কলকাতা: অনলাইন বা ডিজিটাল অ্যারেস্ট নতুন একটি স্ক্যাম। এক্ষেত্রে সাধারণত স্ক্যামাররা ভিক্টিমদের কল করে এবং তাদের বলে যে তারা অবৈধ পণ্য, ওষুধ, জাল পাসপোর্ট বা অন্য কোনও নিষিদ্ধ আইটেমের লেনদেনের সঙ্গে জড়িত। কিছু ক্ষেত্রে, অপরাধীরা টার্গেটের আত্মীয় বা বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং তাদের বলে যে ভিক্টিম একটি অপরাধ বা দুর্ঘটনায় জড়িত ছিল এবং বর্তমানে তাদের হেফাজতে রয়েছে।
অপরাধীরা সত্যতা বোঝাতে পুলিশকর্মীদের ছবি বা পরিচয় ব্যবহার করে। এরপর স্ক্যামাররা মূলত ‘সমঝোতা’র মাধ্যমে কেস ডিসমিস করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ চায়। যদি অর্থ না দেওয়া হয় তাহলে কী কী ফল হতে পারে সেই নিয়েও বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, ভুক্তভোগীদের “ডিজিটালি অ্যারেস্ট”ও করা হয় এবং তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত স্কাইপ বা অন্যান্য ভিডিও কনফারেন্সিং প্ল্যাটফর্মে স্ক্যামাররা কাছে ভিজিবল বা দৃশ্যমান থাকতে বাধ্য করা হয়।
স্ক্যামের কার্যপ্রণালী:
এই সাইবার ক্রাইম পদ্ধতির মোডাস অপারেন্ডি হল যে, প্রতারকরা আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা যেমন পুলিশ, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সিবিআই বা অন্যান্য সিকিউরিটি এজেন্সির পরিচয় বহন করে।
সাইবার স্ক্যামাররা শিকারকে এই বিশ্বাসে প্রতারিত করে যে তাকে ‘ডিজিটাল গ্রেপ্তারের’ অধীনে রাখা হয়েছে এবং যদি তারা প্রতারকদের বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রদান না করে তবে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
সাইবার স্ক্যামাররা প্রায়ই ভিক্টিমদের সেলফ-কোয়ারান্টিনে থাকতে বাধ্য করে এই বিশ্বাসে যে, তাদের ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ করা হয়েছে এবং টাকা না দিলে তারা বাড়ি থেকে বেরোতে পারবে না।
এর জন্য সরকারের নতুন সতর্কবার্তা ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’ প্রকাশ পেয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে, পরিচিতদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। কোনও সন্দেহজনক কল পেলে নাগরিকরা তৎক্ষণাৎ সাইবার ক্রাইম হেল্পলাইন নম্বর ১৯৩০ বা www.cybercrime.gov.in এই ওয়েবসাইটে গিয়ে জানাতে পারেন।
এই স্ক্যাম থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল নিজেদের সতর্ক রাখা এবং অপরকেও সচেতন রাখা।