ফেসবুকে প্রেম থেকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন; কিন্তু বিয়ের দিন এ কী হল…

ফেসবুকে প্রেম থেকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন; কিন্তু বিয়ের দিন এ কী হল…

দতিয়া, মধ্য প্রদেশ: প্রথমে ফেসবুকে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম, আর প্রেমের পর শারীরিক সম্পর্ক এবং সব শেষে প্রতারণা! প্রায় প্রতিদিনই এহেন খবর দেখা যায়। মধ্যপ্রদেশের দতিয়ার ভান্ডের থানার লিধোরা হাভেলি গ্রামেও ঘটেছে এই ধরনের ঘটনা। আসলে ওই গ্রামের বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়েছিল এক যুবকের। সেই আলাপ-পরিচয় থেকেই তৈরি হয় বন্ধুত্ব। আর সেই বন্ধুত্বই কখন যেন প্রেমের দিকে গড়ায়। কিন্তু সেই প্রেমের যে ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে চলেছে, এটা ভাবতেও পারেননি ওই তরুণী।

আরও পড়ুন– রবি ও সোমবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা ! কোন কোন জেলায় বেশি বৃষ্টি? জেনে নিন

প্রেমিকার কাছে ওই যুবক জানিয়েছিলেন যে, তাঁর নাম আদিত্য ওরফে অর্জুন দোহরে। নিজেকে রাজস্থানের জয়পুরের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। এমনকী এ-ও দাবি করেছিলেন যে, তাঁর বাবা একজন প্রাক্তন বিধায়ক।

ফেসবুকে ক্রমশ ওই যুগলের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। এমতাবস্থায় অর্জুন সটান বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন তরুণীকে। এরপর তাঁদের গ্রামে দেখাও করতে আসেন অর্জুন। দু’জনের মধ্যে গড়ে ওঠে শারীরিক সম্পর্কও। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওই যুবক। তরুণীর পরিবারও এই প্রস্তাবে রাজি হয়। ফলে শুরু হয়ে যায় বিয়ের তোড়জোড়। গত ২০ মে ভান্ডেরের হরিওম ম্যারেজ গার্ডেনে বসার কথা ছিল ওই যুগলের বিয়ের আসর। বিয়ের দিন চলছিল আচার-অনুষ্ঠান। তরুণী সব সময় প্রেমিক তথা হবু স্বামীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখছিলেন।

আরও পড়ুন- সাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ‘রিমল’! ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কোথায় সবচেয়ে বেশি? জেনে নিন

এরপর বরযাত্রীরা কোথায় রয়েছেন, সেই কথা জানার জন্য কনে ফোন করেন অর্জুনকে। তখন তিনি জানান যে, রাত ১২টার মধ্যে বরযাত্রী নিয়ে তিনি পৌঁছে যাচ্ছেন। কিন্তু এরপরেই তাঁর ফোন স্যুইচ অফ হয়ে যায়। ফলে আর যোগাযোগ করা যায়নি অর্জুনের সঙ্গে। হবু বরের এহেন প্রতারণায় ভেঙে পড়েছেন কনে। তাঁর বিরুদ্ধে ভান্ডের থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কনে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

তরুণীর ভাই বলেন, “বোনের বিয়ে ঠিক হয়েছিল, তাই বরযাত্রীদের বরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ বর কোথায় রয়েছেন, তা জানার জন্য খোঁজ নেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন যে, ‘আমরা বরযাত্রী নিয়ে বেরিয়ে পড়েছি।’ এরপর থেকে আর তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। ফোন করলেই স্যুইচ অফ আসছিল। তা-ও আমরা রাত ৩টে পর্যন্ত অপেক্ষা করেছিলাম। এরপর আমরা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করি।”