ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সোমবার খুবই মদ্যপ হয়ে বাড়ি ফেরে অভিযুক্ত যুবক। ফিরেই লাঠি দিয়ে স্ত্রীকে মারধর করতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, নিজের স্ত্রীকে পাশবিক ভাবে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ।

Murshidabad crime news: সুতপাকাণ্ডের ছায়া! মুর্শিদাবাদে প্রেমিকাকে কুপিয়ে খুন প্রেমিকের

মুর্শিদাবাদ: সুতপাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হল মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে। প্রেমিকাকে কুপিয়ে খুন করল প্রেমিক। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দৌলতাবাদ থানার প্রাইমারি স্কুলের পিছনে।  অভিযোগ, প্রেমিক মিঠু সরকার প্রেমিকা সাবিয়া খাতুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দৌলতাবাদ থানার পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত প্রেমিক মিঠু সরকার নিজে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দৌলতাবাদ থানার পুলিশ।

আরও খবর: দু’ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের ছ’জেলায় বৃষ্টি-সহ ঝড়ের সতর্কবার্তা, সঙ্গে চার জেলায় ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী

দৌলতাবাদের বাসিন্দা প্রেমিকার সঙ্গে এলাকারই সরিফুল সেখের একমাত্র ছেলে মিঠু সরকারের দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তরুণী এ বার উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে লালবাগ কলেজে ভর্তির জন্য শুক্রবার ফর্ম জমা করেছিলেন। মিঠু সরকার কেরালায় রাজমিস্ত্রির কাজ করে। এক মাস আগে কেরালা থেকে বাড়ি ফিরেছে সে। জানা যায় বেশ কিছু দিন ধরেই প্রেমিকার সঙ্গে মিঠুর মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। শনিবার সকালে কম্পিউটার ক্লাসে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন তরুণী। এর পর দৌলতাবাদ প্রাইমারী স্কুলের পিছনে দু’জনে দেখা করেন। সেখানে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয় এবং প্রেমিক মিঠু ধারালো অস্ত্র দিয়ে করে প্রেমিকার পেটে এবং গলায় আঘাত করে কুপিয়ে খুন করে। প্রেমিকার সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবী। তিনি চিৎকার করে আশপাশের লোকজনকে ডেকে আনেন। তত ক্ষণে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। খবর পেয়ে দৌলতাবাদ থানার পুলিশ এসে সাবিয়ার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন মৃতার পরিবারের লোকেরা।

পরে অভিযুক্ত প্রেমিক মিঠু সরকার নিজে বাড়ি থেকে ফোন করে পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানায়। আর তার পরেই পলিশ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। সাবিয়ার বান্ধবীকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। মিঠু সরকারের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে সাবিয়ার পরিবার ও এলাকাবাসীরা। মৃতার মা সেলিমা বিবি বলেন, “সকালে কম্পিউটার ক্লাসে যাওয়ার জন্য আমার মেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। কিছু ক্ষণ পরেই ওর এক বান্ধবী ফোন করে জানায় সাবিয়াকে খুন করা হয়েছে। আমি ফোনটা পেয়েই বাড়ি থেকে ছুটে এসে দেখি আমার মেয়েটা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমি আমার মেয়ের খুনির ফাঁসি চাই। এলাকাবাসী নুর সেলিম মণ্ডল বলেন, “পড়াশোনার জন্য বাড়ি থেকে বেরোলেও মেয়েদের কোনও নিরাপত্তা নেই। প্রেমের সম্পর্কের জন্য এমন নৃশংস ভাবে খুন মেনে নেওয়া যায়না। আমরা চাই অভিযুক্ত ওই যুবকের কঠোর শাস্তি হোক। যাতে এই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি না হয়।”