জেলা হাসপাতাল 

Bangla Video: আয়াদের দাপটে নাজেহাল প্রসূতিরা, সরকারি হাসপাতালে রাত হলেই নৈরাজ্য

আলিপুরদুয়ার: জেলা হাসপাতালে ফের আয়া কর্মীদের দাপট শুরু হয়েছে। তাঁদের দাপটে ভীত রোগী ও তাঁর পরিজনেরা। একের পর এক জুলুমবাজির অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালে আয়া কর্মীদের ঢুকতে মানা করে দিলেন সুপার।

সম্প্রতি আয়া কর্মীর অবহেলায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন এক সদ্যজাত শিশুর মা। ঘটনাটি ঘটে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে। দলগাঁও বীরপড়ার কাঁচা লাইন এলাকার বাসিন্দা অনুপা কুজুর প্রসবের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সিজারে মাধ্যমে তাঁর একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। এরপর থেকেই তিনি প্রসূতি বিভাগে ভর্তি ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী জেলা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে রাতে রোগীর সঙ্গে তাঁর একজন আত্মীয় থাকতে পারেন। অভিযোগ, সেই আত্মীয়’কে জোর করে রোগীর সঙ্গে থাকতে বাধা দেয় হাসপাতালের আয়ারা।

আরও পড়ুন: সীতা নবমীতে মানুষের ঢল, উৎসবমুখর বহরমপুর

ওই আত্মিয়াকে হাসপাতালের ওয়ার্ডের বাইরে বের করে দেয়। আয়ারা নিজেদের আয়ের পথ প্রশস্ত করতেই এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। কারণ এরপর বাধ্য হয়ে রোগীর পরিজনরা ৩০০ টাকার বিনিময়ে রোগীর জন্য আয়া কর্মী নিয়োগ করেন। বুধবার ভোর রাতে অনুপা কুজুর বাথরুম যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় তাঁর ধারেকাছে কেউ ছিল না। সঙ্গাহীন হয়ে মাটিতে পড়ে যান। বিকট শব্দ শুনে আশপাশের রোগীর আত্মীয় এবং কর্তব্যরত নার্সিং কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে। তার শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক থাকায় তড়িঘড়ি তাকে জেলা হাসপাতালের সিসিইউ-তে ভর্তি করানো হয়। তবে বর্তমানে শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল।

তবে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল আয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। আরেকটি ঘটনা ঘটেছে এক ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সঙ্গে। আয়া কর্মীরা তাঁর পরিজনকেও সঙ্গে থাকতে দেয়নি। তাঁরও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। টাকা আদায় করার পরেও কেন রোগীদের সঠিক পরিষেবা দিচ্ছে না আয়ার তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর পরিজনেরা। তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপারকে।

এই বিষয়ে হাসপাতাল সুপার পরিতোষ মণ্ডল বলেন, অভিযোগ পেতেই আমি রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করি। তাঁদের কাছ থেকে বিষয় জেনে হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের সঙ্গেও কথাবার্তা বলি। তাতে যেটা জানতে পারা যায়, আয়া কর্মীরা ওই রোগীর আত্মীয়দের জোর করে বাইরে বের করে দেয়। এবং সেই আয়া কর্মীর অবহেলাতেই ঘটনাগুলি ঘটছে। এর আগেও জুলুমবাজির অভিযোগে আলিপুরদুয়ার হাসপাতাল থেকে আয়া কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অনেকের অনুরোধে সেই নির্দেশ সামান্য শিথিল করলেও, আজকের ঘটনার পর জেলা হাসপাতালে আয়া কর্মীদের প্রবেশ নিয়ে আরও করা ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনন্যা দে