বসিরহাট: গ্রামের রাস্তায় স্কেটিং-এ পায়ের জাদু কিশোরদের। শুধু শহর নয় শহরতলীর পর গ্রামের অলি গলিতে চোখ রাখলে দেখা মিলবে স্কেটিং এর। গ্রামের এমন দৃশ্য দেখে কেউ কেউ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলেন পথচারী থেকে এলাকাবাসী। দু’পায়ে চাকা লাগানো জুতো। পিচের রাস্তায় সেই জুতো পরেই চাকার ঘড়ঘড় আওয়াজ তুলে ছুটে চলেছে কিশোররা । চাকাওয়ালা বিশেষ এই জুতোর নাম স্কেটিং শু। তবে এক সময় এটি শহরাঞ্চলে দেখা গেলেও বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলেও এবার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে পশ্চিমী দুনিয়ার এই বিশেষ খেলা। মোবাইল ফোনের আসক্তি ছেড়ে অনেক কিশোর স্কেটিং-এ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গ্রামের গলি থেকে রাজ্য সড়ক।
আরও পড়ুন: শহরকে দাবদাহ থেকে বাঁচাতে গাছ নিয়ে রাস্তায় বসিরহাটের প্রমীলা বাহিনী
কেউ কেউ আবার স্কেটিং-এর সেই মুহূর্ত মুঠোফোনে রেকর্ড করে সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করে সেখান থেকে অর্থও উপার্জন করছেন। আকর্ষণীয় এই ক্রীড়া শৈলীতে উৎসাহ দিচ্ছেন তাঁদের অবিভাবকরাও। তবে, অনুশীলনের জন্য নির্দিষ্ট কোনও জায়গা নেই। রাস্তার উপর ঝুঁকি নিয়ে স্কেটিং করতে হচ্ছে। যে কোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কাও করছেন অনেকেই। কয়েক জোড়া চাকার উপর ভর করে দেহের ব্যালান্সকে ঠিকঠাক রেখে ছুটে যাওয়া যায় ঝড়ের গতিতে।
আরও পড়ুন: সবসময় মোবাইল হাতে নিয়ে খাবার খাচ্ছেন? বাচ্চাও খাচ্ছে? ‘বড়’ বিপদ হতে পারে
তবে, যে কেউ চাইলে তো এই রোলার স্কেটিং ব্যবহার করতে পারবেন না। তারজন্য চাই কঠোর অনুশীলন। কীভাবে দুই চাকার উপর দাঁড়িয়ে ব্যালান্স করা যায়, সেই বিষয়েও প্রয়োজন প্রশিক্ষণের। কিশোররা জানায়, ইউটিউব দেখে তারা স্কেটিং এর প্রশিক্ষণ নিয়েছে। সেইসব ভিডিও দেখে তাঁরা অনুশীলন করছেন। ভালোভাবে রপ্ত করেই স্কেটিং নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন অনেকেই। যেমন, বসিরহাট শহরের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রাম থেকে সীমান্তবর্তী একাকার অনেক কিশোর স্কেটিং করছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
মোবাইল ফোনে গেমের নেশা ছেড়ে শারীরিক কসরতের খেলায় মেতেছে উঠতে দেখে অনেক অভিভাবকরা হাফ ছাড়ছেন।
জুলফিকার মোল্যা