দক্ষিণবঙ্গ: ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই দলীয় প্রচারে রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ ছুটে বেরাচ্ছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গত মঙ্গলবার কলকাতায় জোড়া পদযাত্রাও করেছেন তিনি৷ তা-ও আবার মোদির রোড-শোয়ের দিনই৷ বুধবার অবশেষে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূলপ্রার্থী তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য প্রচার করলেন তিনি৷
মেটিয়াবুরুজের সভায় এদিন অভিষেকের ভূয়সী প্রশংসা করেন মমতা৷ বলেন, ‘‘ঝড় হোক, জল হোক, ও সারাদিন ব্যস্ত থাকে নিজের সংসদীয় এলাকা নিয়ে। আমি ওকে বারবার বলি, তোর মতো সংসদীয় এলাকা কেউ দেখতে পারবে না। এত পারিস কী করে?’’
এরপরেই অভিষেকের বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই সহ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তৎপরতা নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধে আক্রমণ করেন তৃণমূলনেত্রী৷ বলেন, ‘‘বলছে আমাকে, অভিষেককে গ্রেফতার করবে। করে দেখাও না? কত জেল আছে দেখব। কী হয় তুমি দেখ।’’
অভিষেকের প্রচারমঞ্চ থেকে নরেন্দ্র মোদিকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি মমতা৷ তাঁর সরাসরি আক্রমণ, ‘‘একটা প্রধানমন্ত্রী, হাঁটুর বয়সি ছেলের সাথে রাজনীতি করছে। ওর পিছনে লাগছে। ও আড়াই বছর বয়স থেকে দল করছে। সিপিএম যখন আমাকে মেরেছিল, ও বলত, দিদিকে মারলে কেন সিপিএম জবাব দাও৷ ’’
সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার দাবি করেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে গোটা দেশের মধ্যে বাংলাতেই সবথেকে বেশি সাফল্য পাবে বিজেপি৷ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মোদির এই দাবির জবাব দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ প্রধানমন্ত্রীর কথার রেশ ধরেই তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, তার মানে কি উত্তর প্রদেশ, বিহারে বিজেপির আসন কমছে?
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ফল কেমন হবে, এই প্রশ্নের জবাবে গতকাল প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করছে৷ গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই বিজেপি সবথেকে বড় সাফল্য পাবে৷ নরেন্দ্র মোদির এই দাবি ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে৷
প্রধানমন্ত্রীর এই দাবির জবাব দিতে গিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘বলেছেন বাংলায় নাকি বিহার, ইউপির থেকেও বেশি আসন পাবেন। তার মানে হারবেন। চ্যালেঞ্জ রইল নরেন্দ্র মোদি… দমদমে আন্ডারস্ট্যান্ডিং শুনলাম।এমপি ভোট সিপিএম বিজেপিকে দেবে দমদমে, আর বিধানসভার ভোট বিজেপি সিপিএমকে দেবে। সবাই শুনে রাখুন, অভিষেক শুনে রাখ… INDIA লিড বাংলাই দেবে। দেশের মানুষের সমস্যার সমাধান করব। এর থেকে বেশি কিছু নয়।’’