Dilip Ghosh threatens TMC: ‘১৩ তারিখের পর হিসেব হবে!’ তৃণমূলকে চরম হুঁশিয়ারি, দিলীপ আছেন দিলীপেই

বর্ধমান: বেফাঁস মন্তব্যের জন্য নির্বাচন কমিশন, এমন কি নিজের দলেরও রোষের মুখে পড়তে হয়েছে৷ তবু দিলীপ ঘোষ আছেন স্বমহিমাতেই৷ এ দিন মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে তৃণমূলকে মারের পাল্টা মারের হুঁশিয়ারি দিয়ে ফের তা বুঝিয়ে দিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী৷

তৃণমূল বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা চালালে তিনি যে ছেড়ে কথা বলবেন না, এ দিন ফের তা মনে করিয়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ৷ একই সঙ্গে ১৩ মে বর্ধমান-দুর্গাপুরে ভোট হয়ে যাওয়ার পর ‘হিসেব হবে’ বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তিনি৷

দিলীপ ঘোষ এ দিন রাখঢাক না করেই বলেন, আমাদের উপরে হামলা হলে আমরা হামলা করেই উত্তর দেব৷ দিলীপ ঘোষ এটা পরিষ্কার করে বলছে৷ কে কী করবে জানি না, আমি এসে গিয়েছি৷ চোখ দেখালে চোখ দেখাব, লাঠি দেখালে লাঠি দেখাব৷ আর ওরা যদি ১৩ তারিখ পর্যন্ত ভদ্রলোকের মতো না থাকে তাহলে ১৩ তারিখের পর হিসেব হবে৷ আমি তো থাকব পাঁচ বছর৷
নিজের জয় নিয়েও যথারীতি আত্মবিশ্বাসী দিলীপ৷ তাঁর দাবি, ওদের প্রার্থীকে তাই এখন থেকেই দেখা যাচ্ছে না, কোনও নেতা সামনে আসছে না৷ পার্টি অফিসের সামনে আমাকে গো ব্যাক বলছে৷ দম থাকলে রোদে বেরো না৷ বিজেপি এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়বে না৷

আরও পড়ুন: ফের ভোটের ময়দানে গৌতম দেব! প্রাক্তন মন্ত্রীর কামব্যাকে চাঙ্গা সিপিএম, মিলবে ফল?

যদিও দিলীপ ঘোষের এই হুঁশিয়ারিকে আমল দিতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল৷ তৃণমূল মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, দিলীপ বাবুকে তাঁর নিজের দল বিজেপি, নির্বাচন কমিশন সাসপেন্ড শোকজ করেছে৷ সংবাদমাধ্যমে বেঁচে থাকার জন্য রোজ সকালে অকথা কুকথা বলে চলেছেন৷ কখনও লাঠি, কখনও গদা নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন৷ একটা নাটুকে চরিত্র৷ ওখানে তো বিজেপির কোনও সংগঠন নেই৷ শুভেন্দু অধিকারী দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুর থেকে উৎখাত করে বর্ধমানে পাঠিয়েছেন৷ ওনার পিছনে তো ওনার দলেরই কোনও নেতা নেই৷ সবাইকে মারব ধরব না বলে এসব প্রশ্নের উত্তর দিন৷ হতাশায় উনি এসব বলছেন৷

প্রসঙ্গত, বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রে প্রচারে নেমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষ৷ যে কারণে তাঁকে শো কজ করে সতর্ক করে দেয় নির্বাচন কমিশন৷ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও দিলীপ ঘোষকে সংযত হওয়ার জন্য কড়া বার্তা দেন৷ যদিও তারপরেও নিজের বেপরোয়া মনোভাবে বদল আনতে নারাজ দিলীপ ঘোষ৷ কয়েক দিন আগেই তিনি দাবি করেছেন, বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ৩৫টি আসন পেলে ছ মাসের মধ্যে তৃণমূল সরকারের পতন হবে৷ আবার তৃণমূলকে হারাতে বামেদের সমর্থনও চেয়েছেন দিলীপ৷