পুরুলিয়া: হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। একেবারেই দোরগোড়ায় পুরুলিয়ার লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনে সমস্ত দিক থেকেই প্রস্তুত শাসক-বিরোধী শিবির গুলি। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। পুরুলিয়া লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো। ৬৯ বছর বয়সেও রাজনীতির ময়দান দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। প্রথম থেকে নিজের জয়ের ব্যাপারে কনফিডেন্ট থাকতে দেখা গিয়েছে তাকে। এমনকি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত তার কনফিডেন্স দেখে প্রশংসা করেছেন। এছাড়াও জেলায় আসা অন্যান্য হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীরা অনেকখানি আশাবাদী প্রার্থী শান্তির মাহাতোর জয়ের ব্যাপারে।
পুরুলিয়া লোকসভা নির্বাচনে শান্তিরাম মাহাতোর সমর্থনে এইদিন জেলায় আসেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী তথা ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। এই দিন তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতোর সমর্থনে হুড়া পেট্রোল পাম্প থেকে লালপুর মোড় পর্যন্ত সাড়ে তিন কিমি রোড শো করেন তিনি। এই রোড শো-তে কয়েক হাজার মানুষ পা মেলান। কাতারে কাতারে মানুষ তাকে দেখতে ভিড় জমান। আধ ঘন্টার কর্মসূচি চলে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে। আর এই কর্মসূচি দু’ঘন্টা ধরে চলার কারণে প্রায় সন্ধ্যে নেমে যায়। এর ফলে ইউসুফ পাঠানের চপার উড়তে পারল না। ফলত এইদিন তাকে রাত্রিবাস করতে হয় পুরুলিয়ায়।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আবহাওয়া খারাপ থাকার কারনে রোড শো শুরু হতে অনেকটা বিলম্ব হয়ে যায়। এরপরেও যখন তারকা প্রার্থী হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছান তাকে এক ঝলক দেখার জন্য তখন হেলিপ্যাডের চার পাশে মানুষের ভিড় জমে যায়। কপ্টার থেকে নামার পরেই পুষ্পস্তবক ও পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ দিয়ে ইউসুফ পাঠানকে বরণ করেন হুড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা হুড়া পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ প্রসেনজিৎ মাহাত। এরপর গাড়িতে করে তারকা পৌঁছান হুড়া পেট্রোল পাম্পে। সেখানে উঠে পড়েন ফুলে সজ্জিত গাড়িতে। এদিনের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো, রাজ্যের মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া সহ বহু নেতাকর্মীরা।
এই দিন তারকা প্রার্থীকে সামনে থেকে দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন জনগণ। পুরুলিয়া -বাঁকুড়া ৬০-এ জাতীয় সড়কে তিল ধারণের জায়গা থাকেনা। সেলফি তুলতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন আট থেকে আশি সকলে। আধ ঘন্টার বদলে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে এই কর্মসূচি। এই দু’ঘণ্টায় জেলা জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল। চারিদিকে তৃনমূলের পতাকা ও কর্মী সমর্থকদের উল্লাস। সাউন্ড বক্সে নব জোয়ারের গান আর তার সঙ্গে ঢোল, ধামসা, কাঁশরের আওয়াজ একেবারে অন্য সাজে সেজে উঠেছিল পুরুলিয়ার হুড়া ব্লক।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি