![দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪৫ সালের ৬ অগস্ট, জাপানের হিরোশিমায় ফেলা হয়েছিল প্রথম পরমাণু বোমা। নিমেষেই কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল গোটা শহর।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/heroshima-1-2024-06-5c431c67adcfddc9542e1a9a9bcaca6d.jpg)
![পরমাণু বোমার ঘায়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৮০ হাজার মানুষের। আহত হয়েছিলেন ৩৫ হাজারের বেশি। শুধু তাই নয়। বহু ঘরবাড়ি থেকে শুরু রাস্তা, গাছ-গাছারি-- হিরোশিমার সার্বিক নির্মাণ কাঠামোর বিস্তর ক্ষতি হয়েছিল। জাপানের সরকারি ওয়েবসাইট জানিয়েছে, হিরোশিমার ৬৫ শতাংশ বিল্ডিং ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/heroshima-2-2024-06-08ef103b08b074828dd759d3b8e4ef8f.jpg)
![চিন ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় থেকেই জাপানি সামরিক কার্যকলাপের মূল কেন্দ্র উঠেছিল হিরোশিমা। পাশাপাশি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও সামরিক দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ছিল এই শহর। বিশ্বের এটিই প্রথম শহর, যার ওপর পরমাণু বোমার হানা হয়। দ্বিতীয় শহর হল জাপানের নাগাসাকি।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/heroshima-3-2024-06-bb3218514123f923e23da2be096d4655.jpg)
![১৯৪৫ সালের ৬ অগাস্ট, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বি-২৯ বোমারু বিমান থেকে হিরোশিমায় 'লিটল বয়' পরমাণু বোমা ফেলেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এক লহমায় শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ জীবন নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/heroshima-4-2024-06-27981291b9125edc842db15587aaa5a1.jpg)
![এখানেই থামেনি আমেরিকা। তিনদিন পর ৯ অগাস্ট, নাগাসাকিতে আরেকটি পরমাণু বোমা ফেলা হয়। তারপরই, ১৫ অগস্ট, নিঃশর্ত সমর্পণ করার ঘোষণা করেন জাপানের সম্রাট হিরোহিতো। পারমাণবিক বিস্ফোরণের ভয়াবহ প্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হতে হয়েছিল জাপানের পরের কয়েক প্রজন্মকে।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/heroshima-5-2024-06-54e86e0f3ab6c8697296e04b38ff0f79.jpg)
![ধীরে ধীরে ধ্বংসস্তূপ থেকে নতুনভাবে গড়ে উঠেছে হিরোশিমা। এখন তা বিশ্বের অন্যতম শান্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। বর্তমানে, এটি একটি ব্যস্ত শহর ও শিল্পের প্রাণকেন্দ্র।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/heroshima-6-2024-06-41f34605a3c697b4d48fcabeed676d4d.jpg)
![প্রতি বছর শহরের শান্তি মেমোরিয়াল পার্কে একটি শান্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেদিনের ভয়াবহতা থেকে যাঁরা প্রাণে বেঁচেছিলেন এবং সাধারণ নাগরিক-- সকলে মিলে সেখানে উপস্থিত হয়ে বিস্ফোরণে মৃত নিরীহ মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ও তাঁদের আত্মার শান্তিকামনা করেন।](https://images.news18.com/static-bengali/uploads/2024/06/heroshima-7-2024-06-513f95f5c68ecf0e9eb8c6d5fb73aee1.jpg)
জাপান: ফের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান৷ সোমবার সাতসকালেই ফের কাঁপল উত্তর-মধ্য অঞ্চলের ইশিকাওয়া অঞ্চলটি৷ সোমবার সাতসকালেই তীব্র কম্পন অনুভূত হয়৷
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা সূত্রের খবর, নোটো দ্বীপের উত্তরের অংশে প্রথমে ৫.৯ মাত্রার একটি কম্পন অনুভূত হয় ৷ তার কয়েক মিনিট পরেই ৪.৮ মাত্রার আরও একটি কম্পন হয় ৷ তারপরে পরবর্তী দু’ঘন্টার মধ্যে বেশ কয়েকটি ছোট ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তীব্র কম্পনে ভেঙে পড়েছে দুটি বাড়ি৷ তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই৷
জানুয়ারিতেই শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল জাপান৷ প্রচুর ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছিল৷ সেই ক্ষত এখন সেরে উঠতে পারেনি৷ তার মধ্যেই ফের জোরালো ভূমিকম্পে রীতিমতো আতঙ্ক বাড়ছে সকলের মধ্যে৷ তবে কি এবার সুনামির আশঙ্কা বাড়ছে? তবে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত সুনামির কোনও পূর্বাভাস নেই৷
আরও পড়ুন-আয়রনের খনি! এই ৫ দানাই পুষ্টির পাওয়ার হাউজ, এভাবে খেলেই বুড়ো বয়সেও লোহার মতো মজবুত থাকবে হাড়
সোমবারে ভূমিকম্পে তেমন কোনও বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি না হলেও দেশবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন জেএমএ সিসমোলজি এবং সুনামি বিষয়ক আধিকারিক সাতোশি হারাদা৷ বিশেষত গতবারের ভূমিকম্পে যে সমস্ত এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেই এলাকার বাসিন্দাদের আরও বেশি করে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷
টোকিও: প্রতিদিন কত কিছুই না ঘটে। কিছু ঘটনা দেখেশুনে তো চমকে যেতে হয়। আবার কিছু ঘটনা মানুষ গোপন করে যায়। যেমন হঠাৎ যদি গুপ্তধন মেলে কিংবা মূল্যবান প্রাচীন কোনও জিনিস। গোপন করলেও চেপে রাখা যায় না। সত্যিটা ঠিক সামনে চলে আসে। কিন্তু প্রাকৃতিক কোনও ঘটনা গোপন করার কথা কি কেউ কোনও দিন শুনেছেন?
ইতিহাস সবসময়ই রোমাঞ্চকর। কিছু ক্ষেত্রে অদ্ভুত। সেই অদ্ভুত ঐতিহাসিক ঘটনাই ঘটেছিল জাপানে। ক্ষেতের মাঝে গজিয়ে উঠেছিল আস্ত একটা পাহাড়। আর সেই পাহাড়কেই আড়াল করার প্রাণান্তকর চেষ্টা করেছিল জাপান সরকার। কিন্তু শাক দিয়ে কি আর মাছ ঢাকা যায়! পাহাড়কেও লুকিয়ে রাখা যায়নি। হোক্কাইডো দ্বীপের শিকৎসু-তোয়া জাতীয় উদ্যানে (Shikotsu-Toya National Park) গেলে আজও দেখা যাবে এই পাহাড়। এর নাম ‘শোওয়া শিনজান’।
হঠাৎ মাটি ফুঁড়ে উঠে এল পাহাড়: ১৯৪৩ সালের ২৮ ডিসেম্বর। জাপানের একটি গমের ক্ষেতে রাতারাতি গজিয়ে ওঠে পাহাড়। আশেপাশের লোকজন তো অবাক। এমনও হয়! প্রতিদিনই উচ্চতা বাড়ছে। চোখের সামনে একটু একটু করে বড় হচ্ছে পাহাড়। শোওয়া শিনজান নামের ওই পাহাড় আসলে আগ্নেয়গিরি পর্বত। উচ্চতা ৪০০ মিটার।
জাপান সরকার প্রথমে এই পাহাড়ের ঘটনা দেশবাসীর কাছে লুকোতে চেয়েছিল। কারণ তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। প্রতিদিন শয়ে শয়ে জাপানি মারা যাচ্ছে। এর মধ্যে এই খবরে যদি কোনও কুসংস্কার ছড়ায়! এই ভয়েই জাপান সরকার, খবরটা চেপে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মাসাও মিমাতসু নামের এক পোস্টমাস্টারের নজরে পড়ে যায়। তিনিই এই নিয়ে গবেষণা করেন। তারপর আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরেন বিষয়টা। তখন গোটা বিশ্বের নজরে আসে এই পাহাড়।
মাসাও মিমাতসু এই পাহাড়ের চার্ট তৈরি করেছিলেন। তাতে পর্বতের বৃদ্ধির পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব লিখে রাখেন তিনি। সঙ্গে একটি স্কেচও এঁকেছিলেন। সেখানে রেখাচিত্রের সাহায্যে পর্বত গঠনের প্রক্রিয়া হুবহু তুলে ধরেছিলেন তিনি। ১৯৪৮ সালে বিশ্ব আগ্নেয়গিরি সম্মেলনে সেই চার্ট এবং স্কেচ নিয়ে হাজির হন মাসাও।
এই নথিপত্রকে ‘মিমাতসু ডায়াগ্রাম’ বলা হয়। এই কাজের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। পরবর্তীকালে জীবনের সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে জায়গাটা কিনে নেন তিনি। জাপান সরকারকে এই পাহাড়কে প্রাকৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ ঘোষণা করে। মিমাতসুর মৃত্যুর পর তাঁর মূর্তিও বসানো হয়।
নদিয়া: ২০০৭ সালে রেজিস্টার হওয়া শান্তিপুর হ্যান্ড ডিজাইনার অ্যাসোসিয়েশনে এদিন সুদূর জাপান থেকে প্রতিনিধিরা এলেন। তাঁরা এখানকার তাঁতের নকশা বা ডিজাইন পরখ করে দেখেন। ভবিষ্যতে ইন্দো-জাপান মৌ চুক্তিতে উপকৃত হতে পারে শান্তিপুর হ্যান্ড ডিজাইন অ্যাসোসিয়েশন।
আরও পড়ুন: ৫ বছর আগেই পড়ে গিয়েছে ফলক, কিন্তু বাস্তবে আজও তৈরি হয়নি সেই রাস্তা
শান্তিপুর হ্যান্ড ডিজাইন অ্যাসোসিয়েশন তৈরি হয় ২০০৭ সালে। এটি ২০০৮ সালে সরকারিভাবে রেজিস্ট্রেশন পায়। তখন এখানে সদস্য ছিল মাত্র ১২ জন। টালির ঘরে শুরু হয় তাদের লড়াই। অনেকেই সংস্থা টিকিয়ে রাখতে শেষ সম্বল খুইয়েছেন। তবে সুদিন ফিরেছে, সংস্থাটি এখন পথ দেখাচ্ছে বহু বেকারদের।
এদিন সুদূর জাপান থেকে শান্তিপুরে আসা প্রতিনিধিরা সংস্থার কাছ থেকে যাবতীয় বৃত্তান্ত শোনেন। কিভাবে তাঁদের পথ চলা শুরু, বর্তমানে কীভাবে তাঁদের কাজের প্রক্রিয়াকরণ করা হয় সেই সমস্ত কথাই আলোচনা করা হল এই দিন। ভবিষ্যতে ইন্দো-জাপানের মিলিত চুক্তিতে উপকৃত হবে শান্তিপুরের এই ডিজাইনার সংস্থা।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
অন্যদিকে জাপানি ফ্যাশন ডিজাইন এবং বস্ত্র বয়ন দফতরের অভিজ্ঞরাও ঘুরে দেখলেন চরকাতে সুতো কাটা থেকে শুরু করে ড্রাম হাটা, জামদানি বুনন কিংবা হাতে গুটি তোলার মত নানান বিস্ময়কর কর্মদক্ষতা। তাঁরা জানান, এখানকার অত্যন্ত সুদক্ষ নিপুণ শিল্পীরা কাজ পাচ্ছেন না। অথচ সেখানকার প্রয়োজন অনুযায়ী রং, ডিজাইন এবং বস্ত্রের বিভিন্ন বিভাগ খুঁজে বেড়াচ্ছে ম্যানপাওয়ার। আর এই দুই দেশ একে অন্যের পরিপূরক হয়ে উঠেছে ফ্যাশন ডিজাইন এবং বস্ত্র বয়নের ক্ষেত্রে। সারা বিশ্বের মাঝে তারা সাড়া ফেলতে পারবে এই দুয়ের মেলবন্ধনে।
মৈনাক দেবনাথ
ভূমিকম্পের পর বিগড়ে গেলো জাপানের ভূগোল
জাপান: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপানের একাধিক অংশ। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ৬.০। এখনও পর্যন্ত কোনও সুনামি সতর্কতা জারি হয়নি। জানা গিয়েছে, জাপানের হোনশুর পশ্চিম উপকূলবর্তী অঞ্চল কেঁপে উঠেছে ভূমিকম্পে।
প্রসঙ্গত, ১ জানুয়ারিও জাপান ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল। রিখটার স্কেলে তার তীব্রতা ছিল ৭.৬। সেই ভূমিকম্প অবশ্য সুনামির আকার নেয়। প্রায় ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল৷ ক্ষয়ক্ষতির মাত্রাও ছিল প্রবল।
আরও পড়ুন: নৃশংস মা! ৪ বছরের ছেলেকে খুন করে ব্যাগে ভরে…মর্মান্তিক ঘটনায় শিউরে উঠল দেশ
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্প ও তারপর সুনামি আছড়ে পড়ে জাপানে। ২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানের হোনশু দ্বীপের উত্তর-পূর্ব উপকূলে ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে৷
জাপানে সেই সময় সবচেয়ে বড় বিধ্বংসী সুনামি ধেয়ে আসে৷ ভয়ঙ্কর সুনামিতে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়৷ বছরের পয়লা দিনের বিপর্যয়ে সেই স্মৃতি মনে পড়তেই বাড়ছে বিরাট আতঙ্ক৷
ইয়োশি এবং মিশি কিকুচি। জাপানের বাসিন্দা দুই যমজ বোন। কিন্তু ওকায়ামার এই দুই তরুণীর উচ্চতার মধ্যে আড়াই ফুটের বেশি ব্যবধান। যমজ দুই বোনই জায়গা পেয়েছেন গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। বিশ্বে বর্তমানে নন আইন্ডেটিক্যাল যমজ বোনদের মধ্যে এটাই সবথেকে বেশি উচ্চতার ব্যবধান।
যমজ সন্তান মানেই দেখতে একরকম-এই ধারণা নস্যাত করে দিয়েছেন ইয়োশি এবং মিশি। দুজনে সম্পূর্ণ আলাদারকম দেখতে। তার মধ্যে ইয়োশির উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি। মিশি উচ্চতায় মাত্র ২ ফুট ১০ ইঞ্চি। তাঁদের জন্ম ১৯৮৯ সালের ১৫ অক্টোবর। মেরুদণ্ডের জন্মগত অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ফলে মিশির শারীরিক বৃদ্ধি থেমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন : মাটি খুঁড়ে ৮৬৫ বছরের প্রাচীন ৫৭০ টি স্বর্ণমুদ্রা! গুপ্তধন পেয়ে রাতারাতি ধনকুবের ফাস্টফুড দোকানের মালিক
New record: Greatest height differential in living fraternal twins (female) – 75.0 cm (2 ft 5.5 in) between Yoshie and Michie Kikuchi (Japan) ??
Despite their differences, Yoshie and Michie remain the closest of sisters ?️@GWRJapan pic.twitter.com/B5LZ4aswaf
— Guinness World Records (@GWR) February 24, 2023
বর্তমানে ইয়োশি নিজেও একজন মা। মিশি থাকেন তাঁর বাবা মায়ের সঙ্গেই। তাঁর বাবার একটি মন্দির আছে। সেখানেই তিনি দৈনন্দিন কাজে সাহায্য করেন। মিশি জানিয়েছেন এক সময় নিজের উচ্চতার জন্য তিনি সব সময় লজ্জা ও সঙ্কোচে কুঁকড়ে থাকতেন। কিন্তু পরে তিনি গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেই দেখেছেন নিজের খর্বকায় উচ্চতাকে ঈশ্বরের আশীর্বাদ হিসেবেই মেনে নিয়েছেন বিশ্বের সবথেকে কম উচ্চতাসম্পন্ন ব্যক্তিটি। তার পর থেকে মনোকষ্ট ঝেড়ে ফেলেছেন মিশি।
আমরা জানি কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে পশুপাখিরা আগেই থেকে টের পায়। বিনা কারণে পাখিদের চিৎকার করা বা জমায়েত হওয়া , আচার আচরণ সবকিছুই সেই দিকেই আঙ্গুল তোলে। কিয়োটার কাছে অবস্থিত একটি জাপানি দ্বীপ হোনশুতে হাজার হাজার কাককে আকাশে উড়তে এবং রাস্তায় জমা হতে দেখা গেছে। সাধারণত এই ধরণের ঘটনা কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংকেত দেয় বলে আমরা জানি। কিন্তু এর আসল কারণ এখনও পরিষ্কার নয়।
হোনশুর বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ইউসাররা এই অদ্ভুত ভিডিওটি ক্যামেরাবন্দি করে বিভিন্ন জায়গায় শেয়ার করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা এই আশ্চর্য্যজনক ঘটনার পিছনের কারণ জানতে না পেরে অযথা ভয় পেয়ে যান। যেহেতু কোন স্থানে পশু বা পাখির বিপুল সংখ্যক জড়ো হওয়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের সূচনার ইঙ্গিত দেয়, তাই অনেকেরই ধারণা ছিল হয়ত সেরকম কিছু ঘটতে চলেছে। কিন্তু সেই আশঙ্কা দূর হয়ে গেছে যেহেতু সবকিছু স্বাভাবিকই ছিল। ভিডিওটি এখানে দেখুন-
Flocks of Crows arrive in areas of Kyoto, Honshu, Japan. (07.02.2023). ? pic.twitter.com/f4VkwP8ll6
— BRAVE SPIRIT?? (@Brave_spirit81) February 8, 2023
কিছুদিন আগেই এমনি একটি অদ্ভুত ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের সামনে এসেছিল যেখানে দেখা গেছে একটি খামারে বেশ কিছু সংখ্যক ভেড়া বৃত্তাকার প্রদক্ষিণ করছে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে চীনা রাষ্ট্র-চালিত আউটলেট পিপলস ডেইলি দ্বারা পোস্ট করা একটি ভিডিওতে এই ঘটনাটি সবার সামনে তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু এর পিছনের কারণ আজও অজানা।
এমন ধরণের বিভিন্ন রহস্যজনক ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার হয়ে থাকে ,যদিও এর পিছনের রহস্য আজও উন্মোচিত হয়নি।
#দোহা: বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ জার্মানির বিরুদ্ধে জয় পেয়ে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল ব্লু সামুরাই জাপান। প্রথম ম্যাচেই জার্মানির রক্ষণ ভাগের দুর্বলতা বার বার দেখিয়ে দিয়েছিল জাপান। সামনে জার্মানির মতো শক্তি থাকলেও গুটিয়ে থাকেননি জাপানের ফুটবলাররা। গোটা ম্যাচে সমানে সমানে লড়াই করেন তাঁরা।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় জার্মানি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন গুন্ডয়ান। তবু দমে না গিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে বাজিমাত করে এশীয়রা। ৭৫ মিনিটে জাপানের হয়ে প্রথম গোল করেন রিটসু ডোয়ান। সমতা ফেরানোর পর আরও চাপ বাড়ায় জাপান। মুলাররা গোল করার চেষ্টা করলেও নিজেদের ডিফেন্স পোক্ত রাখে তারা। বরং, কিছুটা খেলার গতির বিপরীতেই ৮৩ মিনিটে অনবদ্য গোলে জাপানকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন তাকুমা আসানো।
আরও পড়ুন – স্পেনের বিরুদ্ধে আজ মরণ বাঁচন ম্যাচ জার্মানির ! মরিয়া মুলার, হাসছেন এনরিকে
জাপানের দ্বিতীয় গোলের পরেই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় অঘটন কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। গত ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পেয়ে বিশ্বকাপের পরবর্তী রাউন্ডে কোয়ালিফাই করার ব্যাপারে এগিয়ে আছে জাপান। আজ তারা নামবে দুর্বল দল কোস্টারিকার বিরুদ্ধে, যারা বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ৭ গোলে হেরেছে স্পেনের কাছে।
✨ ???????? ✨
?? Japan ? Costa Rica ??
⏰ 1 PM
?️ Ahmed bin Ali StadiumThe Samurai Blue have another 3️⃣ points in sight as they look to book their Knockout Stage berth! #FIFAWorldCup | #Qatar2022 pic.twitter.com/7QMrGmEcTR
— #AsianCup2023 (@afcasiancup) November 27, 2022
টমিয়াসু এবং মিনামিনাও ইউরোপিয়ান ফুটবলে যথেষ্ট পরিচিত নাম,তাদের উপর ভরসা করবেন জাপান কোচ। শালকে ডিফেন্ডার ইয়সিদা তাদের অধিনায়ক এবং তিনিই ডিফেন্সের ভার সামলাবেন। তবে আক্রমণ ভাগ নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় থাকবে সামুরাই ব্লু। শেষবার এই দুই দল যখন মুখোমুখি হয়েছিল তখন জাপান জিতেছিল ৩-০ গোলের ব্যবধানে। অন্যদিকে কোস্টারিকা আজ মরিয়া লড়াই চালাবে তাতে সন্দেহ নেই।