বাঁকুড়া: আমের নাম মুখে আনলেই পশ্চিমবঙ্গের যে দুটি জেলা সবার প্রথমে মনে আসত সেগুলো হল মালদা এবং মুর্শিদাবাদ। বর্তমানে এই দুই জেলার সঙ্গে নতুন সংযোজন হয়েছে বাঁকুড়া জেলার নাম। বরং বলাই যায় যে স্বাদে ও গন্ধে মালদা মুর্শিদাবাদের আমকে প্রায় পিছনে ফেলে সামনের দিকে এগিয়ে আসছে বাঁকুড়া জেলার আম। শুধুমাত্র স্থানীয় বাজারগুলি নয়, জেলা এবং রাজ্যের আমের চাহিদা মিটিয়ে গত কয়েক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে গেছে বাঁকুড়া জেলার উৎপাদিত আম।
বর্তমানে বাঁকুড়া , সিমলাপাল, রায়পুর এবং শালতোড়ার পতিত জমি আর কংসাবতীর সেচ খালের দু’পাশের লাগানো গাছ থেকে উৎপাদিত আম্রপালি, হিমসাগর, চৌষা, মল্লিকা ,ল্যাংড়া এখন পশ্চিমবঙ্গের আপামর বাঙালির শেষের পাতের প্রিয় খাবার। তবে এই বছর আমের চাহিদা থাকলেও বাঁকুড়ায় আমের ফলন গত বছরের মাত্র ১০ শতাংশ হয়েছে বলে জানাচ্ছেন আম চাষিরা। তার ওপরে ঝড় হলে সেই স্বল্প ফলনও আর দেখা যাবে না বলেই অনুমান কৃষকদের।
বাজারে আম্রপালি আম ঢোকার কথা ১০-১৫ দিনের মধ্যে। গত বছর আম চাষিদের গাছ ছিল আমে ভরতি। এইবছর ছবিটা পরিবর্তন হয়েছে কিছুটা। ফলন কমেছে অর্ধেকের চেয়েও কম। এই অবস্থায় সামান্য ঝড় ঝাপটা হলেই ২০২৪ সালের বাঙালির পাতে পড়বে না আম্রপালি। ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে কালে ৫০-৭০ টাকা কিলো দরে এই আম বিক্রি হলেও এই বছর আম্রপালি আমের দাম জোগান না থাকায় দাম বেড়ে যেতে পারে আরও কিছুটা। তবে পূর্বাভাস অনুযায়ী রিমলের প্রভাব খুব একটা পড়বে না বাঁকুড়া জেলায়। কিন্তু সামান্য ঝড় হলেই বিপুল ক্ষতির আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে কৃষকদের। এমনকি পরবর্তীকালে আম চাষ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তারা।
তবে কি বাঙালির শেষ পাতে দু-এক কুচি আম্রপালি পড়বে? এই প্রশ্নের উত্তর রিমলের পরই স্পষ্ট হবে কারণ আর কয়েকটা দিন পরেই গাছের আম ঘরে তুলতে পারবেন বাঁকুড়ার চাষিরা। বাঁকুড়ার বাজারে কিছুটা আম সরবরাহ করতে পারলেও বাইরের বাজারে রপ্তানির সম্ভাবনা খুবই কম।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী