Tag Archives: bangla video

সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। স্বাভাবিক কারণেই এখন সবই যেন, 'পহেলে দর্শনধারী, ফির গুণবিচারী…'। তাই এখন শুধু পড়া আর শোনা নয়, দেখারও যুগ। হাতের মুঠোফোন যেন এখন 'সব পেয়েছির দেশ'। যখন ইচ্ছে, যা ইচ্ছে, মোবাইল খুললেই তো Video-র সারি। এখন ইচ্ছে হল একটু গান 'দেখে' নিলেন, একটু পরেই দেখে নিতে পারেন বিরাট কোহলির একটা দুরন্ত কভার ড্রাইভ।

তাই স্যান্ড ডিয়াগো হোক সুন্দরবন, Video-তেই এখন বিশ্বদর্শন করছেন সকলে। আসলে Video এখন বিশ্ব-বাজার। ক্রেতা, বিক্রেতা দুইই আছে। তাই তো একজন ইউটিউবার হয়ে যেতে পারেন কোটিপতি, ফেসবুকের পাতায় আলাদা করে জায়গা করে নেয় Video সেগমেন্ট। প্রতিদিন এই বাজার নিজের গণ্ডি ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে কোন সুদূরে।

আর এই বাজারের দৌলতেই স্টুটগার্টে বসেও বেহালার প্রবাসী গা ভাসাচ্ছেন Bangla Video-য়। বিদেশ বিভুঁই থেকেই শুষে নিচ্ছেন ফেলে আসা নিজের জায়গার ঘ্রাণ। এই Video-র মাধ্যমেই বাংলার অলিগলি-র কোন দৃশ্য পৌঁছে যাচ্ছে কোথায় না কোথায়, আবার একইভাবে হয়ত মোবাইল খুলতেই দেখে ফেলছেন আফ্রিকার কোন দম্পতির ঘর-গেরস্থালির রোজনামচা।

এখন তো সবকিছুই প্রায় Viral. আর সেই Viral প্রবাহে গা ভাসিয়েই অবিরত সাঁতরে চলেছে কোটি-কোটি প্রত্য়াশী মুখ। গুগল সার্চ বারে তাই বারবার হয়ত ভেসে ওঠে Bangla Video. Video​

Tribal Festival: জীবনের কথা বলবে নাচ, সারহুল উৎসবে মেতেছে ডুয়ার্স

আলিপুরদুয়ার: আদিবাসী সম্প্রদায়ের মুন্ডা, ওঁরাও, বড়াই সহ বিভিন্ন উপজাতির মানুষেরা নৃত্য ও নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরছেন তাঁদের জীবনযাত্রা।কালচিনি ময়দানে সারহুল উৎসবে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের জীবনযাত্রা দেখতে জমছে ভিড়।

সারহুল উৎসব ঝাড়খণ্ডে বসবাসরত বহু উপজাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। বিশেষ করে ওরাওঁ উপজাতির কাছে এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। যদিও এই উৎসবে সামিল হন অন্যান্য উপজাতির মানুষেরা। এই দেশের আদিবাসী সম্প্রদায় বরাবরই প্রকৃতির পূজারী। সরহুল উৎসবের সময় তাঁরা শাল গাছের পুজো করে থাকেন। মনে করেন শাল গাছ আশ্রয় দেয়, আবহাওয়া থেকে রক্ষা করে এবং কাঠের জোগান দেয়। তাই তাকে মা রূপে পুজো করা হয়।

আরও পড়ুন: কমছে পাখির সংখ্যা, গুরুত্ব হারাচ্ছে কুলিক পাখিরালয়

সারহুল উৎসবের উদ্যোক্তা ওমদাস লোহার জানান, এই উপলক্ষে পুজোর পাশাপাশি রোজ নাচ ও নাটকের আয়োজন করা হয়েছে। চলে মেলা। প্রতিদিন বিকেলে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নৃত্যনাট্য-এর মাধ্যমে দেখানো হবে বিভিন্ন জনজাতির জীবনযাত্রা। এর মধ্যে থাকছে চাষের আগে পুজো, নতুন বছরকে বরণ, মাছ শিকার সহ আদিবাসীদের জীবনযাত্রার বিভিন্ন আঙ্গিক। অজানা তথ্য জনসমক্ষে আসবে বলে জানান উদ্যোক্তারা‌।

অনন্যা দে

Kulik Bird Sanctuary: কমছে পাখির সংখ্যা, গুরুত্ব হারাচ্ছে কুলিক পাখিরালয়

উত্তর দিনাজপুর: কমছে পাখির সংখ্যা, গুরুত্ব হারাচ্ছে কুলিক পাখিরালয়। এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পক্ষীনিবাস হিসেবে পরিচিত উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের কুলিক পাখিরালয়। বিশেষ পদ্ধতিতে পাখি গণনার ফলাফল থেকে জানা গিয়েছিছ, গত কয়েক বছর ধরেই এখানে পরিযায়ী পাখিদের আসার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কিন্তু এবার পাওয়া গেল চিন্তার খবর।

সম্প্রতি উদ্বেগজনকভাবে কুলিক পাখিরালয়ে পাখিদের আসার সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে কমে গিয়েছে। সাধারণত প্রতিবছর মে মাসে পরিযায়ী পাখিদের আগমন ঘটে এখানে। নাইট হেরেন, ওপেন বিল স্টর্ক, কর্মরেন্ট ও এ গ্রেড এই চার প্রজাতির পাখির কলতানে মুখরিত হয়ে ওঠে কুলিক বনভূমি। প্রায় ৬-৭মাস এখানে প্রজনন থেকে শুরু করে শাবকদের লালন পালন ক্রিয়া সম্পন্ন করে পাখিরা। তারপর তারা নভেম্বর ডিসেম্বর মাসে পাড়ি জন্মায় ভিন দেশে। বছরের পর বছর ধরে এটাই হয়ে আসছে।

আরও পড়ুন: আম কোথায়! বাগানে বাগানে শুধুই হতাশা…চাষি থেকে খাদ্য রসিক মাথায় হাত সবার

কিন্তু ২০২৩ সাল থেকে এই নিয়মের ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। ক্রমশই কমছে এখানে আসা পাখির সংখ্যা। চলুন দেখে নেওয়া যাক গত পাঁচ বছরে কুলিক পাখিরালয়ে আসা পাখির পরিসংখ্যানটা কেমন ছিল। ২০১৮ সালে মোট পাখির সংখ্যা ছিল ৯৩ হাজার ৮৮ ।২০২০ সালে সেটা বেড়ে হয় ৯৯ হাজার ৬৩১। ২০২১ সালে পাখীর সংখ্যা ছিল মোট ৯৮ হাজার ৭৩৯। ২০২২ সাল ৯৯ হাজার ৩৯৩। কিন্তু হঠাৎ ২০২৩ সালে ছন্দ পতন ঘটে। জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও পরিয়ায়ী পাখিরা সেইভাবে আসেনি গতবছর।২০২২ সালের তুলনায় ২০-২২ হাজার পাখি কম এসেছিল ২০২৩ সালে। ২০২৩ সালে পাখির সংখ্যা ছিল ৭৮ হাজার ১৪১। এবছরেও এক‌ই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

পরিবেশ প্রেমীদের মতে, মূলত পাখিরালয়ের পাশ দিয়ে জাতীয় সড়কে প্রতিনিয়ত অজস্র গাড়ি চলাচল করতে থাকায় এবং তার সংখ্যা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানে পাখির আসাটা কমে যাচ্ছে। এছাড়াও সময়ে বৃষ্টি না হওয়া এবং খাদ্যের অভাবও পাখির সংখ্যা কমার অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

পিয়া গুপ্তা

Charak Puja: এখানে চৈত্র সংক্রান্তিতে নয়, বৈশাখে হয় চড়ক!

দক্ষিণ দিনাজপুর: বৈশাখ মাসের সংক্রান্তি তিথিতে বৈশাখী চড়ক মেলা বসল বালুরঘাটের একাধিক জায়গায়। তাতে মেতে উঠলেন বালুরঘাট শহরে বাসিন্দারা।

বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে চৈত্রের শেষের দিন বা চৈত্র সংক্রান্তিতে সাধারণত চড়ক পুজো হয়। তবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের উত্তমাশা ক্লাব সংলগ্ন মাঠের চড়ক পুজো আর দশটা পুজোর থেকে একটু অন্য ধরনের। বালুরঘাট ব্লকের ডাঙি এলাকায় বটতলার বিস্তীর্ণ মাঠে চরক সন্ন্যাসীরা একত্রিত হয়ে চড়কের আয়োজন করেছিলেন। বৈশাখের সংক্রান্তির দিন সকাল থেকেই বালুরঘাটের বিভিন্ন এলাকায় চড়ক পুজোর ভক্তেরা ঘাড়ে করে ঠাকুর নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন দেবদেবী এবং সং সেজে রাস্তায় শোভাযাত্রা করেন।

আরও পড়ুন: কলেরা ঠেকিয়েছিলেন মা বুরুজ কালী!

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, অধিকাংশ ভক্ত চৈত্র চড়ক পালন করেন। তাঁদের মধে অনেকেই বৈশাখী চড়কে মেতে উঠেন। যা গ্রাম বাংলার সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। দেখতে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমান। চলতি বছরেও এর কোন‌ও পরিবর্তন হয়নি। এদিনের চড়ক পুজো উপভোগ করতে বালুরঘাট শহর সহ শহর লাগোয়া এলাকার বহু সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত।

সুস্মিতা গোস্বামী

Bangla Video: কলেরা ঠেকিয়েছিলেন মা বুরুজ কালী!

উত্তর ২৪ পরগনা: বসিরহাট মহাকুমার প্রসিদ্ধতম কালীমন্দিরের মধ্যে অন্যতম বাদুড়িয়ার বুরুজ কালি মন্দির। এই মন্দিরটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। একে ঘিরে রয়েছে নানান স্মৃতি বিজড়িত কাহিনী।

বাংলায় জাগ্রত কালী মন্দিরের অভাব নেই। তবে, কোন মন্দিরগুলো জাগ্রত সেটা বোঝা ভক্তদের কাছে প্রায়শই কঠিন হয়ে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দা বা পুরোনো ভক্তরা অবশ্য সেসব জানেন। অনেক ভক্তদের বিশ্বাস, এই সব মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলে মনস্কামনা পূরণ হয়, বিপদ-আপদ থেকে রক্ষাও পাওয়া যায়। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার বাদুড়িয়ার বুরুজ এলাকার এই কালী মন্দিরে প্রতিবছর মহা ধুমধাম করে হাজার হাজার ভক্ত সমাগমের মধ্য দিয়ে কালীপুজো হয়।

আরও পড়ুন: আম কোথায়! বাগানে বাগানে শুধুই হতাশা…চাষি থেকে খাদ্য রসিক মাথায় হাত সবার

বহু ভক্ত এখানে এসে মানত করেন এবং মনস্কামনা পূর্ণ হলে পরে এসে আবার পুজো দেন। কথিত আছে, বহু বছর আগে এই মন্দিরটির মূল জায়গায় একটি বেদী ছিল। সেখানেই মায়ের পুজো করা শুরু হয়। তারপর কলেরা মহামারীর প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়। সেই সময় এক ব্যক্তি ওই মন্দিরে গিয়ে মহামারি নির্মূলের জন্য প্রার্থনা করে। তারপর থেকেই এই মন্দিরটিতে ভক্তদের ভিড় বাড়তে থাকে।

বর্তমানে মন্দিরটি সংস্কার করে নতুন রূপ দেওয়া হয়েছে। অনেক ভক্তের বিশ্বাস, কেউ বিপদে পড়ে কেউ মায়ের কাছে এলে তিনি বিপদ থেকে উদ্ধার হবেনই, এমনই ধারণা থাকে অনেক ভক্তের মধ্যে। সব মিলিয়ে বাদুড়িয়ার বুরুজের এই মন্দিরকে ঘিরে এলাকার মানুষের ভক্তি-বিশ্বাস প্রবল।

জুলফিকার মোল্যা

Migrant Labours Accident: পেটের দায়ে বিহার থেকে বাংলায় কাজে এসেছিলেন, নদীতে নামতেই ভয়ঙ্কর পরিণতি দুই তরুণীর

পূর্ব বর্ধমান: বুধবার জেলায় ঘটে গেল একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পেটের দায়ে বিহার থেকে বাংলায় কাজ করতে এসে নদীতে তলিয়ে গেলেন দুই তরুণী! তাঁদের সন্ধানে ভাগীরথী নদীতে জোরদার তল্লাশি অভিযান চলছে।

এদিন দুপুরে ভাগীরথী নদীতে স্নান করতে নেমে ছিলেন বিয়ার থেকে আসা প্রতিমা কুমারী মাঝি ও মালতী কুমারী মাঝি। পেটের দায়ে তাঁরা বাংলার ইটভাটায় কাজ করতে এসেছিলেন। পূর্ব বর্ধমানের কালনা থানার অন্তর্গত নন্দগ্রাম এলাকার একটি ইটভাটাতে কাজ করতেন তাঁরা। এক সহকর্মী জানিয়েছেন, ইটভাটার পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদীতে স্নান ও জামা কাপড় কাচার জন্য ওখানকার শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেই নেমেছিলেন। মোট সাতজন ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ‌ই প্রতিমা ও মালতী তলিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: বাড়িতেই মজুত কোটি কোটি টাকার মাদক! সঙ্গে নগদ ৩২ লক্ষ, টাকা গোনার মেশিন উদ্ধার

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কালনা থানার পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। দুপুর দুটো নাগাদ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ডুবুরিরা নিখোঁজ ওই দুই তরুনীর খোঁজে নদীতে নামেন। দীর্ঘক্ষণ ধরে জলের মধ্যে চলে তল্লাশি। তবে বিকেল পর্যন্ত নিখোঁজ তরুণীদের কোনও খোঁজ মেলেনি।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Tea Garden Labour Crisis: ৬ মাসের উপর বন্ধ চা বাগান, এখন চালু হল না ভাতা

আলিপুরদুয়ার: আইন অনুযায়ী চা বাগান বন্ধ হওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই চালু করে দিতে হয় ফাউলাই ভাতা। কিন্তু এই ভাতা থেকে বঞ্চিত বন্ধ কালচিনি চা বাগানের শ্রমিকরা। পুরো কথাটি হল ফিন্যান্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট টু দ্য ওয়ার্কার অফ লকড আউট ইন্ডাস্ট্রিজ, যার সংক্ষেপে নাম ফাউলাই।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের প্রতিমাসে ১৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। বাগান বন্ধ হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় বেতন। তখন এই ফাউলাই ভাতাটুকুই সম্বল হয় চা শ্রমিকদের। এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার নিয়ম করেছে, চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ৬ মাসের মধ্যে চালু হয়ে যাবে এই ভাতা। ফের বাগান না খোলা পর্যন্ত এটা চলতেই থাকবে।

আরও পড়ুন: তুমুল তাণ্ডব বাইসনের, শেষে ঘুম পাড়ানি গুলিতে কাবু

গতবছর দুর্গা পুজোর মুখে বন্ধ হয় কালচিনি চা বাগান। বেতন সমস্যার পাশাপাশি বোনাস নিয়ে মতের মিল না হওয়াতে কর্তৃপক্ষ বাগান ছেড়ে চলে যায়। বাগান কবে ফের চালু হবে তা জানে না কেউ। এই পরিস্থিতিতে শেষ সম্বল ফাউলাই ভাতা কবে মিলবে এখন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। এই ভাতা না মেলায় প্রচন্ড কষ্টে দিনযাপন করছেন চা বাগানের শ্রমিকরা। এবারে লোকসভা ভোটের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-মন্ত্রীরা এই বন্ধ ভাতা দ্রুত চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোট মিটে প্রায় একমাস হতে চললেও এখনও একটা টাকাও পাননি এই বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকরা।

অনন্যা দে

Bangla Video: শহরকে বাঁচাতে ডিজিটাল উদ্যোগ! এই বাংলায় যা হল…

জলপাইগুড়ি: উত্তরের শান্ত শহরে শান্তি বজায় রাখতে প্রযুক্তির দ্বারস্থ প্রশাসন। শহরবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হল জলপাইগুড়ি শহর জুড়ে। এর ফলে শহরবাসী আগামী দিনে অনেকটাই নিরাপদ বোধ করবে বলে দাবি করা হয়েছে।

দিনে দুপুরে শহরের ব্যস্ততম রাস্তায় একের পর এক চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনায় ত্রস্ত হয়েছিল শহরবাসী। কিছুদিন আগেই জলপাইগুড়ির কদমতলা এলাকায় ভরদুপুরে এক মহিলার গলার সোনার হার ছিনিয়ে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীর দল। শহরবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত ও জোরদার করতে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের উদ্যোগে এবং সদর ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতায় শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে বেশ কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরা। নজরদারি রাখার জন্য একটি কন্ট্রোল রুমও করা হয়েছে। সেই কন্ট্রোল রুম থেকেই শহরের সমস্ত এলাকায় নজরদারি রাখা হবে।

আরও পড়ুন: ভোটে ফ্লেক্স-ব্যানারের প্রচার অনেক হল, এবার চোখ রাখুন এই মাধ্যমে

যানজট হোক কিংবা অসামাজিক কাজ ২৪ ঘণ্টা পুলিশের নজরদারিতে থাকবে শহর। এই বিষয়ে জলপাইগুড়ির এসপি উমেশ গণপত খন্ডবহালে জানান, শহরে দিনের পর দিন চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়েই চলেছে। তাই শহরবাসীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবং শহরকে দুষ্কৃতিমুক্ত করতে শহর জুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এতে করে শহরে কড়া নজরদারি চালানো সম্ভব হবে এবং দুষ্কৃতীদের অসমাজিক কাজ রোখা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি আমজনতা।

সুরজিৎ দে

Bangla Video: সুন্দরবনের নদীতে ইলিশ বাড়বে?

উত্তর ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের নদী ও জলজ প্রাণীর বাস্তুতন্ত্র পরীক্ষায় এল বিশেষ প্রতিনিধি দল। সুন্দরবনের নদী অববাহিকার পরিবর্তন, জলজ এবং ফাইটোপ্লাঙ্কটন ও জুপ্লাঙ্কটনের পরিবর্তন ও গতি পরিবর্তনের গতিবিধি তদারকিতে গবেষণায় বিশেষ প্রতিনিধি দল ঘুরে দেখে হিঙ্গলগঞ্জের সুন্দরবন এলাকা।

কেন্দ্রীয় অন্তঃস্থলীয় মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র, ব্যারাকপুরে নমামি গঙ্গে প্রকল্পের অধীনে বছরে বর্ষার শুরুর আগে আগেই গবেষণায় এই নামল। বিশেষ কয়েকজনের প্রতিনিধিদল গঙ্গার নিম্ন-অববাহিকা, বিভিন্ন শাখা নদী, উপনদী থেকে শুরু করে সুন্দরবনের নিম্নাংশ পর্যন্ত বিভিন্ন জলজ নমুনা সংগ্রহ, দেশীয় মাছের প্রজাতির অনুসন্ধান ও সচেতনতা শিবিরের মাধ্যমে নদী রক্ষা অভিযান চালায়। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ইচ্ছামতী নদীর নিম্ন অববাহিকার বসিরহাটের ইটিন্ডা থেকে শুরু করে নিম্নভাগের হেমনগরের কালিতলা পর্যন্ত এছাড়া রায়মঙ্গল, কালিন্দী, গোমতী ও হুগলী- মাতলা নদীতে ফ্লিড পর্যায়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা, নমুনা সংগ্রহ ও অনুসন্ধান করা চলছে।

আরও পড়ুন: ৬১ বছরের শান্তি জাতীয় মিটে তিন হাজার মিটারে দৌড়বেন!

বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছ ও ইলিশ মাছের বংশ বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে এমন উদ্যোগ। বাংলার মুর্শিদাবাদ, নদীয়া থেকে দুই ২৪ পরগণা এই অঞ্চল দিয়ে বহু নদী প্রবাহিত হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম ‘বদ্বীপ’ বা ‘ডেল্টা’ তৈরি হয়েছে, যা জলজ জীববৈচিত্র্য সম্ভারে পরিপূর্ণ। প্রায় বিগত এক দশক ও তার বেশি সময় ধরে দেখা যাচ্ছে গঙ্গার নিম্ন অববাহিকা ও এই এসচুয়্যারি অঞ্চলে দেশীয় মাছের সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। পাশাপাশি গত কয়েক বছর আগে সুন্দরবন এলাকার নদীতে ইলিশ মাছের দেখা মিললেও বর্তমানে ইলিশ মাছের আর দেখা মিলছে না। ইলিশ সহ সুন্দরবনের বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছের বংশ বৃদ্ধি করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হল। তবে ফের কী সুন্দরবনের নদীতে ইলিশের দেখা মিলবে? তা সময়ই বলবে।

জুলফিকার মোল্যা

Bangla Video: ৬১ বছরের শান্তি জাতীয় মিটে তিন হাজার মিটারে দৌড়বেন!

শিলিগুড়ি: কথায় আছে, চেষ্টা থাকলে সবকিছুই সম্ভব। আর এই চেষ্টা যেকোনও বয়সেই আপনি করতে পারেন। আসলে বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। কিন্তু কোনদিনই আমাদের ইচ্ছাগুলোকে আটকে রাখতে পারবে না, যদি থাকে আমাদের চেষ্টা। আর সেই চেষ্টা করেই সফল শিলিগুড়ির শান্তি সিংহ। বয়সকে নেহাতই একটা সংখ্যা বানিয়ে ৬১ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন পদক নিয়ে এসেছেন তিনি। আগামীতে জুন মাসে অযোধ্যায় আয়োজিত হতে চলা ন্যাশনাল প্রতিযোগিতায় খেলতে যাবেন তিনি।

যে বয়সে মানুষ খেলা ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবেন সেই বয়সে আন্তর্জাতিক স্তরে দৌড় শুরু করেছিলেন শান্তি। ছোটো থেকেই খেলাধুলোর প্রতি মন ছিল তাঁর। তবে বিয়ে হ‌ওয়ার পর সব বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু ওই ইচ্ছে শক্তির জেরে ২০১৫ সাল থেকেই শিলিগুড়ি ট্রেন ক্লাবের পক্ষ থেকে আবার ময়দানে পা রাখেন তিনি। এখনও খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। লোকাল থেকে শুরু করে ন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাথলেটিক গেম খেলেই চলেছেন শান্তি সিংহ। অ্যাথলেটিকসের দুনিয়ায় তাঁর নাম এখন বিপুল চর্চিত।

আরও পড়ুন: মা হয়েছে রিমঝিম ও গরিমা, নতুন সদস্যদের দেখতে পর্যটকদের ভিড় রসিকবিলে

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল মিট খেলে সেখান থেকে লং যাম্পে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। এরপর ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কার দিয়াগামা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কা মাস্টার অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাবস্থাপনায় যে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিক চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করা হয়েছিল সেখানে শিলিগুড়ি ৫ জন অংশগ্রহণ করেন। প্রত্যেকে বিভিন্ন বিভাগে পদক জিতেছিলেন। সেখানে পদক জেতেন শান্তি সিংহ’ও। সেখানে লং যাম্প ও তিন হাজার কিলোমিটার হাঁটা প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান অধিকার করে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন।

এখন শান্তি দেবীর বয়স ৬১ বছর। তিনি কিন্তু এখনও খেলা ছাড়েননি। আগামী ২ জুন অযোধ্যায় বেঙ্গল মাস্টার অ্যাথলেটিক অ্যাসোসিয়েশন পক্ষ থেকে আবার ন্যাশনাল মিটে অংশ নেবেন। জানিয়েছেন শরীর সুস্থ রাখার জন্য এখনও খেলাধুলো চালিয়ে যাচ্ছেন।

অনির্বাণ রায়

Rasikbeel Mini Zoo: মা হয়েছে রিমঝিম ও গরিমা, নতুন সদস্যদের দেখতে পর্যটকদের ভিড় রসিকবিলে

কোচবিহার: জেলার একমাত্র মিনি চিড়িয়াখানা এই রসিকবিল মিনি জু। দীর্ঘ সময় এখানে দুই চিতাবাঘ ছিল। তবে গত বছর এই চিড়িয়াখানায় কয়েকটি নতুন চিতাবাঘ নিয়ে আসা হয়। চলতি বছরের শুরুতেই এই চিড়িয়াখানায় দুই চিতাবাঘ রিমঝিম ও গরিমা নতুন শাবকের জন্ম দিয়েছে। এই প্রথম রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটনকেন্দ্রে চিতাবাঘের এনক্লোজারে রিমঝিম ও গরিমার কোল আলো করে জন্ম হয়েছে সাতটি ফুটফুটে শাবকের। এই কারণেই খুশির আমেজ রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটনকেন্দ্রে। নতুন শাবকদের নিয়ে রসিকবিল মিনি চিড়িয়াখানায় চিতাবাঘের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২টি।

কোচবিহার বন বিভাগের এডিএফও বিজনকুমার নাথ জানান, রিমঝিমের চারটি ও গরিমার তিনটি সন্তান হয়েছে৷ মা ও সন্তানরা সকলেই সুস্থ রয়েছে। চিকিৎসকরা সবসময় ওদের উপর নজরে রাখছেন৷ গত ২ এপ্রিল তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছিল গরিমা ও ১৪ এপ্রিল রিমঝিম আরও চারটি সন্তানের জন্ম দেয়। আপাতত দুটি নাইট শেল্টারে মা ও তাদের সন্তানদের আলাদাভাবে রাখা হয়েছে৷ এনক্লোজারের বাকি তিন পুরুষ বাঘ যাতে কোনওভাবেই তাদের বিরক্ত না করে সেদিকে খেয়াল রাখছেন বনকর্মীরা৷

আরও পড়ুন: বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে সুন্দরবনে বায়ো ভিলেজ, গড়ে উঠছে মডেল গ্রাম

তিনি আরও জানান, এদিকে এনক্লোজারে যে নাইট শেল্টারে সদ্যোজাতরা সহ রিমঝিম ও গরিমা রয়েছে সেদিকে যাতে পর্যটকরা যাতায়াত না করেন সেজন্য এনক্লোজারের একদিক উঁচু করে ঢেকে রাখা হয়েছে৷ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিতাবাঘ দুটির খাদ্য তালিকায় বদল আনা হয়েছে। সদ্যোজাতদের মাতৃদুগ্ধ পান করতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই পরিবর্তন। তাই চিতাবাঘ দুটিকে আগে একবেলা মাংস খাওয়ানোর নিয়ম থাকলেও, এখন দু’বেলা মাংস খাওয়ানো হচ্ছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। সেই সঙ্গে মাংসের সুপ জাতীয় খাবার, ভিটামিন এসব দেওয়া হচ্ছে।

সার্থক পণ্ডিত