আলিপুরদুয়ার: ডুয়ার্সের স্বর্গ বলতে বোঝায় বক্সাকে। এলাকার প্রতিটি পাকদন্ডিতে রয়েছে রহস্য। তবে শুধু রহস্য নয় রয়েছে জেমস ভুটিয়াদের মত সম্পদ। যারা পর্যটকদের যেমন পথ প্রদর্শক তেমনি তাঁদের মনোরঞ্জন করে থাকেন।
বক্সা পাহাড়ে ঘুরতে নিয়ে যান এসব টুরিস্ট গাইডরা তারা প্রত্যেকেই মজাদার। পাহাড়ের পাকদন্ডী পেরিয়ে যেতে যেতে যাতে পর্যটকরা ক্লান্ত না হয়ে পড়েন তার জন্য পুরোটা রাস্তা গল্প করতে করতে যান তারা। এলাকার ইতিহাস, নানান অজানা তথ্য তারা দিয়ে থাকেন পর্যটকদের।২০১৯ সাল থেকে বক্সার টুরিস্ট গাইডের কাজ করছেন তিনি। তবে তিনি পর্যটকদের সঙ্গে শুধু গল্প করেন না, শোনান পাতার বাঁশির আওয়াজ। গাছের বড় পাতা নিয়ে তা মুড়িয়ে বাঁশি তৈরি করে নেন তিনি। এই বাঁশিতে বেজে ওঠে হিন্দি সিনেমার বিভিন্ন গানের সুর।
জেমস ভুটিয়া জানিয়েছেন, “আমি যে পর্যটক দলের সঙ্গে গিয়েছি তাঁদের বাঁশি শুনিয়েছি। শুনশান পাহাড়ি রাস্তায় সবাই মিলে আনন্দ করি। রাস্তা কখন ফুরিয়ে যায় বোঝা যায় না।”
সন্তলাবাড়ি থেকে যেতে হয় জিরো পয়েন্ট তারপর থেকে পায়ে হেঁটে যেতে হয় বক্সা পাহাড়ের গ্রামগুলিতে। তার মধ্যে রয়েছে বক্সা ফোর্ট, তাসি গাঁও, রায়মাটাং ডিপো, লেপচাখা। কোনওটির দূরত্ব ১২ কিমি আবার কোনওটির দূরত্ব তার থেকেও বেশি। এই রাস্তা সহজ করতে বাঁশি বাজাতে বাজাতে চলেন জেমস। তার বাঁশির সুর শুনে আরও স্নিগ্ধ হয় বক্সা পাহাড়ের রূপ।
Annanya Dey