দেবী য্যোগাদ্যা

Purba Bardhaman News: বৈশাখ সংক্রান্তিতে দেবীর পুজো ঘিরে সাজো সাজো রব এই সতীপীঠে, ভিড় পুণ্যার্থীদের

বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: শরৎকালে এই গ্রামে হয় না কোনও দুর্গাপুজো। বৈশাখমাসের এই পুজোকে ঘিরেই উৎসবের আমেজ গ্রাম জুড়ে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষীরগ্ৰামে য্যোগাদ্যা দেবীর পুজো ও মেলা। ৫১ সতীপীঠের মধ্যে অন্যতম একটি সতীপীঠ হল পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্ৰামের য্যোগাদ্যা সতীপীঠ। জানা যায়, বর্ধমানের মহারাজ কীর্তিচন্দ ক্ষীরগ্ৰামে য্যোগাদ্যা দেবীর মন্দির নির্মাণ করান।

সারাবছর মা য্যোগাদ্যার প্রস্তর মূর্তি ক্ষীরদীঘির জলে নিমজ্জিত থাকে। বছরে মাত্র ছ’দিনের জন্য ডাঙায় আনা হয় সেই মূর্তি। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র দু’দিন দেবীর দর্শন পান ভক্তরা। বৈশাখ সংক্রান্তির আগের দিন এবং জ্যৈষ্ঠের চার তারিখে। এছাড়া, বাকি চারদিন হল আষাঢ় নবমী, বিজয়া দশমী, পনেরোই পৌষ এবং মাঘ মাসের মাকরী সপ্তমী। ওই চারদিন দেবী যোগাদ্যাকে তুলে পুজো করা হলেও, দেবীকে দর্শনের অনুমতি পান না ভক্তরা। প্রত্যেক বছরের মত এবারেও ধূমধাম সহকারে শুরু হয়েছে দেবী যোগাদ্যার পুজো এবং মেলা।

আরও পড়ুন : অতীতে ভেসে আসা বন্ধ বাক্স ঘিরেই চলে পুজো, বসে মেলা, নামে ভক্তদের ঢল

এই প্রসঙ্গে মন্দির কমিটির এক সদস্য বলেন , “এই পুজোকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের সমাগম হয়। দেবীকে দর্শনের জন্য উপচে পড়ে ভিড়। দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন। এটাই আমাদের প্রধান উৎসব। ” পূর্ব বর্ধমানের ক্ষীরগ্রামের যোগাদ্যা পুজোকে কেন্দ্র করে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হয়। দুর্গাপুজো নয় , যোগাদ্যা দেবীর পুজোই এই গ্রামের প্রধান উৎসব। যোগাদ্যা দেবীর পুজো গ্রামবাসীর কাছে যেন একটা আবেগ। সারাবছর এই পুজোর জন্য অপেক্ষায় থাকেন গ্রামবাসীরা। জেলা ছাড়িয়ে ভিন জেলা থেকেও বহু ভক্ত আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে।

মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ক্ষীরগ্রামের দেবী যোগাদ্যার এই পুজো এবং মেলা। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বসেছে এই মেলা। আনন্দ উৎসবে মেতে উঠেছে সম্পূর্ণ ক্ষীরগ্রাম। রয়েছে কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। জানা গিয়েছে সাতদিন ধরে এই উৎসব চলবে ।