মহারাষ্ট্র: মাত্র ১৭ বছর বয়স পেরোনোর আগেই দু’দুবার গর্ভবতী। কিশোরীর দুই সন্তানকে বিক্রি করে দেয় বাবা-মা। মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার সপ্তদশী বালিকার জীবনের ঘটনায় আঁতকে উঠছে গোটা দেশ। বালিকা পুলিশকে জানায় তাঁর দুবার গর্ভবতী হওয়ার কথা। পাশাপাশি বাবা-মা, একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল, দুই মহিলা ডাক্তার এবং এক সমাজকর্মী, এক আইনজীবী-সহ মোট ১৬ জনের নামে অভিযোগ জানায়।
ঘটনায় কিশোরীর বাবা-মা সহ অন্তত ১৬ জনের বিরুদ্ধে পকসো আইন এবং জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট অনুযায়ী, শিশুকে ধর্ষণ এবং বিক্রি করার জন্য মামলা রুজু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গরমে রোজ দই খাচ্ছেন? তলে তলে বাড়ছে না তো ইউরিক অ্যাসিড? জেনে নিন
দেশের এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বালিকা দুই আলাদা ব্যক্তির দ্বারা গর্ভবতী হয়। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে ২৩ বছররে এক যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই কিশোরীর। পরে তারা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়। কিশোরী গর্ভবতী হওয়ার পর তার বাবা-মা সমস্ত কিছু জানতে পারেন। বালিকার কথায় তার বাবা-মা স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং এক সমাজকর্মীর সহায়তা চেয়েছিলেন সেই সময়।
সপ্তম শ্রেণিতেই পড়াশোনায় ইতি হয় ওই কিশোরীর। পরে একটি বেসরকারী হাসপাতালে তাকে চিকিত্সার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিশোরীর কথায়, গর্ভাবস্থার মধ্যেই বাবা-মা তাকে এক আইনজীবীর কাছে নিয়ে যায়। কিছু কাগজপত্রে সইও করতে হয়। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় বালিকা। পরে সেই কন্যা সন্তানকে এক সমাজকর্মীকে দিয়ে দেওয়া হয়।
সন্তানের জন্মের ৬ মাস পরে ওই ২৩ বছরের যুবকের সঙ্গে ফের যোগাযোগ করে বালিকা। কিশোরীর অভিযোগ, যুবক বালিকাকে বিয়ে করতে চাইলেও তাকে অন্যরা বাধা দেয়। কিশোরীর আরও অভিযোগ ওই যুবক জানায়, ওই সমাজকর্মীকে তিনি ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছেন।
কিশোরীর অভিযোগ এই টাকা তার বাবা-মা এবং এক পরিচিত কাকু প্রত্যেকে ১.৫ লাখ টাকা পেয়েছেন। সমাজকর্মী-সহ অন্য কয়েকজন অবশিষ্ট ১ লক্ষ টাকা ভাগাভাগি করেছেন। পরে কিশোরীকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এখানে অন্য এক ২৩ বছরের যুবকের সঙ্গে তার বিয়ের কথা চলে।
এই যুবকের দ্বারা ফের গর্ভবতী হয় কিশোরী। পরে কিশোরীর পূর্ব সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যুবক বিয়ে করতে অস্বীকার করে। দ্বিতীয়বার পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় কিশোরী। এই সন্তানটিকেও অন্য এক সমাজকর্মীর মাধ্যমে বিক্রির সিন্ধান্ত নেয় কিশোরীর বাবা-মা। তখনই পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানায় অভিযোগকারী কিশোরী।