পাঁচমিশালি Spacecraft Akatsuki Vanishes: মহাকাশ গবেষণায় বিরাট ধাক্কা, মানুষের সঙ্গে জ্বলন্ত শুক্রগ্রহের আর কোনও সংযোগ রইল না! আচমকা ‘ভ্যানিশ’ আকাতসুকি Gallery June 2, 2024 Bangla Digital Desk মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণায় বড়সড় ধাক্কা। জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি JAXA-র তৈরি মহাকাশযান ‘আকাতসুকি’-র সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। একমাত্র আকাতসুকিই ছিল যা মানুষের সঙ্গে শুক্রের সংযোগ রেখেছিল। সেই গ্রহ সম্পর্কে মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণাকে সমৃদ্ধ করছিল। জাক্সা-র তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, মানুষের সঙ্গে শুক্রগ্রহের সম্পর্ক স্থাপনকারী মহাকাশযান আকাতসুকির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এপ্রিলের শেষ ভাগে ইনস্টিটিউট অফ স্পেস অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনটিকাল সায়েন্স (ISAS)-এর সঙ্গে আকাতসুকির যোগাযোগ নেই আর। পৃথিবীর প্রতিবেশী দুই গ্রহের মধ্যে একটি মঙ্গল ও অপরটি শুক্রগ্রহ। রাতের আকাশে তাকালে জ্বলজ্বল করা শুক্রকে খালি চোখেই দেখা যায়। এই গ্রহটি কার্যত জ্বলছে বলা হয়। কারণ এখানে একের পর এক অগ্নুৎপাত হয়েই চলেছে। এই গ্রহের উত্তাপও প্রবল, শরীরজুড়ে লাভার স্রোত। সেই শুক্রগ্রহকে প্রদক্ষিণ করতে জাপান ২০১০ সালে একটি যান পাঠায়। নাম আকাতসুকি। জাপানি ভাষায় যার অর্থ ভোরবেলা। আকাতসুকি হল জাপানের প্রথম কোনও মহাকাশযান যা অন্য গ্রহের দিকে ছুটে গিয়েছিল। আকাতসুকিকে পাঠানো হয় শুক্রগ্রহের চারধারে কক্ষে ঘুরে তাকে সর্বক্ষণ নজরে রাখতে এবং তথ্য পাঠাতে। ২০১০ সালে সেটি পাড়ি দিলেও যান্ত্রিক গোলযোগ কাটিয়ে ২০১৫ সালে সেটি প্রথম শুক্রগ্রহের কক্ষে প্রবেশ করে। তারপর থেকে অবশ্য তা ঠিকঠাকই ঘুরছিল এবং তথ্য সংগ্রহ করছিল। কিন্তু এতদিন পর জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে তাদের সঙ্গে আকাতসুকি সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না। এতদিন আকাতসুকি ছিল বিশ্বের একমাত্র মহাকাশযান যা শুক্রের কক্ষে ঘুরপাক খাচ্ছিল এবং তথ্য সংগ্রহ করছিল। কিন্তু সেই আকাতসুকির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন হওয়া মানে এখন শুক্রের কক্ষে আর একটিও পৃথিবীর যান রইল না। কোনও দেশেরই নয়। একমাত্র আকাতসুকিই ছিল যা মানুষের সঙ্গে শুক্রের সংযোগ রেখেছিল। সেই গ্রহ সম্পর্কে মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণাকে সমৃদ্ধ করছিল। এখন তা সংযোগের বাইরে। ফলে শুক্রকে কাছ থেকে চেনার সুযোগ অনেকটাই কমে গেল বিজ্ঞানীদের কাছে, যা মহাকাশ গবেষকদের কাছে বড় ধাক্কা।