Tag Archives: Government Hospital

Bangla Video: আয়াদের দাপটে নাজেহাল প্রসূতিরা, সরকারি হাসপাতালে রাত হলেই নৈরাজ্য

আলিপুরদুয়ার: জেলা হাসপাতালে ফের আয়া কর্মীদের দাপট শুরু হয়েছে। তাঁদের দাপটে ভীত রোগী ও তাঁর পরিজনেরা। একের পর এক জুলুমবাজির অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালে আয়া কর্মীদের ঢুকতে মানা করে দিলেন সুপার।

সম্প্রতি আয়া কর্মীর অবহেলায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন এক সদ্যজাত শিশুর মা। ঘটনাটি ঘটে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে। দলগাঁও বীরপড়ার কাঁচা লাইন এলাকার বাসিন্দা অনুপা কুজুর প্রসবের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সিজারে মাধ্যমে তাঁর একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। এরপর থেকেই তিনি প্রসূতি বিভাগে ভর্তি ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী জেলা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে রাতে রোগীর সঙ্গে তাঁর একজন আত্মীয় থাকতে পারেন। অভিযোগ, সেই আত্মীয়’কে জোর করে রোগীর সঙ্গে থাকতে বাধা দেয় হাসপাতালের আয়ারা।

আরও পড়ুন: সীতা নবমীতে মানুষের ঢল, উৎসবমুখর বহরমপুর

ওই আত্মিয়াকে হাসপাতালের ওয়ার্ডের বাইরে বের করে দেয়। আয়ারা নিজেদের আয়ের পথ প্রশস্ত করতেই এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। কারণ এরপর বাধ্য হয়ে রোগীর পরিজনরা ৩০০ টাকার বিনিময়ে রোগীর জন্য আয়া কর্মী নিয়োগ করেন। বুধবার ভোর রাতে অনুপা কুজুর বাথরুম যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় তাঁর ধারেকাছে কেউ ছিল না। সঙ্গাহীন হয়ে মাটিতে পড়ে যান। বিকট শব্দ শুনে আশপাশের রোগীর আত্মীয় এবং কর্তব্যরত নার্সিং কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে। তার শারীরিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক থাকায় তড়িঘড়ি তাকে জেলা হাসপাতালের সিসিইউ-তে ভর্তি করানো হয়। তবে বর্তমানে শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল।

তবে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল আয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। আরেকটি ঘটনা ঘটেছে এক ডায়রিয়ার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সঙ্গে। আয়া কর্মীরা তাঁর পরিজনকেও সঙ্গে থাকতে দেয়নি। তাঁরও শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। টাকা আদায় করার পরেও কেন রোগীদের সঠিক পরিষেবা দিচ্ছে না আয়ার তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রোগীর পরিজনেরা। তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপারকে।

এই বিষয়ে হাসপাতাল সুপার পরিতোষ মণ্ডল বলেন, অভিযোগ পেতেই আমি রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করি। তাঁদের কাছ থেকে বিষয় জেনে হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের সঙ্গেও কথাবার্তা বলি। তাতে যেটা জানতে পারা যায়, আয়া কর্মীরা ওই রোগীর আত্মীয়দের জোর করে বাইরে বের করে দেয়। এবং সেই আয়া কর্মীর অবহেলাতেই ঘটনাগুলি ঘটছে। এর আগেও জুলুমবাজির অভিযোগে আলিপুরদুয়ার হাসপাতাল থেকে আয়া কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অনেকের অনুরোধে সেই নির্দেশ সামান্য শিথিল করলেও, আজকের ঘটনার পর জেলা হাসপাতালে আয়া কর্মীদের প্রবেশ নিয়ে আরও করা ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অনন্যা দে

Lok Sabha Election 2024: ভোটের গোবরডাঙায় হাসপাতাল‌ই মূল ইস্যু, মমতার আশ্বাসে ভরসা রাখবে নাটকের শহর?

উত্তর ২৪ পরগনা: একের পর এক নির্বাচনে ইস্যু হয় এই হাসপাতাল। পাওয়া যায় নানা রকম প্রতিশ্রুতি। কিন্তু তারপরেও আর খোলে না গোবরডাঙার একমাত্র সরকারি হাসপাতালটি। তা নিয়ে এই মফস্বলের বাসিন্দাদের ক্ষোভ কম নয়। সেই নিয়ে এবার প্রতিশ্রুতি দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঐতিহ্যবাহী শহর, নাটকের শহর গোবরডাঙায় বসবাসরত লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা পরিষেবার জন্য সরকারি হাসপাতাল থাকলেও মেলে না পরিষেবা। এবারের লোকসভা ভোটের আগে এই হাসপাতাল খোলার দাবি সেখানকার মানুষের মধ্যে বেশ জোরালো হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে বনগাঁয় ভোট প্রচারে গিয়ে গোবরডাঙার সরকারি হাসপাতালটি খোলার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নির্বাচন পর্ব মিটে গেলে গোবরডাঙা পুরসভার মাধ্যমে এই হাসপাতালটি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর ঘিরে আশায় বুক বাঁধছেন ব্যবসায়ীরা, ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট হলেই বাড়বে বাণিজ্য

করোনা কালীন পরিস্থিতিতে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছিল এটিকে। পরবর্তীতে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবেও চালু করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সব চেষ্টাই বিফলে যায়, তালা বন্ধ অবস্থাতেই কার্যত পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে থাকতে গোবরডাঙার এই হাসপাতালকে। সাড়ে ১৬ বিঘা জমির উপরে তৈরি এই হাসপাতালে একাধিক উন্নতমানের যন্ত্রপাতি এবং নার্স ও ডাক্তারদের থাকার জন্য কোয়ার্টার রয়েছে। ছোটখাটো অপারেশন থেকে শুরু করে ইনডোর-আউটডোরে চিকিৎসা পরিষেবাও চালু ছিল অতীতে।

বন্ধ হাসপাতাল খোলা নিয়ে গোবরডাঙার পুরপ্রধান সুভাষ দত্ত একসময় মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় মুখ খোলায় ভর্ৎসনার শিকার হয়েছিলেন। পরবর্তীতে একাধিকবার আন্দোলনে নেমেছিল গোবরডাঙ্গার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে, গোবরডাঙার প্রবীণ নাগরিকরা। তৈরি হয়েছিল হসপিটাল বাঁচাও কমিটি।কিন্তু কোন‌ওভাবেই চালু করা যায়নি গোবরডাঙা হাসপাতাল। তবে মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পর অনেকেই আশার আলো দেখছেন।

রুদ্রনারায়ণ রায়

CCU Unit: জেলার মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে আর শিলিগুড়ি ছুটতে হবে না

দক্ষিণ দিনাজপুর: তিনদিক সীমান্ত বেষ্টিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সদরে অবস্থিত বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট বা সিসিইউ ব্লক। ফলে এই জেলার রোগীদের আর জরুরি পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ি ছুটতে হবে না। এবার বালুরঘাটেই হবে জটিল পরিস্থিতির চিকিৎসা।

বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে গড়ে ওঠা এই ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে মোট ৫০ টি শয্যা থাকছে। হাসপাতাল সুপারের অফিস সংলগ্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে । জেলা পূর্ত দফতরের পক্ষ থেকে এই কাজ করা হচ্ছে। সিসিইউ ব্লক তৈরি হলে নানা কঠিন রোগের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উপকৃত হবে জেলার বাসিন্দারা।

আরও পড়ুন: পর্যটকদের জন্য দারুণ খবর! এবার ঘুরতে গিয়ে আর‌ও সুবিধা

জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে প্রথমে মাত্র ৮ টি হাইব্রিড সিসিইউ বেড ছিল। যার ফলে পর্যাপ্ত বেডের অভাবে গুরুতর রোগীরা চরম সমস্যায় পড়তেন। পরে তা বাড়িয়ে সম্প্রতি ২৪ টি হাইব্রিড সিসিইউ বেড করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও চাহিদা মিটছিল না। ফলে জেলার বহু মানুষকে শিলিগুড়িতে ছুটতে হচ্ছিল।

এই বিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস জানান, জেলা হাসপাতালে অত্যাধুনিক সিসিইউ ব্লক তৈরি হচ্ছে। যা অনেকটাই উন্নত বলে জানা গিয়েছে। সেই ব্লকে ৫০ টি বেড থাকবে, সেখানে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও উন্নতমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে এই নতুন ইউনিটে। এছাড়া সিসিইউ ইউনিটের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকও থাকবে একাধিক।এতে মুমূর্ষু রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে যথেষ্টই উপকৃত হবেন। মোট ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ইউনিটটি তৈরি করা হচ্ছে।

সুস্মিতা গোস্বামী

Locals Protest: দুপুর ২ টো বাজলেই ধাঁ হয়ে যায় চিকিৎসক, এসে ফিরে যেতে হয় অসহায় পশুদের

আলিপুরদুয়ার: বেলা দুটো বাজলেই বীরপাড়ায় পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে আর চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায় না। নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ হয়ে যায় চিকিৎসা কেন্দ্র। যা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন এলাকার বাসিন্দারা।

এলাকার একমাত্র পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বেলা দু’টোর পর চিকিৎসক বাড়ি চলে যান, ফলে প্রয়োজন থাকলেও বিকেলের দিকে পরিষেবা মেলে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তখন অসুস্থ পশুদের কোথায় নিয়ে যাবেন বুঝে পান না তাঁরা। এলাকার বাসিন্দাদের মতে, এই এলাকায় অন্য কোনও প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্র না থাকায় মাঝেমধ্যেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। বাসিন্দাদের স্পষ্ট অভিযোগ, বিকেল চারটে অবধি খোলা থাকার কথা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির। সেখানে বেলা দুটোর পর প্রাণী চিকৎসা কেন্দ্রে এসে দেখা যায় তালা ঝুলছে।

আরও পড়ুন: একদা গনি গড়ের সব বুথে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

যদিও এলাকাবাসীদের অভিযোগের জবাবে বীরপাড়ার এই বিষয়ে প্রাণী চিকিৎসক সারাভানান ই জানান, দফতরের বিভিন্ন কাজের জন্য তাঁকে মাঝেমধ্যেই বাইরে যেতে হয়। এছাড়া দফতরের মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে হয়, এছড়া বিভিন্ন রিপোর্ট পাঠাতে হয়। তাই দুপুর দুটোর পর তিনি আর পোষ্যদের চিকিৎসা করতে পারেন না বলে জানান।

অনন্যা দে

Heat Wave: হাসপাতলে ভর্তি হয়ে গরমে আরও কাহিল হয়ে পড়ছিলেন রোগীরা! তাঁদের জন্য যা করা হল

পূর্ব বর্ধমান: গরমের জেরে শান্তি নেই হাসপাতালেও। তাপপ্রবাহের কারণে হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা আরও কাহিল হয়ে পড়ছেন। রাতের দিকে কালনা মহকুমা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের মহিলা ওয়ার্ড মারাত্মক গরম হয়ে যাচ্ছে। ফলে সেখানে ভর্তি রোগীদের অনেকেই ঠিক করে ঘুমোতে পারছেন না। রোগীদের দেখতে হাসপাতালে আসা পরিজনরাও প্রবল গরমে প্রচন্ড অস্বস্তিতে পড়ছেন।

এদিকে রোগীদের গরমের হাত থেকে বাঁচাতে বড় স্ট্যান্ড ফ্যান দিয়েও মিলছে না সুরাহা। এই প্রসঙ্গে কালনা মহকুমা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি এক রোগীর পরিজন বলেন, ওই ঘরটা খুব গরম। রাত ৯ টা-১০ টার পর থাকা যায় না। ফ্যান আছে, কিন্তু কোনও কাজ হচ্ছে না। তবে অবশেষে বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই গরমের হাত থেকে রোগীদের রেহাই দিতে এক অভিনব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর জন্য যা করা হচ্ছে তা জানলে আপনারাও অবাক হবেন।

আর‌ও পড়ুন: এই কেন্দ্রে মনোনয়ন জমায় জোরদার প্রতিযোগিতা, একই দিনে তিন প্রার্থীর চমক

কালনা মহকুমা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের মহিলা ওয়ার্ডের ছাদে গরম নিয়ন্ত্রণের জন্য পেতে দেওয়া হল ধানের খড়। তবে শুধু ধানের খড় নয়, খড়ের উপর জলও দেওয়া শুরু হয়েছে। রোগীদের কথা ভেবে পিডব্লিউডি-র ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কালনা মহকুমা হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার গৌতম বিশ্বাস।

আর‌ও পড়ুন: লেবং চা বাগান ঘিরে টি ট্যুরিজমের দাবি

বর্ষাকালে আবার হাসপাতালের ছাদ থেকে এই খড় সরিয়ে নেওয়া হবে। এই পদ্ধতিতে মানে ওই বিভাগে তিন থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা কমবে বলে দাবি করা হয়েছে। এদিকে ওই মহিলা বিভাগের ছাদের উপর স্থায়ী শেড করার জন্য স্বাস্থ্য ভবনে টাকার আবেদন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেই টাকা মঞ্জুর হয়ে গেলেই স্থায়ী ছাউনি করে দেওয়া হবে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Doctors Crisis: চিকিৎসকের অভাবে সঙ্কটে রায়দিঘির হাসপাতাল

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নতুন করে চিকিৎসক সঙ্কট তৈরি হয়েছে রায়দিঘির পুরন্দরপুর হাসপাতালে। এখানে তিনজনে চিকিৎসক ছিলন। কিন্তু একজন চিকিৎসককে অন্যত্র স্থানান্তর করেছে স্বাস্থ্য দফতর।ফলে হাসপাতালটিতে বর্তমানে মাত্র দু’জন চিকিৎসক আছেন। মাত্র দু’জনকে দিয়ে সপ্তাহের প্রতিটা দিন রোগীদের পরিষেবা দেওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চিকিৎসকের অভাবে পরিষেবা নিয়ে সঙ্কট দেখা দেওয়া বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন রায়দিঘির মানুষ। প্রাশাসনের সর্বস্তরে জানানো সত্বেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। চিকিৎসকের অভাবে ডাক্তার দেখাতে এসেও অনেক সময় রোগীদের হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে চিকিৎসকদের ৯৬ ঘণ্টা ডিউটি করতে হচ্ছে। আরও একজন চিকিৎসকের অবিলম্বে দরকার এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

আর‌ও পড়ুন: বিধ্বংসী আগুনে ক্যানিংয়ে পুড়ে খাক তিনটি বাড়ি

এ দিকে এই ঘটনা নিয়ে এই হাসপাতালের রোগী কল‍্যাণ সমিতির সদস্য ভোলানাথ প্রামানিক জানান, হাসপাতালে চিকিৎসক দেওয়ার জন‍্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ঘটনাটি তিনি জানাবেন বলে জানিয়েছেন। এখন দেখার কবে এই সমস্যার সমাধান হয়।

নবাব মল্লিক

Mysterious Death: সরকারি হাসপাতালের শৌচালয়ে সাংঘাতিক কাণ্ড…! বন্ধ দরজা ভাঙতেই চোখ কপালে পুলিশের, হাড়হিম সকলের

জলপাইগুড়ি:  সরকারি হাসপাতালের শৌচালয়ে ঝুলন্ত দেহ! রহস্যজনক ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধীন সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভেতর শৌচাগারে এক পুরুষের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মঙ্গলবার। মৃতের নাম পরিচয় জানা যায়নি। মৃতদেহ শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সূত্রের খবর, আজ সকালে দুর্গন্ধ বেরোতে দেখে সন্দেহ হয় হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী এবং আত্মীয় পরিজন-সহ কর্মীদের। তারপরে পুলিশ এবং দমকলকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ ভেতর থেকে বন্ধ শৌচালয়ের দরজা খুললে চমকে উঠে সবাই।

আরও পড়ুন-    শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

নজরে আসে, শৌচালয়ের জানালার সঙ্গে কাপড় জড়িয়ে ঝুলে রয়েছে এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে ঝুলন্ত মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ। মৃত ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে এমন ঘটনা ঘটে কি করে? এই প্রশ্ন ইতিমধ্যেই উঠতে শুরু করেছে হাসপাতালে থাকা সাধারণ মানুষের মধ্যে।

সুরজিৎ দে

Government Hospital: দু’বছর পর আবারও চিকিৎসক আসবেন এই সরকারি হাসপাতালে

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দীর্ঘ দু’বছর পর চিকিৎসক আসছেন মগরাহাটের হাসপাতালে। ফলে খুশি স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে মগরাহাটের গোকর্ণী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সূত্রের খবর, গত দু’বছর ধরে কোনও চিকিৎসক ছিল না। যার ফলে চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরেই এই হাসপাতালের নতুন চিকিৎসক পাঠানোর দাবিও উঠছিল।

বারবার দাবি জানিয়েও ফল না মেলায় স্থানীয়রা মিলে গঠন করেছিলেন মগরাহাট-যুগদিয়া হাসপাতাল জনস্বাস্থ্য রক্ষা কমিটি। এই কমিটির অধীনে চিকিৎসক আনার জন্য আন্দোলন শুরু হয়। তাতে অবশেষে মিলল সাফল্য। প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফের চিকিৎসক পাঠানো হবে মগরাহাটের হাসপাতালে।

আর‌ও পড়ুন: মালদহের বাজারে দাপাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের আম! বিক্রি হচ্ছে দেদার

আপাতত সপ্তাহে দু’দিন করে চিকিৎসক আসবেন এই সরকারি হাসপাতালে। এ নিয়ে জনস্বাস্থ্য রক্ষা কমিটির সম্পাদক কবীর মোল্লা জানান, চিকিৎসক আসার খবরে তাঁরা খুবই খুশি। স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও উন্নত করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। চিকিৎসক আসার খবরে খুশি স্থানীয়রাও। আগামীদিনে এই হাসপাতালের স্বাস্থ্য পরিষেবা আরও ভাল হোক এটাই দাবি তাঁদের। গত দু’বছর চিকিৎসক না থাকায় এলাকার কেউ অসুস্থ হলে তাঁকে প্রায় ৮ কিলোমাটার দূরের ব্লক হাসপাতাল অথবা ২৫ কিলোমিটার দূরে ডায়মন্ডহারবারে যেতে হত। এখন সেই সমস্যার কিছুটা সমাধান হওয়ায় স্বস্তিতে গ্রামবাসীরা।

নবাব মল্লিক

Government Hospital: সপ্তাহে মাত্র দু’দিন চিকিৎসককে পাওয়া যায়! বেহাল অবস্থা সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পাথরপ্রতিমার আঠারোগাছি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বেহাল দশা। ফলে চিকিৎসা করাতে এসে প্রতিদিনই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। এখানকার চিকিৎসা পরিষেবা পর্যাপ্ত নয় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। সপ্তাহে ১ দিন বা বড়জোর ২ দিন এই হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া যায় বলে দাবি করা হয়েছে। সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে চিকিৎসার জন‍্য প্রায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের হাসপাতালে ছুটতে হয়।

আর‌ও পড়ুন: চা পর্যটন! পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় মুনলাইট টি-প্লাক দেখতে উপচে পড়ল ভিড়

পাথরপ্রতিমার এই হাসপাতালটি লক্ষীজনার্দনপুরে অবস্থিত। প্রত‍্যন্ত এই এলাকার মানুষজনের একমাত্র ভরসা এই হাসপাতাল। যদিও সেই হাসপাতালে মাত্র ১ জন চিকিৎসক আছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। সেই চিকিৎসকও সঠিক সময়ে হাসপাতালে আসেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।

সরকারি হাসপাতালটির পরিকাঠামোও পর্যাপ্ত নয়। রোগীদের বসার কোন্ও ব‍্যবস্থা নেই, নেই পর্যাপ্ত জলের ব‍্যাবস্থা। রোগীরা সকাল থেকে এসে হাসপাতালের মেঝে সহ একাধিক জায়গায় বসে থাকতে বাধ্য হন। স্থানীয়রা এই হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা উন্নত করার দাবি জানিয়ে একাধিকবার প্রশাসনের দারস্থ হয়েছেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

বর্তমানে হাসপাতালের অবস্থা এতটাই বেহাল যে স্থানীয়রা গুরুতর কোনও সমস‍্যায় পড়লে অপেক্ষা না করে ৩০ থেকে ৪০ কিমি দূরের পাথরপ্রতিমা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও রায়দিঘি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অসুস্থ পরিজনকে নিয়ে হাজির হন। এই নিয়ে পাথরপ্রতিমা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধক্ষ‍্য রজনীকান্ত বেরা জানান, সমস্যা একটা আছে, সেটা সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। গ্রামের দিকে ডাক্তারবাবুরা এখন আসতে চান না। ফলে চিকিৎসকের ঘাটতি আছে। এছাড়াও হাসপাতালের চারিদিকে পাঁচিল দিয়ে ঘেরার একটি পরিকল্পনা রয়েছে। সমস্ত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

নবাব মল্লিক

Bengali News: এই প্রথম জেলার সরকারি হাসপাতালে স্বেচ্ছায় চক্ষুদানের সুবিধা

নদিয়া: জেলার মধ্যে এই প্রথম শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চালু হল স্বেচ্ছায় চক্ষুদান ব্যবস্থা। রাজ্যের মধ্যে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ব্যতীত নদিয়ায় এই প্রথম কোনও সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে মরণোত্তর কর্নিয়া সংগ্রহের ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মৌচুক্তি স্বাক্ষরিত হল। অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।

আরও পড়ুন: চৈত্রের বৃষ্টি কপাল খুলে দিয়েছে আম চাষিদের, ‘অফ সিজন’ ভুলে বিপুল লাভের আশা

শান্তিপুর মরমীর সদস্য তপন মজুমদার বলেন, একজোড়া কর্নিয়া সংগ্রহ করে তা পৌঁছে দিতে প্রায় দুই হাজার টাকা খরচ হয়। অথচ সরকারিভাবে তাঁরা এক হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। আয়ের অন্য কোনও উৎস না থাকায় সংগঠনের পক্ষে তা সমস্যার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ ব্যাপারেও কথা চলছে। সমাধান সূত্রে বেরিয়ে আসার বিষয়ে আশাবাদী সংগঠনের সদস্যরা।

প্রসঙ্গত শান্তিপুর মরমী অনুষ্ঠানের দিনও একজোড়া কর্নিয়া সংগ্রহ করে এই সভা চলাকালীন। প্রভা আই কেয়ারের সহযোগিতায় ২০১৪ সালে তাদের পথ চলা শুরু। তবে ২০২২ সালে অজয় দে আই কালেকশন সেন্টার নাম নিয়ে এককভাবে সংগ্রহের অনুমতি মিলেছে। তারা এ পর্যন্ত ৩৪৮ জোড়া অর্থাৎ প্রায় ৭০০-এর কাছাকাছি কর্নিয়া সংগ্রহ করেছেন।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এখনও পর্যন্ত বহু মানুষের স্বেচ্ছায় দান করা কর্নিয়া তাঁরা পৌঁছে দিয়েছেন দৃষ্টিহীন মানুষের কাছে। সেই সমস্ত দৃষ্টিহীন মানুষেরা ফিরে পেয়েছেন তাঁদের চোখের আলো। তবে এদিনের এই মৌ-চুক্তির ফলে তাঁদের কাজের গতি অনেকটাই বাড়বে বলে আশাবাদী সংগঠন এবং হাসপাতাল উভয় পক্ষ‌ই।

মৈনাক দেবনাথ