Tag Archives: local news

Youth Death: চাষের জমির সামান্য উপর দিয়ে হাইভোল্টেজ লাইন! মর্মান্তিক পরিণতি যুবকের

ঝাড়গ্রাম: সামান্য বেখেয়ালে বিদ্যুতের হাইভোল্টেজ লাইনের সংস্পর্শে এসে মর্মান্তিক পরিণতি হল এক ব্যক্তির। সাঁকরাইল থানার ঘোড়াপাড়া এলাকায় অরুণ মান্ডি (৪০) নামে ঐ ব্যক্তির মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে একটি মোষেরও। একটি কৃষি জমির উপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে এলাকার একটি চাষের জমির উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন অরুণ মান্ডি। ওখানে খুব নীচ দিয়ে গিয়েছে বিদ্যুতের হাইভোল্টেজ লাইন। তারই সংস্পর্শে চলে আসেন তিনি। আর তাতেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি কিছুক্ষণ পরে স্থানীয়দের নজরে আসে। তাঁরা দেখেন কিছুটা দূরে একটি মোষ একইরকমভাবে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এই ঘটনায় বিদ্যুৎ দফতরের দিকে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন: চাল-চোরকে ধরিয়ে দিল CCTV ফুটেজ!

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত অরুণ মন্ডির বাড়ি ঝাড়গ্রামের লাউদহ গ্রামে। সূত্রের খবর, তিনি সকালে একটি মোষকে মাঠের দিকে চড়াতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই খুব নীচ দিয়ে যাওয়া হাইভোল্টেজ লাইনের সংস্পর্শে চলে আসেন। আর সঙ্গে সঙ্গেই ঘটে দুর্ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ।

রঞ্জন চন্দ

Cassette Museum: নস্টালজিয়া বাঁচিয়ে রাখতে মিউজিয়াম গড়ে ফেলেছেন এই যুবক! কীসের জানেন?

জলপাইগুড়ি: ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এই বিশেষ সংগ্রহশালা বা মিউজিয়াম বানানোর চেষ্টায় রত এই যুবক। কিন্তু কীসের মিউজিয়াম জানেন?

মেলোডিয়াস যুগের এক অন্যতম চিহ্ন এ‌ই বিশেষ জিনিসটি। এটা এখন প্রায় বিলুপ্ত। কথা হচ্ছে অডিও ক্যাসেট নিয়ে। বিলুপ্ত অডিও ক্যাসেট জমানো জলপাইগুড়ির এই যুবকের নেশা। যদিও এখন কারওর গান শুনতে ইচ্ছা হলে স্পটিফাই, গানা কিংবা ইউটিউবের সাহায্যে সহজেই সেই প্রয়োজন মিটে যায়। এর জন্য হাতে একটা স্মার্টফোন থাকলেই চলে যায়, আর কোন‌ও কিছুর দরকার পড়ে না।

আজকের দিনে সিডি, ক্যাসেট কিংবা ভিসিডি এই শব্দগুলো কেমন যেন অচেনা শোনায়। আজকের প্রজন্ম হয়ত দেখেইনি এগুলোর ব্যবহার। ইন্টারনেটের উৎকর্ষতায় এগুলো যেন প্রাগৈতিহাসিক যুগের জিনিস হয়ে গিয়েছে। প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়েছে। সেখানে পুরোনো অডিও রিল ক্যাসেট প্লেয়ার দিয়ে ৮০-৯০ এর দশকের গান প্রতিনিয়ত বাজিয়ে চলেছেন জলপাইগুড়ির রায়কত পাড়ার যুবক আশিস চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন: বিধ্বংসী আগুন! লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই সবকিছু

এই যুবক নতুনত্বকে অস্বীকার করছেন না। তবে পুরনো ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টায় পুরনো অডিও ক্যাসেট জমিয়ে মিউজিয়াম তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর জন্য সংগ্ৰহ করছেন ক্যাসেট এবং প্রতিদিন সেগুলো বাজাচ্ছেন। তাঁর কাছে ৭০০-এরও বেশি ৮০ ও ৯০ দশকেরও বেশি ক্যাসেট কাছে। তাঁর সঙ্গে কথা বলে যেটুকু বোঝা গেল, আশি এবং নব্বইয়ের দশকে বিনোদনের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল ক্যাসেট এবং অডিও প্লেয়ার। সেগুলো আজকের দিনে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এমন বেশ কিছু বিরল সংগ্রহ নিয়ে তিনি এই মিউজিয়াম গড়তে চান।

সুরজিৎ দে

Clay Water Bottle: মাটির বোতল থেকে ফিল্টার, স্বাস্থ্যের উপকারি এই জিনিসগুলো এখানে কিনুন

আপনি কি শরীরের বিষয়ে যত্নশীল? তবে প্লাস্টিক বোতলে জল খাওয়া ছেড়ে জল রাখুন এইসবে। একদিকে যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তেমনই বেশ কয়েক ঘণ্টা ঠান্ডা থাকবে জল।
আপনি কি শরীরের বিষয়ে যত্নশীল? তবে প্লাস্টিক বোতলে জল খাওয়া ছেড়ে জল রাখুন এইসবে। একদিকে যখন স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী, তেমনই বেশ কয়েক ঘণ্টা ঠান্ডা থাকবে জল।
মাটির তৈরি এসব জিনিস। বিক্রি হচ্ছে প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায়। যথেষ্ট বিক্রি হচ্ছে। একদিকে যেমন দেখতে সুন্দর তেমনই বেশ উপকারী এই সকল মাটির তৈরি জিনিস।
মাটির তৈরি এসব জিনিস। বিক্রি হচ্ছে প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায়। যথেষ্ট বিক্রি হচ্ছে। একদিকে যেমন দেখতে সুন্দর তেমনই বেশ উপকারী এই সকল মাটির তৈরি জিনিস।
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড় ব্লকের গোপীনাথপুর এলাকায় এক ব্যক্তি বিক্রি করছেন মাটির তৈরি বোতল, ফিল্টার সহ নানান জিনিস।
পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়নগড় ব্লকের গোপীনাথপুর এলাকায় এক ব্যক্তি বিক্রি করছেন মাটির তৈরি বোতল, ফিল্টার সহ নানান জিনিস।
মাটির তৈরি এই সকল ফিল্টার এবং বোতলে প্রায় সাত থেকে আট ঘন্টা পর্যন্ত জল ঠান্ডা থাকছে। এছাড়াও বোতল কিংবা ফিল্টারকে বিভিন্ন রঙিন আলপনায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
মাটির তৈরি এই সকল ফিল্টার এবং বোতলে প্রায় সাত থেকে আট ঘন্টা পর্যন্ত জল ঠান্ডা থাকছে। এছাড়াও বোতল কিংবা ফিল্টারকে বিভিন্ন রঙিন আলপনায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
বিক্রেতা দুলাল দাস বলেন, এই সকল জিনিসের দাম রয়েছে নিমিত্ত মাত্র। বোতলের দাম একশ কুড়ি থেকে দেড়শ টাকা, ফিল্টারেরও দাম রয়েছে নাগালের মধ্যে।
বিক্রেতা দুলাল দাস বলেন, এই সকল জিনিসের দাম রয়েছে নিমিত্ত মাত্র। বোতলের দাম একশো কুড়ি থেকে দেড়শ টাকা। ফিল্টারেরও দাম রয়েছে নাগালের মধ্যে।
খুব সুন্দর এবং সৌখিন এই সকল মাটির জিনিস। স্বাস্থ্যের পক্ষেও বেশ উপকারী। পুষ্টিবিদ বিশ্বজিৎ দাস বলেন, মাটির তৈরি জিনিসে একদিকে খুব ঠান্ডা থাকে জল এবং মাটির বিশেষ গুণের কারণে মাটির কোনও পাত্রে জল রেখে খেলে শরীর বেশ সুস্থ থাকে।
খুব সুন্দর এবং সৌখিন এই সকল মাটির জিনিস। স্বাস্থ্যের পক্ষেও বেশ উপকারী। পুষ্টিবিদ বিশ্বজিৎ দাস বলেন, মাটির তৈরি জিনিসে একদিকে খুব ঠান্ডা থাকে জল এবং অন্যদিকে মাটির বিশেষ গুণের কারণে মাটির কোনও পাত্রে জল রেখে খেলে শরীর বেশ সুস্থ থাকে।

Bangla Video: ছড়িয়ে ছিটিয়ে আবর্জনা, দুর্গন্ধে অতিষ্ট কালচিনিবাসী

আলিপুরদুয়ার: বেহাল অবস্থা আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনির নিকাশি ব্যবস্থা। প্রায় সমস্ত নর্মদায় নোংরা জমে আবর্জনার স্তূপে পরিণত হয়েছে। এই সমস্যার সমাধান কবে হবে বুঝতে পারছে না এলাকাবাসীরা।

নিকাশি ব্যবস্থার এমন বেহাল অবস্থার জেরে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। একাধিকবার প্রশাসনের আশ্বাসের পরও সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা জানান, বহুবার প্রশাসনকে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও নিকাশির কাজ হচ্ছে না। এমনকি নর্মদা পরিষ্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না প্রশাসন।

আর‌ও পড়ুন: ওরাও পারে! মাধ্যমিকের নজরকাড়া সাফল্য বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের

এই পরিস্থিতিতে প্রতিবছর বর্ষাকালে বৃষ্টি এলেই সমস্ত নোংরা আবর্জনা রাস্তা থেকে বাসিন্দাদের ঘরে ঢুকে পড়ে। এমনিতেও নোংরা প্রবেশ করে ঘরগুলিতে। এদিকে দ্রুত নিকাশির এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন কালচিনি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান যোগেন্দ্র প্রসাদ সাহ। যদিও কবে সমস্যা দূর হবে সেই অপেক্ষায় আছেন গ্রামবাসীরা।

অনন্যা দে

Illegal Tree Cutting: তাপপ্রবাহের মধ্যেই কাকদ্বীপে কেটে ফেলা হল হাজার হাজার গাছ!

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: তীব্র গরমে যখন সবাই গাছ লাগানোর কথা বলছে ঠিক তখন‌ই কাকদ্বীপে কেটে ফেলা হল হাজার হাজার গাছ। সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠছেন অনেকেই। ‌এমন যদি অবস্থা হয় তবে আগামী দিনে আরও ভয়ঙ্কর পরিণতি অপেক্ষা করছে বলে সতর্ক করে দিচ্ছেন পরিবেশপ্রেমীরা।

তীব্র গরমে পুড়ছে গোটা বাংলা। পরিবেশবিদদের মতে যথেচ্ছ হারে গাছ কেটে নেওয়ার ফল ভুগতে হচ্ছে বাংলাকে। এর‌ই মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ ব্লকের মধুসূদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শিবকালীনগরে প্রায় হাজারের কাছাকাছি সরকারি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল। রাস্তার পাশে সরকারিভাবে লাগানো সোনাঝুরি গাছ কাটা শুরু হয় প্রথমে। তারপর সেই গাছ কাটার পর পাচারও হয়ে যাচ্ছিল। এলাকার মানুষ সব দেখেও ভয়ে চুপচাপ ছিল। এরপর কাকদ্বীপের বাসিন্দা তথা বিজেপি নেতা দীপঙ্কর জানা লিখিতভাবে অভিযোগ করেন কাকদ্বীপের বিডিও, এসডিও ও হারুড পয়েন্ট উপকূল থানায়।

আর‌ও পড়ুন: মোষের পিঠে চেপে মনোনয়ন পেশ কুড়মি প্রার্থী অজিতের! রইল ভিডিও

বিজেপি নেতার থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর সমন্বিত ফেরে পুলিশের। ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু গাছের গুঁড়ি বাজেয়াপ্ত করে তারা। সবকিছুর পরও প্রশ্ন উঠছে, সরকারিভাবে লাগানো এই গাছ কার অনুমতিতে কাটা হচ্ছিল। বন দফতরের অনুমতি ছিল কিনা সেটাও স্পষ্ট নয়। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হল পরিবেশ ক্রমশ চরম হয়ে উঠলেও প্রশাসন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, কারোর মধ্যেই বিশেষ একটা সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না।

নবাব মল্লিক

Accidental Death: মাছ ধরতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মৃত্যু

দক্ষিণ দিনাজপুর: মাছ ধরতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট থানার অন্তর্গত ৬ নম্বর ডাঙাগ্রাম পঞ্চায়েতের মাহিনগর এয়ারপোর্ট মোড় সংলগ্ন এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রঞ্জিত ভাংড়া (৪০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির মাছ ধরার নেশা ছিল। রোজের মত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাহিনগর এয়ারপোর্ট মোড়ের পাকা রাস্তার ধারে একটি ছোট পুকুরে মাছ ধরতে যান। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন রঞ্জিত ভাংড়া। বাড়ির লোকেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিতে থাকে। বেশ কিছুটা সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় স্থানীয় কয়েকজন ঘটনাস্থলে এসে সন্ধান করতে থাকেন। সেই সময়ই ওই ব্যক্তির দেহ পুকুরে ভাসতে দেখা যায়।

আর‌ও পড়ুন: অপরিসীম কৌতুহল প্রাণ কেড়ে নিল নাবালকের! রেলের বৈদ্যুতিন পোস্টে উঠতেই সব শেষ

বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা পুকুরে জাল দিয়ে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করেন। “মৃত রঞ্জিত ভাংড়ার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মৃগী রোগ ছিল। তাঁদের অনুমান, মাছ ভরার সময় হয়ত মৃগীর অ্যাটাক হয়েছিল। তাতেই পুকুরে পড়ে গিয়ে শ্বাসরোধ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। এদিকে স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ এসে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সুস্মিতা গোস্বামী

New VC: নতুন উপাচার্য পেল গৌড়বঙ্গ

মালদহ: নতুন উপাচার্য পেল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।‌ এদিন উপাচার্যের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন অধ্যাপক পবিত্র চট্টোপাধ্যায়।‌ তিনি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে এতদিন অধ্যাপনা করছিলেন।‌ উল্লেখ্য, রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের জটিলতার কারণে উপাচার্য নিয়োগের প্রক্রিয়া আটকে ছিল। সেই জট কাটতেই নতুন উপাচার্য পেল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।

এদিকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেই মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার উন্নয়নের বিষয়ে জোর দেওয়ার পক্ষে সাওয়াল করেন পবিত্রবাবু। বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল সমস্যা দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা সহ অডিটোরিয়াম ও পড়াশোনা বিষয়ে সার্বিক উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কর্তা, আধিকারিকদের একত্রিত করে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

আর‌ও পড়ুন: বড়সড় অগ্নিকাণ্ড আসানসোলে, কাঠগোড়ায় উঠল ‘গরম’

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে এতদিন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছিলেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রজত কিশোর দে। আদালতের নির্দেশে নতুন উপাচার্য পদে বসলেন অধ্যাপক পবিত্র চট্টোপাধ্যায়।বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এদিন নতুন উপাচার্যকে সংবর্ধনা জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক রজত কিশোর দে’ও।

২০০৮ সালে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামোগত নানান সমস্যা রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের হোস্টেল ভবন তৈরি হলেও এখনও তা চালু হয়নি। এছাড়াও নানান সমস্যায় জর্জরিত মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।‌ আগামীতে এই সমস্ত সমস্যাগুলির সমাধান করার আশ্বাস দেন নবনিযুক্ত উপাচার্য। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম উপাচার্য হিসেবে নিযুক্ত হলেন পবিত্র চট্টোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, পড়াশোনার মানোন্নয়নের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরিকাঠামোগত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবেন।

হরষিত সিংহ

Unknown Things Dropped In Jamuria: গর্ত মাটিতে, ছাদেও ধরছে ফাটল! আকাশ থেকে কী ঝরে পড়ল জামুড়িয়ায়, দেখলে চমকে যাবেন

তখন সবাই যে যার মতো নিজের কাজে ব্যস্ত। তার মধ্যেই কেউ কেউ লক্ষ্য করলেন, আকাশ থেকে উড়ে আসছে বিশাল বিশাল রহস্যময় ধাতুর টুকরো। যে যার মতো সাবধান হয়ে গেলেন। ফলে অনেকের প্রাণ বাঁচল।
তখন সবাই যে যার মতো নিজের কাজে ব্যস্ত। তার মধ্যেই কেউ কেউ লক্ষ্য করলেন, আকাশ থেকে উড়ে আসছে বিশাল বিশাল রহস্যময় ধাতুর টুকরো। যে যার মতো সাবধান হয়ে গেলেন। ফলে অনেকের প্রাণ বাঁচল।
কিন্তু এই রহস্যময় ধাতুর টুকরো ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতি চালিয়েছে জামুড়িয়ার জাদুডাঙ্গা এবং সংলগ্ন দুটি গ্রামে। বেশ কয়েকটি বাড়ি এই বিশাল ধাতুর টুকরোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
কিন্তু এই রহস্যময় ধাতুর টুকরো ব্যাপকভাবে ক্ষয়ক্ষতি চালিয়েছে জামুড়িয়ার জাদুডাঙ্গা এবং সংলগ্ন দুটি গ্রামে। বেশ কয়েকটি বাড়ি এই বিশাল ধাতুর টুকরোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
কিন্তু এই ধাতুর টুকরোগুলি আসলে এল কীভাবে? তা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক হইচই শুরু হয়ে যায়। অন্য দিকে উড়ে আসা এই ধাতুর টুকরোগুলি কোনও বাড়ির দেওয়াল ভেঙে দিয়েছে। আবার কোনও বাড়ির মেঝে ভেদ করে মাটিতে ঢুকে গিয়েছে গভীর পর্যন্ত। আবার এলাকার খালি মাঠ এলাকায় বিশাল গর্তের সৃষ্টি করেছে এই রহস্যময় ধাতুর টুকরো।
কিন্তু এই ধাতুর টুকরোগুলি আসলে এল কীভাবে? তা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক হইচই শুরু হয়ে যায়। অন্য দিকে উড়ে আসা এই ধাতুর টুকরোগুলি কোনও বাড়ির দেওয়াল ভেঙে দিয়েছে। আবার কোনও বাড়ির মেঝে ভেদ করে মাটিতে ঢুকে গিয়েছে গভীর পর্যন্ত। আবার এলাকার খালি মাঠ এলাকায় বিশাল গর্তের সৃষ্টি করেছে এই রহস্যময় ধাতুর টুকরো।
তা ছাড়া বেশ কয়েকটি বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র নষ্ট হয়েছে। স্থানীয় এক মহিলা এই রহস্যময় বিশাল টুকরোর আঘাতে চোট পেয়েছেন এলাকাবাসী সাবধান না হলে আরও বড় বিপদ হতে পারত বলে অনেকে মনে করছেন।
তা ছাড়া বেশ কয়েকটি বাড়ির বিভিন্ন আসবাবপত্র নষ্ট হয়েছে। স্থানীয় এক মহিলা এই রহস্যময় বিশাল টুকরোর আঘাতে চোট পেয়েছেন এলাকাবাসী সাবধান না হলে আরও বড় বিপদ হতে পারত বলে অনেকে মনে করছেন।
যদিও শেষমেশ এই রহস্যময় টুকরোর কারণ অনুসন্ধান করা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, জামুরিয়ার জাদুডাঙ্গা এলাকায় একটি বেসরকারি কারখানায় যন্ত্রাংশ বিস্ফোরণ হয়েছে। আর বিস্ফোরণের পর যন্ত্রাংশের সেই সমস্ত টুকরোগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে এলাকার তিনটি গ্রামের বিভিন্ন এলাকায়।
যদিও শেষমেশ এই রহস্যময় টুকরোর কারণ অনুসন্ধান করা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, জামুরিয়ার জাদুডাঙ্গা এলাকায় একটি বেসরকারি কারখানায় যন্ত্রাংশ বিস্ফোরণ হয়েছে। আর বিস্ফোরণের পর যন্ত্রাংশের সেই সমস্ত টুকরোগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে এলাকার তিনটি গ্রামের বিভিন্ন এলাকায়।
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা থেকে অনুমান করা যাচ্ছে, যন্ত্রাংশ বিস্ফোরণের তীব্রতা কতটা ছিল। তবে কি কারণে এই বিস্ফোরণ, সে সম্পর্কে কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনওরকম মন্তব্য করা হয়নি। অন্য দিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফরেনসিক টিম।
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা থেকে অনুমান করা যাচ্ছে, যন্ত্রাংশ বিস্ফোরণের তীব্রতা কতটা ছিল। তবে কি কারণে এই বিস্ফোরণ, সে সম্পর্কে কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনওরকম মন্তব্য করা হয়নি।
অন্য দিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফরেনসিক টিম।

International Labour Day 2024: মে দিবসের দিন‌ই কর্মহীন ৮০০ শ্রমিক! বন্ধ হল চা বাগান

জলপাইগুড়ি: আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের দিন‌ই কর্মহীন হয়ে পড়লেন ৮০০ শ্রমিক! ডুয়ার্সের তোতাপাড়া চা বাগানের ঘটনা। বুধবার সকালে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকরা দেখেন মালিকপক্ষের তরফ থেকে কর্মবিরতির নোটিশ ঝোলানো হয়েছে। ১ মে’র দিন‌ই এমন ঘটনা ঘটবে কে আর ভেবেছিল!

হঠাৎ কাজ হারিয়ে মাথায় হাত জলপাইগুড়ির এই চা বাগানের শ্রমিকদের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মে দিবসের প্রাক্কালে রাতের অন্ধকারে বাগানে কর্মবিরতির নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। আর এতেই রাতারাতি কর্মহীন হয়ে পড়েন তোতাপাড়া চা বাগানের প্রায় ৮০০ জন চা শ্রমিক।

আর‌ও পড়ুন: পশু-পাখিদের হিট স্ট্রোক ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা

জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই চা বাগানটিতে কর্মরত শ্রমিকদের পাওনা গন্ডাকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। তবে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েই বাগান বন্ধ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে জানিয়েছে চরম আর্থিক সঙ্কট চলছে। যদিও শ্রমিকদের দাবি, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বাগানটিকে বন্ধ করা হয়েছে। তাঁরা দ্রুত বাগান খোলার দাবিতে সরব হন। শ্রমিকদের অভিযোগ, পিএফ, গ্র্যাচুইটির মত অন্যান্য পাওনা গন্ডার পাশাপাশি সম্প্রতি সেখানে শ্রমিকদের ৩ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া পড়ে আছে। সেই বকেয়া টাকারই দাবি জানিয়েছিলেন শ্রমিকরা।

বকেয়া পরিশোধের উদ্দেশ্য নিয়ে বানারহাট বিডিও অফিসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। যদিও সেখানে মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন না। পরে চিঠি দিয়ে মালিকপক্ষ এক সপ্তাহের মজুরি মিটিয়ে দেয়। তারপরের দিনই বন্ধ করে দেওয়া হল চা বাগান। ফলে এখানকার শ্রমিকরা শুধু কাজই হারালেন না, তাঁদের অর্থ বকেয়াও রেখে দিল বাগান কর্তৃপক্ষ।

সুরজিৎ দে

Fire Incident: আনন্দ বদলে গেল বিষাদে! বিয়ের আগের রাতে পুড়ে ছাই মণ্ডপ, একটুর জন্য…

হাওড়া: আনন্দের মাঝেই বেজে উঠল বিষাদের সুর। বিয়ে বাড়ির মণ্ডপে কারা যেন আগুন লাগিয়ে দিল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি সাঁকরাইলের। রাতের অন্ধকারে বিয়ের মণ্ডপে আগুন লাগানোর এই ঘটনাটি ঘটে। একটুর জন্য বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে। কিন্তু গোটা ঘটনায় হকচকিয়ে গিয়েছে বিয়ে বাড়ির সদস্যরা থেকে শুরু করে এলাকাবাসী সকলে।

বিয়ের অনুষ্ঠানের আগেই নির্মিত প্যান্ডেলে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনাটি হাওড়ার সাঁকরাইলের রঘুদেবাটি মিতালি পাড়ার। সোমবার সকালেই বিয়ের অনুষ্ঠান শুরুর কথা ছিল। কিন্তু গভীর রাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ায় পুড়ে যায় মণ্ডপ। আগুন লেগে যাওয়ার বিষয়টি নজরে আসতেই সকলে মিলে তা নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তার মধ্যেই প্রায় অর্ধেক মণ্ডপ পুড়ে যায়। এই আকস্মিক ঘটনায় স্তম্ভিত এলাকাবাসী। ওই এলাকায় বিয়ে বাড়ির মত অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা এর আগে কোনওদিনও ঘটেনি বলে দাবি স্থানীয়দের।

আর‌ও পড়ুন: একটি গাছের হত্যা! রবীন্দ্রনাথের বকুল হত্যায় তদন্তের দাবি

তবে ঠিক কী ঘটেছিল, কী কারণে এমন ভয়াবহ কাণ্ড তা ভেবে কুল পাচ্ছে না পরিবার। এই প্রসঙ্গে পাত্রের বাবা আনসারুল সরদার বলেন, রাত পার হলেই বড় ছেলে রিয়াজউদ্দিন সর্দারের বিয়ে। কিন্তু বিয়ের আগের দিন যা হল তাতে সকলেই আতঙ্কিত। ওই সময় প্যান্ডেল থেকে সকলে বাড়িতে খেতে এসেছিল, না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। পাত্রের বাবা আনসারুল সরদার বলছেন, শত্রুতা নাকি রাজনৈতিক চক্রান্ত বুঝে উঠতে পারছি না। এমন ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবারটি।

রাকেশ মাইতি