কুণাল ঘোষের বড় দাবি

TMC Seat in West Bengal: এক্সিট পোল মিলে যাবে? বাংলায় তৃণমূল কত আসন পাবে? বিরাট দাবি কুণাল ঘোষের

কলকাতা: শনিবারই শেষ হল দেশের সাত দফার লোকসভা ভোট। ফল ঘোষণা আগামী ৪ জুন। কিন্তু সপ্তম দফার ভোট গ্রহণের পরই প্রায় সবকটি বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই দেখানো হয়েছে, তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসছেন নরেন্দ্র মোদি। ৪০০ আসন না হলেও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় ভর করেই সরকার গঠন করে ফেলতে পারেন মোদি। এমনকী, পশ্চিমবঙ্গেও শাসক দল তৃণমূলের থেকে অনেক বেশি আসনে বিজেপি জয়লাভের পূর্বাভাস দিয়েছে বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলি। তবে, এক্সিট পোল গুরুত্বই দিচ্ছে না তৃণমূল। এমনকী, সর্বভারতীয় প্রেক্ষাপটেও কংগ্রেস তথা বিরোধীদের তরফেও এই বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলিকে গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না।

নির্বাচন রেজাল্ট ২০২৪, লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ রেজাল্ট

বুথ ফেরত সমীক্ষা নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া না মিললেও নিজের X হ্যান্ডেলে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ লিখেছেন, ”বাংলায় তৃণমূল 30+. বুথ ফেরত সমীক্ষার তথাকথিত রিপোর্টে বাস্তব প্রতিফলিত হয়নি। কিছুক্ষেত্রে পরিকল্পিতভাবে অবাস্তব তথ্য ছড়ানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিকরা বিভ্রান্ত হবেন না। গণনার দিন এজেন্টরা শেষ পর্যন্ত সক্রিয় থাকুন। মানুষ তৃণমূলকেই ভোট দিয়েছেন।”

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর! মুখোমুখি সংঘর্ষ, একটি ট্রেনের উপর উঠে গেল আরেকটি ট্রেন! ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা পঞ্জাবে

এদিকে, শনিবারই ভোট দিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ”আমি পোর্ট এরিয়া ঘুরে এলাম..। আমি খুব আশাবাদী শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিয়েছেন মানুষ। অভিষেক আগে ২৩ টা বলেছে। এই ৯ টাও আমরাই পাব।” তৃণমূল সূত্রে খবর, বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলি যাই দাবি করুক, দলের শীর্ষ নেতৃত্বও মনে করছে ২০১৯ সালের তুলনায় আরও বেশি আসনে এবার জয় পাবেন তৃণমূল প্রার্থীরা।

এদিকে, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে এবং রাহুল গান্ধি সহ শীর্ষ কংগ্রেস নেতৃত্ব বৈঠকে বসেছেন সমস্ত লোকসভা প্রার্থী, প্রদেশ সভাপতি এবং সিএলপি-দের সঙ্গে। গণনার দিন এবং গণনা পরবর্তী স্ট্র্যাটেজি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার জন্যই এই জুম বৈঠক ডাকা হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রত্যেক প্রার্থীকে টানা গণনাকেন্দ্রে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং প্রতি রাউন্ডের কাউন্টিংয়ের শেষে সেই রিপোর্ট শীর্ষ নেতৃত্বকে পাঠাতে বলা হয়েছে।