পাঁচমিশালি Earths Poles Are Flipping: তিন লক্ষ বছরে ঘটে একবার! পৃথিবীর দুই মেরু সরছে, সর্বনাশ হওয়ার চিন্তায় আতঙ্কিত বিজ্ঞানীরা Gallery May 20, 2024 Bangla Digital Desk পৃথিবীর দুই মেরু সাধারণত পৃথিবীর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে৷ পাশাপাশি, এই দুই মেরুর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র পৃথিবীর স্যাটেলাইট যোগাযোগ থেকে শুরু করে রেডিও সিগন্যাল, মোবাইলের সিগন্যালের ক্ষেত্রেও এটি প্রভাব ফেলে৷ আর তাই নিয়েই চিন্তায় রয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷ সাধারণত পৃথিবীর ভিতর থেকে আসা ম্যাগনেটিক ফিল্ডের উপর অনেককিছু নির্ভর করে৷ পৃথিবীর বাইরের স্তরে যে গলিত লোহা থাকে, সেখান থেকে একটি ক্ষেত্র তৈরি হয়৷ পাশাপাশি, ক্ষতিকারণ সূর্য বিকিরণ রোধ করতেও সাহায্য করে৷ তবে এই ম্যাগনেটিক ফিল্ড পরিবর্তিত হয়৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, সাধারণত ধীরে ধীরে ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ বছর ধরে ধীরে ধীরে পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ড পরিবর্তিত হয়৷ পৃথিবীর জন্ম থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত বার দু’য়েক এই ঘটনা ঘটেছে৷ তবে এই সময়টায় সূর্যের বিকিরণের অতিরিক্ত প্রভাব পৃথিবীতে পড়ে, পৃথিবীর কর্মকাণ্ডের উপর পড়ে৷ মনে রাখতে হবে, এটি পৃথিবীর একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া! এক রাতে এটি ঘটে না, ধীরে ধীরে ঘটে৷ কিন্তু এটির প্রক্রিয়ার সময় পৃথিবীর চারিদিকে থাকা চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে তীব্র প্রভাব পড়ে৷ এর ফলে পৃথিবীর মোবাইল নেটওয়ার্কিং, স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রভাব পড়ে৷ ফলে, এই ঘটনায় একটা সময়ের পর গিয়ে পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপুল প্রভাব পড়তে থাকে৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন, ১৯৯০ সাল পর্যন্ত এই মেরু বছরে ১৫ কিলোমিটার গতিতে সরছিল৷ পরবর্তীতে সেই গতি বেড়ে হয়েছে ৫৫ কিলোমিটার প্রতি বছরে৷ যদিও, এটির ফলে পৃথিবীতে ঠিক কী প্রভাব পড়তে চলেছে, তা বিজ্ঞানীরা এখনও বলতে পারছেন না৷ সাধারণত একটি মেরুর দু’দিক থেকে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র ধীরে ধীরে সরতে থাকে৷ তখন এটির শক্তি ধীরে-ধীরে কমতে থাকে৷ পৃথিবীর কেন্দ্রের দিকে এটি এগিয়ে এলে সেটি কমে, তার পর আবার মেরুর দিকে ধীরে ধীরে সরতে থাকে যখন, তখন এর শক্তি আবারও আগের মতো বাড়তে থাকে৷