সাইকেল চালিয়ে দুই যুবকের অমরনাথ যাত্রা

Nadia News: ফুলিয়ার কৃত্তিবাস থেকে সাইকেলে করে অমরনাথ যাত্রা দুই যুবকের

ফুলিয়া: ঝড় তুফান মাথায় নিয়ে বিশ্ব উষ্ণায়নের বার্তা দিতে এবং অমরনাথ ও কৃত্তিবাস দুই তীর্থস্থানের মেলবন্ধন ঘটাতে নদিয়ার ফুলিয়া থেকে দুই যুবকের সাইকেলে দুর্গম অমরনাথ যাত্রা। ভারতের বিভিন্ন তীর্থস্থানে সারা বছর যাতায়াত থাকলেও অমরনাথ যাত্রা আজও বেশ দুর্গম! রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে বছরে বিশেষ এক সময় অনুমতি মেলে তাও নিয়ম কানুন মেনে ।আর সেই দুর্গম জয় করার স্বপ্ন নদিয়ার ফুলিয়ার বিবেকানন্দ কলোনির বিশ্বজিৎ সরকার এবং পবিত্র রায়ের। তাও আবার দশ রাজ্য পার হয়ে আনুমানিক প্রায় তিন হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করার মনোবাঞ্ছা সাইকেল চালিয়ে। যদিও তাদের অভিজ্ঞতা বলতে তারাপীঠ এবং দার্জিলিং তবে পরিবেশের বার্তা দিতে অবশ্যই সাইকেল চালিয়ে। অত্যন্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের বিশ্বজিৎ এবং পবিত্র পড়াশোনা শেষ করে ভূমিহীন কৃষি শ্রমিক পিতার কাজে সহযোগিতা করে থাকে।

আরও পড়ুন: কল্যাণী ইউনিভার্সিটিতে চালু ৬ মাসের সার্টিফিকেট কোর্স, জানুন বিস্তারিত

যাওয়ার সময় জম্মুর একটি জায়গা থেকে আর্মিদের যাতায়াতের একটি রাস্তা দিয়েই যেতে চায় তারা, তবে তা অনুমতি মিলবে কিনা তা এখনAঠিক নেই তবে বিকল্প পথ হিসাবে বান্টন হয়ে সঙ্গম বেস ক্যাম্পে সাইকেল রেখে পায়ে হেঁটেই যেতে হবে। তবে ফিরে আসার সময় পেহেলগাও হয়ে জম্মু স্টেশন পর্যন্ত সাইকেলে এসে তারপর ট্রেনে কিংবা বাসে। যাওয়া এবং আসা মিলিয়ে মোট সময়সীমা হিসেবে তারা দু মাস আন্দাজ করেছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত ব্লক অফিস সাংসদ বিধায়ক অনুমতি পত্র, ছোট্ট একটি গ্যাস ওভেন ন্যূনতম কিছু বাসনপত্র বেডিং লাগেজ পোশাক-আশাক নগদ কুড়ি হাজার টাকা এ সমস্ত নিয়েই আজ রওনা দিলেন তারা। জানালেন তীব্র গরমের জন্য দুপুরে বিভিন্ন পেট্রোল পাম্প থানা কিংবা মন্দিরে বিশ্রাম নেবেন তবে রাতের বেশিরভাগ সময় তারা গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য সুসময় বলে মনে করছেন।

আরও পড়ুন: এক ফোনেই সর্বস্বান্ত! ‘ডিজিটাল অ্যারেস্ট’-এর খপ্পরে পড়লে শেষ, সাবধান হবেন কীভাবে

তাদের এই শুভযাত্রা কে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন শান্তিপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বিধায়ক পার্থসারথি চ্যাটার্জি। তারা জানান বর্তমান যুব সমাজের কাছেও বিভিন্ন ধর্মীয় তীর্থস্থান যে গুরুত্বপূর্ণ তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তবে তাদের বিশ্বাস রাম মন্দির স্থাপন এবং উদ্বোধনের পর থেকেই সনাতনী ধর্ম এবং তীর্থস্থান এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছেও সমান প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে । সারা ভারতবর্ষেই তাদের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি , দলীয় কর্মকর্তা, এমনকি অমরনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলে রেখেছেন তাদের সহযোগিতার জন্য।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
Mainak Debnath