Category Archives: অন্যান্য প্রযুক্তি
Apple: OLED স্ক্রিন সহ নতুন iPad Air ও iPad Pro M4 লঞ্চ করল Apple! দারুণ কম দামে পাওয়া যাবে সেলে!
Apple: জনপ্রিয় কোম্পানি অ্যাপল মঙ্গলবার চারটি নতুন আইপ্যাড লঞ্চ করেছে। আইপ্যাড এয়ার, যা এখন ১১-ইঞ্চি এবং ১৩-ইঞ্চি ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে আসে এবং একটি দ্রুত চিপসেট যুক্ত। আইপ্যাড প্রোতে একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে। iPad Pro, যা এখন ১১-ইঞ্চি এবং ১৩-ইঞ্চির আকারে আসে এবং একটি দ্রুত M4 চিপসেট যুক্ত। এটি আবার ডিজাইন করা হলেও, এটি এখনও একই রকম দেখাচ্ছে। অ্যাপল নতুন আইপ্যাড প্রোকে এখনও তার সবচেয়ে পাতলা আইপ্যাড বলছে। নতুন ট্যাবলেটের পাশাপাশি, অ্যাপল তাদের ম্যাজিক কি-বোর্ড এবং অ্যাপল পেনসিলকেও রিফ্রেশ করেছে। এর পেনসিল, বিশেষ করে কিছু নতুন সেন্সর অর্জন করেছে এবং এখন পেনসিল প্রো নামে বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে।
নতুন আইপ্যাড প্রো-এর অভ্যন্তরে M4 চিপসেট হাইলাইট করে অ্যাপল বলেছে যে, নতুন ট্যাবলেটটি ভিডিও এবং মাল্টিমিডিয়া সামগ্রী তৈরি করতে লোকেদের আনন্দিত করবে। অ্যাপলের হার্ডওয়্যার টেকনোলজিসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জনি স্রোজি জানিয়েছেন যে, “এম ৪-এর সঙ্গে নতুন আইপ্যাড প্রো কীভাবে সেরা শ্রেণির কাস্টম সিলিকন তৈরি করা যুগান্তকারী পণ্যগুলিকে সক্ষম করে তার একটি দুর্দান্ত উদাহরণ। M4-এর শক্তি-দক্ষ কর্মক্ষমতা, এর নতুন ডিসপ্লে ইঞ্জিন সহ, iPad Pro-এর পাতলা ডিজাইন এবং গেম-চেঞ্জিং ডিসপ্লে অসম্ভবকেও যেন সম্ভব করে তোলে। যেখানে CPU, GPU, নিউরাল ইঞ্জিন এবং মেমোরি সিস্টেমের মৌলিক উন্নতিগুলি M4-কে অত্যন্ত উপযুক্ত করে তোলে AI ব্যবহার করে সর্বশেষ অ্যাপ্লিকেশনের জন্য। সব মিলিয়ে, এই নতুন চিপটি আইপ্যাড প্রোকে সবচেয়ে শক্তিশালী ডিভাইস করে তোলে।”
আরও পড়ুন: ত্বক দেখে বোঝা যাবে না বয়স! ৫০-এও জোয়ান! মাখুন সস্তার এই তেল! করিনা কাপুর খানও ব্যবহার করেন
যদিও M4 নিঃসন্দেহে একটি বড় আপগ্রেড, বেশিরভাগ ব্যবহারকারী প্রথম নজরে iPad Pro-তে নতুন OLED ডিসপ্লে লক্ষ্য করতে চলেছেন। অ্যাপল নতুন ডিসপ্লেকে আল্ট্রা এক্সডিআর ডিসপ্লে বলছে। কোম্পানি বলেছে যে, উজ্জ্বলতার চারপাশে OLED সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আরও ভাল উজ্জ্বলতা অর্জনের জন্য কোম্পানিটি iPad Pro-তে দুটি OLED প্যানেল ব্যবহার করেছে। এটি প্রযুক্তিটিকে ট্যান্ডেম ওএলইডি বলে। অর্থাৎ গ্রাহকদের চোখে এখন সবার আগে পড়তে পারে iPad Pro-এর নতুন OLED ডিসপ্লে।
এছাড়াও, এর ডিজাইন পরিবর্তনের অর্থ হল iPad Pro 13-ইঞ্চি মাত্র ৫.৩mm পাতলা। যেখানে iPad Pro 11-ইঞ্চি ৫.১mm পরিমাপ করে। অ্যাপল আরও জানিয়েছে যে, আইপ্যাড প্রোতে পারফরম্যান্স এবং তাপ আরও ভালভাবে পরিচালনা করার জন্য, এটি এতে একটি গ্রাফিন স্তর যুক্ত করেছে। এছাড়াও অ্যাপল তাদের লোগোটি এখন তামা দিয়ে তৈরি, এটিও তাপ সিঙ্ক হিসাবে কাজ করা উচিত।
iPad Air, ইতিমধ্যেই এখন একটি M2 চিপসেট ব্যবহার করে। অ্যাপলের প্রোডাক্ট মার্কেটিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট বব বোর্চার্স জানিয়েছেন যে, “আমরা পুনরায় ডিজাইন করা ১১-ইঞ্চি এবং সম্পূর্ণ-নতুন ১৩-ইঞ্চি আইপ্যাড এয়ার, প্রথমবারের মতো দুটি আকারের প্রস্তাব দিতে পেরে খুব উত্তেজিত। একটি উজ্জ্বল লিকুইড রেটিনা ডিসপ্লে, M2 চিপের অসাধারণ পারফরম্যান্স, অবিশ্বাস্য এআই ক্ষমতা এবং নতুন আনুষাঙ্গিক সমর্থন সহ এর রঙিন, বহনযোগ্য ডিজাইনের সমন্বয়ে, আইপ্যাড এয়ার আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী এবং বহুমুখী।”
ভারতে, নতুন আইপ্যাড এয়ার স্টারলাইট ও স্পেস গ্রে সহ নীল ও বেগুনি রঙের ফিনিশে পাওয়া যায়। ১১-ইঞ্চির iPad Air-এর দাম ৫৯,৯০০ টাকা থেকে শুরু হয়, এবং ১৩-ইঞ্চির iPad Air-এর দাম ৭৯,৯০০ টাকা। ভারতে এখন থেকেই iPad Air-এর অর্ডার দেওয়া যেতে পারে, যেখানে এর ডেলিভারি এবং ফিজিক্যাল সেল ১৫ মে থেকে শুরু হবে। অর্থাৎ ভারতে এর বুকিং এখন থেকে শুরু হয়ে গেলেও এর সেল শুরু হবে ১৫ মে থেকে।
অন্য দিকে, iPad Pro ১১-ইঞ্চি ভ্যারিয়েন্টের জন্য ৯৯,৯০০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে এবং ১৩-ইঞ্চি ভ্যারিয়েন্টটি ১,৪৯,৯০০ টাকা প্রারম্ভিক মূল্যে বিক্রি হবে। নতুন আইপ্যাডের সঙ্গে অ্যাপল বেস ভ্যারিয়েন্টে স্টোরেজ দ্বিগুণ করা হয়েছে। iPad Air ১২৮GB স্টোরেজ থেকে শুরু হয় এবং iPad Pro ২৫৬GB স্টোরেজ দিয়ে শুরু হয়। অ্যাপলের নতুন ম্যাজিক কি-বোর্ড, যা ফাংশন কি এবং একটি পুনরায় ডিজাইন করা ট্র্যাকপ্যাড সহ আসে, তার দাম ভারতে ২৯,৯০০ টাকা থেকে শুরু। অ্যাপলের পেনসিল প্রো, যা এখন নতুন সেন্সর সহ আসে, ভারতে এর দাম শুরু হচ্ছে ১১,৯০০ টাকা থেকে। অ্যাপলের এই সকল প্রোডাক্ট এখন নতুন ফিচার এবং ডিজাইন সহ লঞ্চ করা হয়েছে।
3 Star Vs 5 Star AC: ৫ স্টার না ৩ স্টার দেওয়া এসি কিনবেন? বিদ্যুতের বিল কমাতে হলে এখুনি জানুন
AC Buying Tips: টাকা বাঁচাতে পুরনো AC কিনছেন? উল্টে আকাশছোঁয়া হতে পারে বিদ্যুতের বিল! সর্বনাশ হওয়ার আগে এখনই জানুন জরুরি টিপস
AC Bill Reduce: সুপার ধামাকা! বাড়িতে 2 Ton AC ব্যবহার করেও কম খরচ বিদ্যুতের, সুপার টিপস এক ক্লিকে
Online Dating App: Tinder-Bumble ডেটিং অ্যাপ ব্যবহার করেন? এখনই সাবধান না হলে বড় ক্ষতি! আঁতকে ওঠার মতো তথ্য ফাঁস গবেষকের দৌলতে
Dating App: অনলাইন ডেটিং প্ল্যাটফর্মগুলোর এখন রমরমা বাজার। চিরাচরিত পথের বাইরে অন্যভাবে গড়ে উঠছে বন্ধুত্ব, প্রেম, সাহচর্য। ডেটিং অ্যাপের আলাপ বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়েছে, এমন ঘটনাও কম নয়। সব মিলিয়ে রোম্যান্টিক সম্পর্কে বিপ্লব এসেছে বললে খুব একটা ভুল হবে না। স্মার্টফোনের হাতে জীবনের লাগাম। ইন্টারনেট জুড়ে ডেটিং অ্যাপ। আজকাল নতুন মানুষের সঙ্গে খুব সহজেই আলাপ করা যায়, দেখা করা যায়। ভাল লাগা, মন্দ লাগাগুলো জানতে আর দীর্ঘ পথ পেরতে হয় না। এক ক্লিকেই হাতে চলে আসে সবকিছু।
প্রশ্ন হল, ডেটিং অ্যাপে কী গোপনীয়তা বজায় থাকে? সম্প্রতি ফায়ারফক্স ইন্টারনেট ব্রাউজার মোজিলার গবেষকরা ইউজারদের গোপনীয়তার উপর ভিত্তি করে ২৫টি ডেটিং অ্যাপে গবেষণা চালান। এর মধ্যে রয়েছে Tinder, Bumble, Hinge, OkCupid-এর মতো জনপ্রিয় অ্যাপও। কিন্তু যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে চমকে যেতে হবে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অধিকাংশ ডেটিং অ্যাপ, প্রায় ৮০ শতাংশই বিজ্ঞাপনের জন্য ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার বা বিক্রি করে। এই প্রকল্পে কাজ করা গবেষকদের মধ্যে মিশা রাইকভ বলছেন, “ডেটিং অ্যাপগুলো দাবি করে, আপনি যত বেশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন, ততটাই মনের মানুষ পাবেন। এটা আদৌ সত্যি কি না, তা জানার কোনও উপায় নেই। আমরা যা জানি সেটা হল, বেশিরভাগ ডেটিং অ্যাপই ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখতে পারে না”। প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ২৫ শতাংশ অ্যাপ ইউজাররা যা আপলোড করেন, তা থেকে মেটাডেটা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ছবি, ভিডিও তো বটেই, ইউজার কখন, কোথায় ক্লিক করেছেন, সেই তথ্যও থাকে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, Hinge, OkCupid, Tinder এবং BLK সহ বেশ কয়েকটি অ্যাপ ইউজারের অবস্থানও অ্যাক্সেস করতে পারে।
আরও পড়ুন: আপনার প্রেমিকের নামের প্রথম অক্ষর কি এটাই? জ্যোতিষীর থেকে জেনে নিন সে আসলে কেমন মানুষ
যখন ইউজার অ্যাপ ব্যবহার করছে না, সেই সময়ও ইউজারের অবস্থানের উপর লক্ষ্য রাখে কিছু অ্যাপ। গবেষকরা গোপনীয়তা রক্ষার জন্য ইউজারদের কিছু টিপস দিয়েছেন। তাঁদের পরামর্শ হল, থার্ড পার্টি অ্যাপ থেকে এই ধরনের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা উচিত নয়। টিন্ডার বা বাম্বল প্রোফাইলকে লিঙ্কডইন প্রোফাইলের মতোই দেখতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘অ্যাপ পারমিশন’ সীমিত করা। তবেই গোপন কথাটি গোপনে থাকবে।
Room Cooling Tips: AC ছাড়াই ঘর ভরবে শীতল হাওয়ায়! এই তাপপ্রবাহে সস্তায় ঠান্ডা থাকুন, Air Cooler-এর জন্য ছোট্ট একটা টোটকা
AI-TCS: বন্ধ হয়ে যাবে সমস্ত কল সেন্টার! চাকরি হারাবেন কয়েক হাজার মানুষ! বড় তথ্য সামনে আনল TCS
AI: আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে সমস্ত কল সেন্টার। চাকরি হারাবেন কয়েক হাজার তরুণ-তরুণী। তাঁদের জায়গায় কাজ করবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স চালিত রোবট। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন টিসিএস-এর চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার কে কীর্তিবাসন।ভারতের আইটি সেক্টরের মূল অংশ হল কল সেন্টার। বিশ্বের উন্নত বাজারগুলির চিত্রটাও একই। বছরের পর বছর ধরে এই সেক্টর চাকরি যুগিয়ে চলেছে কয়েক লক্ষ তরুণ তরুণীর। কিন্তু টিসিএস প্রধান মনে করছেন, কল সেন্টারগুলোর মৌলিক কাজ চালানোর জন্য এআই প্রস্তুত। মানুষের উপস্থিতি ছাড়াই সিস্টেম এবং ইনকামিং কল পরিচালনা করতে পারবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
কীর্তিবাসন মনে করেন, এমন দিন আর বেশি দূরে নেই যখন কল সেন্টার পরিচালনা করবে এআই। গ্রাহকদের কথা শুনবে, সমস্যা অনুযায়ী সমাধান করবে। এই কাজে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের ডেটা মডেলের উপর ভিত্তি করে এআইকে প্রশিক্ষণ দেবে কোম্পানিগুলোই। এআই বিবর্তনের গতি দেখে এক বছরের মধ্যেই এই পরিবর্তন হতে পারে বলে অনুমান করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঘুম নেই, কষ্টে আছেন, অসুখ ছাড়ছেই না? জড়িয়ে ধরুন মানুষকে! মুহূর্তে সুস্থ হবেন!
এর স্পষ্ট অর্থ হল লক্ষ লক্ষ কর্মী চাকরি হারাবেন। অনেক ফিজিক্যাল কলিং সেন্টার বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, “আমরা যদি আদর্শ পরিস্থিতির কথা বলি, তাহলে আগামী সময়ে, কল সেন্টারগুলিতে কল আসার সংখ্যা কমে যাবে”। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে আছি যখন প্রযুক্তি কল আসার আগেই গ্রাহকের সমস্যার সমাধান করতে পারে এবং তাকে সঠিক পরামর্শ দিতে পারে।”
আরও পড়ুন: ৫০-এও কী করে এত সুন্দর? ফাঁস হল মালাইকা আরোরার সিক্রেট! আপনিও হতে পারেন এমন!
লেনদেনের ইতিহাস এবং অতীত আচরণ দেখে চ্যাটবট সহজেই বুঝতে পারবে গ্রাহক কী ধরনের সমস্যায় পড়তে পারেন। এমন পরিস্থিতিতে, কল সেন্টারের কর্মীদের কাজটা এআই খুব সহজেই করতে পারবে। গত কয়েক বছর ধরেই চাকরির বাজারে এআই-এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা চলছে। গুগল ইতিমধ্যেই ব্যাপক ছাঁটাই করেছে। জেনারেটিভ এআই-কে দিয়ে অনেক জটিল কাজ চালাচ্ছে তারা। তবে টিসিএসের প্রধান মনে করেন, আগামী কয়েক বছরে প্রযুক্তিবিদদের চাহিদা কমার পরিবর্তে বাড়বে। তিনি আরও মনে করেন, পরিবর্তিত চাহিদার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত।