অনুব্রতকে নিয়ে কী বললেন মমতা?

Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডল জেল থেকে ছাড়া পাবেন কবে? লাভপুরে ‘অঙ্ক’ বুঝিয়ে জানিয়ে দিলেন মমতা

বীরভূম: বীরভূমে ভোট প্রচারে এসে তাঁর ‘প্রিয়’ কেষ্টকে (অনুব্রত মণ্ডল) স্মরণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের সবচেয়ে বড় গুণ কী, তা নিয়েও প্রকাশ্যে মন্তব্য করলেন তৃণমূল নেত্রী। মমতার কথায়, ”কেষ্টর কেসে কী আছে, আমি জানি না। আইন আইনের পথে চলবে। তবে গরীব কেউ ওঁর কাছে গেলে খালি হাতে ফিরে আসত না। ও জেলাটাকে হাতের তালুর মত চিনত।” এ কথা মমতা আগেও বলেছেন। রবিবার লাভপুরের সভা থেকে ফের একবার বললেন, ”কেষ্ট আজ জেলে থাকলেও আমি মনে করি, কেষ্ট জেলার উন্নয়ন হাতের তালুতে রাখত। বিজেপি সাজিয়ে গুছিয়ে কেস করেছে। তাতে কী এসে যায়। একদিন না একদিন তো বেরোবেই।”

এর কিছুক্ষণ বাদেই ফের একবার বলেন, ”বিজ্ঞাপনের এত টাকা আসছে কোথা থেকে? ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। যে কেউ আদালতে মামলা করতে পারে। আর আদালতে বিজেপির কেউ না কেউ বসে আছে। প্রমাণ হল না তার আগে চোর বলে দিল। কেস প্রমাণিত না হলে আইনের চোখে অপরাধী নয়। কেষ্টকে ধরে রেখেছে ভোটের জন্য। ভোট হয়ে গেলে ছেড়ে দেবে। ক’দিন আগে চাঁদুর বাড়িতে গিয়েছিল। চাঁদুকে ডেকে বসিয়ে রেখেছিল। ওকে বলেছিল সন্ধ্যায় পলিটিক্যাল ফোন আসবে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বার্তা। আমার থেকে ভাল বিজেপিকে কেউ চেনে না। এটা বাংলার ভোট নয়, আমাকে চোর বলল আর আমি চোর হয়ে গেলাম নাকি! এটা মোদির ভোট, তাকে জবাব দিতে হবে তিনি চোর না ডাকাত।”

আরও পড়ুন: এক লটারিতেই ১৬ হাজার কোটি টাকা! বিশ্বের সবচেয়ে বড় লটারি জিতে যা করলেন জয়ী ব্যক্তি! আশ্চর্য

সভার শুরুতেই মমতা বলেন, ”বীরভূম জেলা হল সতীপীঠের অন্যতম স্থান। কঙ্কালিতলা আমি নিজে যেতাম। ফুল্লরা ও নান্দীকেশরীতে যাব আমার ইচ্ছে আছে। আমার পিতৃদেবের গ্রাম চাকাইপুর যেতে চাই। কুসুম্বা গ্রামে আমার মামাবাড়ির গ্রাম। কিন্তু চাকাইপুরে আমি যাবই। ছোটবেলা এখানেই কাটত। বীরভূমের উপাচারের তুলনা হয় না।”

লোকসভা ভোটের প্রচারে জেলায় জেলায় সভা করছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার বীরভূমের লাভপুরে সভা ছিল তাঁর। সেই সভায় তিনি বীরভূমে তৃণমূলের প্রাক্তন জেল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি নিয়েও বিজেপিকে নিশানা করেন।