মাদুরের মুল 

Bangla Video: মাদুর নয়, মাদুর কাঠির মূল‌’ই এখন ভরসা চাষিদের

পশ্চিম মেদিনীপুর: সবং এবং নারায়নগড় মিলিয়ে বহু মানুষ মাদুর শিল্পের উপর নির্ভরশীল। মাদুরকাঠির চাষ করে তাকে প্রক্রিয়াকরণ করে মাদুর তৈরি হয়। আবার কখনও কখনও কাঠি বিক্রি করেও সংসার চালান প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার কৃষকেরা। কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি কমেছে হাতে বোনা মাদুরের। তবে চাষিদের কার্যত বাঁচিয়ে দিচ্ছে মাদুর গাছের শিকড়। মূল বিক্রি করে মাদুরকাঠির তুলনায় বেশি লাভ হচ্ছে চাষিদের।

পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড় ব্লকের কুশবসান এবং বাখরাবাদ পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামের মানুষ মাদুর শিল্পের উপর নির্ভর করে নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন। অন্যদিকে সবং ব্লক এবং পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর সহ একাধিক জায়গাতেও মাদুরের চাষ করে বহু মানুষ। বাড়ির সকলে যুক্ত থাকেন মাদুরের কাজে। মাঠ থেকে মাদুরকাঠি এনে তাকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে কেটে, শুকিয়ে তৈরি করেন মাদুরকাঠি। এরপর সেই কাঠি দিয়ে মাদুর বানিয়ে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে কিংবা হাটে বিক্রি করেন তাঁরা। এছাড়াও শুধুমাত্র মাদুরকাঠি বিক্রি হয় বিভিন্ন বাজারে। তবে পরিশ্রমের তুলনায় লাভ মিলছে না চাষিদের। অন্যদিকে বেশ কয়েক বছর ধরে চাষিরা বিক্রি করছেন মাদুর গাছের মূল। যা বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন গ্রামাঞ্চল থেকে।

আরও পড়ুন: গাছে আম নেই, ফিরে যাচ্ছে পাইকাররা

জানা গিয়েছে এই মাদুর গাছের মূল থেকে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স, সুগন্ধি দ্রব্য। তাই গ্রামাঞ্চল থেকে চাষিদের থেকে দাম দিয়ে কেনেন ব্যবসায়ীরা এবং যা রফতানি হয় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। তুলনা অপেক্ষায় মাদুরকাঠি কিংবা মাদুর বুনে যা লাভ হয় তার থেকে বেশি লাভজনক এই মূল বিক্রি করে। দু’বছর কিংবা তিন বছর অন্তর এই মূল বিক্রি করেন চাষিরা। পুরানো মূলের দামও রয়েছে আলাদা।

তবে বর্তমানে মাদুর শিল্পে যুক্ত চাষিদের অবস্থা তথৈবচ। লাভ হচ্ছে না মাদুর বুনে। সরকারি সাহায্যের আশ্বাস জানিয়েছেন তারা। তবে মাদুরের মূলে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন তাঁরা।

রঞ্জন চন্দ