নকল সোনার মুর্তি দেখিয়ে টাকা লুঠ

Bangla News: উত্তরের এই জেলায় চুরি-ডাকাতি অসম্ভব! পুলিশের পদক্ষেপে এমনই ইঙ্গিত, কেন জানেন?

মালদহ: সোনার দোকানে চুরি বা ডাকাতি রুখতে এবার অভিনব ভাবনা মালদহ জেলা পুলিশের। ডাকাতি রুখতে মালদহে চালু হচ্ছে বিশেষ ডিভাইস। যার পোশাকি নাম এমার্জেন্সি কল বক্স সিস্টেম। এই ব্যবস্থায়, মালদহ শহরে কোনও দোকানে চুরি, ডাকাতি, দুষ্কৃতী হানা বা সন্দেহজনক গতিবিধি হলেই বিশেষ ব্যবস্থায় সাইরেন বা অ্যালার্ম বেজে উঠবে সরাসরি ইংরেজবাজার থানায়।

এজন্য প্রতিটি দোকানে বসানো হবে ট্রিগার যুক্ত একটি ডিভাইস।
ব্যবসায়ীরা বিশেষ পরিস্থিতিতে গোপনে ট্রিগার বা সুইচ টিপে পুলিশকে সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে বার্তা পৌঁছতে পারবেন। এরপর ওই সাইরেন ট্র্যাক করে মুহূর্তে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে পুলিশ। যে কোনও বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্যই এই এমার্জেন্সি কল বক্স সিস্টেম বিশেষ কার্যকরী। তবে আপাতত শহরের জুয়েলারির দোকানগুলিতে এই ব্যবস্থা পরীক্ষামূলক ভাবে চালু করতে উদ্যোগী মালদহ পুলিশ।

এমারজেন্সি কল বক্স
এমারজেন্সি কল বক্স

আরও পড়ুন: উত্তেজনা বাড়াল নন্দীগ্রামের খুন, তমলুকে দেবাংশুর ‘খেলা’ নিয়ে আশায় বুক বাঁধছে তৃণমূল

এজন্য মালদহ বাণিজ্য ভবনে জেলার ব্যবসায়ীদের একটি কর্মশালার আয়োজন করে পুলিশ। যেখানে এই এমার্জেন্সি কল বক্স সিস্টেমের কার্যকারিতা সম্পর্কে সমস্ত ব্যবসায়ীদের অবহিত করা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এক একটি ডিভাইস দোকানে বসাতে খরচ পড়বে কম বেশি ১৫ হাজার  টাকা। নূন্যতম খরচে এই ডিভাইসের সাহায্যে দোকানের নিরাপত্তা অনেকটাই সুনিশ্চিত হবে। ইতিমধ্যে শহরের দেড়শো-রও বেশি ব্যবসায়ী এই ডিভাইস বসানোর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন: হিরো কে, জিরোই বা কে? প্রহর গুনছে ঘাটাল! হিরণকে টেক্কা দিতে দেবের প্ল্যান আসলে কী?

অতীতে মালদহে একাধিকবার সোনার দোকানে ডাকাতি বা দুষ্কৃতী হানার মত ঘটনা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশের বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ ওঠে। আবার দুষ্কৃতী হানার সময় অনেকে সাহস করে পুলিশের খবর দিতে পারেন না, বা পুলিশের কাছেও দেরিতে খবর পৌঁছই। এইসব সমস্যার সমাধান হবে নতুন ‘এমার্জেন্সি কল বক্স’ সিস্টেমে।

মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু বলেন, ‘অতীতের কিছু ঘটনার পর মালদহে জুয়েলারি দোকানগুলি নিরাপত্তা নিয়ে আমরা বিশেষভাবে চিন্তিত। পুলিশ যে নতুন ব্যবস্থার কথা বলেছে তাতে ব্যবসায়ীদের বড় অংশই আগ্রহী। তবে সমস্ত ব্যবস্থার কার্যকারিতা নির্ভর করবে পুলিশ কতটা সক্রিয় হয় তার উপর। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারলে অপরাধ দমন অনেকটাই সহজ হবে। ব্যবসায়ীরা আশাবাদী।’ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ইতিমধ্যেই ব্যবসায়ীদের বিষয়টির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। ব্যবসায়ীরা আগ্রহী। খুব দ্রুত দোকানে দোকানে এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করা হবে।

সেবক দেবশর্মা