আছে। সূর্যালোক আমাদের কাছে সাদা দেখায় কারণ এটি সমস্ত প্রাথমিক রঙের মিশ্রণ। মানে সব প্রাথমিক রং এতে দ্রবীভূত হয়। ব্যাপারটিকে এই ভাবে বোঝা যেতে পারে, যদি পিগমেন্ট অর্থাৎ পদার্থের রং মিশিয়ে সাদা করতে চাই, তাহলে তা সম্ভব নয়। কারণ এদের সেই গুণটি নেই। ফলে এটি কোনও বিশিষ্ট রং দেখায় না, তাই সূর্যালোক আমাদের কাছে সাদা দেখায়।
Offbeat News: এই গ্রামে এলে মনে হবে স্বয়ং পৃথিবীতেই নেমে এসেছে সূর্য, জানুন সেই আশ্চর্য কাহিনি!
কলকাতাঃ পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি প্রাণীর জন্যই সূর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সূর্যের রশ্মিই আমাদের পৃথিবীতে জীবনকে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জন্যও সূর্যালোক সমান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পৃথিবীতে এমন একটি গ্রাম আছে, যেখানে সূর্য উঠত, কিন্তু সূর্যের আলো পৌঁছত না। এই গ্রামের অন্যতম একটি বড় সমস্যা ছিল সূর্যালোক। গ্রামবাসীরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে একটি আশ্চর্যজনক সমাধান আবিষ্কার করেছেন। তাঁরা সূর্যকেই পৃথিবীতে অবতরণ করিয়েছেন!
না না, আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই, পৃথিবীতে সূর্যকে নামানো মানে তাঁরা নিজেদের জন্য সূর্যালোকের এমন ব্যবস্থা করেছেন, যা দেখে মনে হবে তাঁরা সূর্যকেই পৃথিবীতে নামিয়েছেন। গ্রামবাসীদের এই উপায় জানলে অবাক হবেন যে কেউ। ভিগানেলা সুইজারল্যান্ড এবং ইতালির মধ্যবর্তী একটি গ্রাম। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সূর্যের আলো কমে গেলে বা সরাসরি আলো না পড়লে এই গ্রাম আলো থেকে বঞ্চিত হয়।
আসলে, এই গ্রামটি পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত, যার কারণে গ্রামে আলো পৌঁছায় না। ১১ নভেম্বর এখানে সূর্য অদৃশ্য হয়ে যায় এবং ২ ফেব্রুয়ারি আবার বেরিয়ে আসে। স্থানীয় মানুষেরা বলেন যে এটি অনেকটা সাইবেরিয়ার মতো। কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী, এখানে প্রায় ২০০ লোক বসবাস করেন। গ্রামবাসীরা এখানে শত শত বছর ধরে এভাবেই বেঁচে ছিলেন। কিন্তু ২০০৫ সালে তাঁদের ভাগ্য বদলে যায়। ভিগানেলার মেয়র পিয়েরফ্রাঙ্কো মিদালির সহায়তায় ১ লক্ষ ইউরো সংগ্রহ করা হয় এবং পাহাড়ে বিশাল আয়না বসানোর কাজ শুরু হয়।
২০০৬ সালে নভেম্বর মাসে, পাহাড়ে একটি ৪০ বর্গ মিটার আয়না বসানো হয় যার ওজন ছিল ১.১ টন। এটি ১১০০ মিটার উচ্চতায় বসানো হয়েছিল। সূর্যের আলো আয়নায় পড়ে গ্রামের দিকে প্রতিফলিত হয়। আয়নাটি পুরো গ্রামকে আলোকিত করার জন্য যথেষ্ট বড় ছিল না, তাই আয়নার কোণ এমন ভাবে বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এটি গ্রামের চার্চের সামনের স্থানটিকে আলোকিত করবে। এই আয়নাটি একটি কম্পিউটার দ্বারা পরিচালিত হয়, যা সারাদিন সূর্যের গতিবিধি অনুসরণ করে এবং আয়নাটি সেইভাবেই ঘোরে। এই ভাবে এই আয়না গ্রামের একটি অংশকে ৬ ঘন্টা আলোকিত রাখে। আয়না বসানোর পর মানুষের মেজাজ ও প্রকৃতিতেও বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা দিয়েছে আলোর আগমনে।