Tag Archives: Astronomy

Second Solar Eclipse of 2024: আসছে বছরের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ! কবে, কতক্ষণ চলবে? ভারতে দেখা যাবে? জানুন সূতককাল ও অমঙ্গল এড়াতে কী করবেন

নিজেদের কক্ষপথে পরিক্রমণের সময় যখন সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝে চাঁদ চলে আসে, সে সময় চাঁদের আড়ালে সূর্যরশ্মি পৌঁছতে পারে না পৃথিবীতে।
নিজেদের কক্ষপথে পরিক্রমণের সময় যখন সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝে চাঁদ চলে আসে, সে সময় চাঁদের আড়ালে সূর্যরশ্মি পৌঁছতে পারে না পৃথিবীতে।

 

এই মহাজাগতিক অবস্থানের জন্য সূর্যরশ্মি হয়। সব সময় অমাবস্যাতেই সূর্যগ্রহণ হয়ে থাকে।
এই মহাজাগতিক অবস্থানের জন্য সূর্যরশ্মি হয়। সব সময় অমাবস্যাতেই সূর্যগ্রহণ হয়ে থাকে।

 

এ বছর প্রথম সূর্যগ্রহণ ছিল ৮ এপ্রিল। এ বছরের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ হবে ২ অক্টোবর।
এ বছর প্রথম সূর্যগ্রহণ ছিল ৮ এপ্রিল। এ বছরের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণ হবে ২ অক্টোবর।

 

ভারতীয় সময় অনুযায়ী ২ অক্টোবর রাত ৯.১৩ থেকে শুরু হবে সূর্যগ্রহণ। চলবে রাত ৩.১৭ পর্যন্ত। তবে দীর্ঘ এই গ্রহণ ভারত থেকে দৃশ্যমান নয়।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী ২ অক্টোবর রাত ৯.১৩ থেকে শুরু হবে সূর্যগ্রহণ। চলবে রাত ৩.১৭ পর্যন্ত। তবে দীর্ঘ এই গ্রহণ ভারত থেকে দৃশ্যমান নয়।

 

আর্কটিক অংশ, আর্জেন্তিনা, ফিজি, চিলি, পেরু, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড, অ্যান্টার্কটিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তীর্ণ অংশ থেকে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।
আর্কটিক অংশ, আর্জেন্তিনা, ফিজি, চিলি, পেরু, ব্রাজিল, নিউজিল্যান্ড, অ্যান্টার্কটিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ আমেরিকার বিস্তীর্ণ অংশ থেকে এই সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।

 

খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখা অত্যন্ত ক্ষতিকর। পাশাপাশি, জ্যোতিষ মতে গ্রহণের সূতককালে কিছু কাজ তথা আচরণ সম্পূর্ণ বর্জনীয়।
খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখা অত্যন্ত ক্ষতিকর। পাশাপাশি, জ্যোতিষ মতে গ্রহণের সূতককালে কিছু কাজ তথা আচরণ সম্পূর্ণ বর্জনীয়।

 

সাধারণত গ্রহণের ১২ ঘণ্টা আগে থেকে শুরু হয় সূতককাল। জ্যোতিষ তথা বাস্তু বিশেষজ্ঞ গৌরবকুমার দীক্ষিতের মতে রান্না করা, খাবার খাওয়া, ধারাল অস্ত্র ধরা, কোনও শুভ কাজ করা এই সময়ে নিষিদ্ধ।
সাধারণত গ্রহণের ১২ ঘণ্টা আগে থেকে শুরু হয় সূতককাল। জ্যোতিষ তথা বাস্তু বিশেষজ্ঞ গৌরবকুমার দীক্ষিতের মতে রান্না করা, খাবার খাওয়া, ধারাল অস্ত্র ধরা, কোনও শুভ কাজ করা এই সময়ে নিষিদ্ধ।

 

পুজো, নামগান, ভজন, স্তোত্রপাঠ সূতককালে করা যায় বলে মত জ্যোতিষীর।
পুজো, নামগান, ভজন, স্তোত্রপাঠ সূতককালে করা যায় বলে মত জ্যোতিষীর।

 

তবে গ্রহণ কোনও দেশ থেকে দৃশ্যমান না হলে সূতককালে পালনীয় নিয়ম, আচার অনুষ্ঠান পালন না করলেও ক্ষতি নেই বলে মত জ্যোতিষীর।
তবে গ্রহণ কোনও দেশ থেকে দৃশ্যমান না হলে সূতককালে পালনীয় নিয়ম, আচার অনুষ্ঠান পালন না করলেও ক্ষতি নেই বলে মত জ্যোতিষীর।

Spacecraft Akatsuki Vanishes: মহাকাশ গবেষণায় বিরাট ধাক্কা, মানুষের সঙ্গে জ্বলন্ত শুক্রগ্রহের আর কোনও সংযোগ রইল না! আচমকা ‘ভ্যানিশ’ আকাতসুকি

মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণায় বড়সড় ধাক্কা। জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি JAXA-র তৈরি মহাকাশযান 'আকাতসুকি'-র সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণায় বড়সড় ধাক্কা। জাপান এরোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সি JAXA-র তৈরি মহাকাশযান ‘আকাতসুকি’-র সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
একমাত্র আকাতসুকিই ছিল যা মানুষের সঙ্গে শুক্রের সংযোগ রেখেছিল। সেই গ্রহ সম্পর্কে মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণাকে সমৃদ্ধ করছিল।
একমাত্র আকাতসুকিই ছিল যা মানুষের সঙ্গে শুক্রের সংযোগ রেখেছিল। সেই গ্রহ সম্পর্কে মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণাকে সমৃদ্ধ করছিল।
জাক্সা-র তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, মানুষের সঙ্গে শুক্রগ্রহের সম্পর্ক স্থাপনকারী মহাকাশযান আকাতসুকির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এপ্রিলের শেষ ভাগে ইনস্টিটিউট অফ স্পেস অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনটিকাল সায়েন্স (ISAS)-এর সঙ্গে আকাতসুকির যোগাযোগ নেই আর।
জাক্সা-র তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানানো হয়েছে, মানুষের সঙ্গে শুক্রগ্রহের সম্পর্ক স্থাপনকারী মহাকাশযান আকাতসুকির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এপ্রিলের শেষ ভাগে ইনস্টিটিউট অফ স্পেস অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোনটিকাল সায়েন্স (ISAS)-এর সঙ্গে আকাতসুকির যোগাযোগ নেই আর।
পৃথিবীর প্রতিবেশী দুই গ্রহের মধ্যে একটি মঙ্গল ও অপরটি শুক্রগ্রহ। রাতের আকাশে তাকালে জ্বলজ্বল করা শুক্রকে খালি চোখেই দেখা যায়। এই গ্রহটি কার্যত জ্বলছে বলা হয়।
পৃথিবীর প্রতিবেশী দুই গ্রহের মধ্যে একটি মঙ্গল ও অপরটি শুক্রগ্রহ। রাতের আকাশে তাকালে জ্বলজ্বল করা শুক্রকে খালি চোখেই দেখা যায়। এই গ্রহটি কার্যত জ্বলছে বলা হয়।
কারণ এখানে একের পর এক অগ্নুৎপাত হয়েই চলেছে। এই গ্রহের উত্তাপও প্রবল, শরীরজুড়ে লাভার স্রোত। সেই শুক্রগ্রহকে প্রদক্ষিণ করতে জাপান ২০১০ সালে একটি যান পাঠায়। নাম আকাতসুকি। জাপানি ভাষায় যার অর্থ ভোরবেলা। আকাতসুকি হল জাপানের প্রথম কোনও মহাকাশযান যা অন্য গ্রহের দিকে ছুটে গিয়েছিল।
কারণ এখানে একের পর এক অগ্নুৎপাত হয়েই চলেছে। এই গ্রহের উত্তাপও প্রবল, শরীরজুড়ে লাভার স্রোত। সেই শুক্রগ্রহকে প্রদক্ষিণ করতে জাপান ২০১০ সালে একটি যান পাঠায়। নাম আকাতসুকি। জাপানি ভাষায় যার অর্থ ভোরবেলা। আকাতসুকি হল জাপানের প্রথম কোনও মহাকাশযান যা অন্য গ্রহের দিকে ছুটে গিয়েছিল।
আকাতসুকিকে পাঠানো হয় শুক্রগ্রহের চারধারে কক্ষে ঘুরে তাকে সর্বক্ষণ নজরে রাখতে এবং তথ্য পাঠাতে। ২০১০ সালে সেটি পাড়ি দিলেও যান্ত্রিক গোলযোগ কাটিয়ে ২০১৫ সালে সেটি প্রথম শুক্রগ্রহের কক্ষে প্রবেশ করে।
আকাতসুকিকে পাঠানো হয় শুক্রগ্রহের চারধারে কক্ষে ঘুরে তাকে সর্বক্ষণ নজরে রাখতে এবং তথ্য পাঠাতে। ২০১০ সালে সেটি পাড়ি দিলেও যান্ত্রিক গোলযোগ কাটিয়ে ২০১৫ সালে সেটি প্রথম শুক্রগ্রহের কক্ষে প্রবেশ করে।
তারপর থেকে অবশ্য তা ঠিকঠাকই ঘুরছিল এবং তথ্য সংগ্রহ করছিল। কিন্তু এতদিন পর জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে তাদের সঙ্গে  আকাতসুকি সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না।
তারপর থেকে অবশ্য তা ঠিকঠাকই ঘুরছিল এবং তথ্য সংগ্রহ করছিল। কিন্তু এতদিন পর জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে তাদের সঙ্গে আকাতসুকি সব সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না।
এতদিন আকাতসুকি ছিল বিশ্বের একমাত্র মহাকাশযান যা শুক্রের কক্ষে ঘুরপাক খাচ্ছিল এবং তথ্য সংগ্রহ করছিল। কিন্তু সেই আকাতসুকির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন হওয়া মানে এখন শুক্রের কক্ষে আর একটিও পৃথিবীর যান রইল না। কোনও দেশেরই নয়।
এতদিন আকাতসুকি ছিল বিশ্বের একমাত্র মহাকাশযান যা শুক্রের কক্ষে ঘুরপাক খাচ্ছিল এবং তথ্য সংগ্রহ করছিল। কিন্তু সেই আকাতসুকির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন হওয়া মানে এখন শুক্রের কক্ষে আর একটিও পৃথিবীর যান রইল না। কোনও দেশেরই নয়।
একমাত্র আকাতসুকিই ছিল যা মানুষের সঙ্গে শুক্রের সংযোগ রেখেছিল। সেই গ্রহ সম্পর্কে মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণাকে সমৃদ্ধ করছিল। এখন তা সংযোগের বাইরে। ফলে শুক্রকে কাছ থেকে চেনার সুযোগ অনেকটাই কমে গেল বিজ্ঞানীদের কাছে, যা মহাকাশ গবেষকদের কাছে বড় ধাক্কা।
একমাত্র আকাতসুকিই ছিল যা মানুষের সঙ্গে শুক্রের সংযোগ রেখেছিল। সেই গ্রহ সম্পর্কে মহাকাশ বিজ্ঞানের গবেষণাকে সমৃদ্ধ করছিল। এখন তা সংযোগের বাইরে। ফলে শুক্রকে কাছ থেকে চেনার সুযোগ অনেকটাই কমে গেল বিজ্ঞানীদের কাছে, যা মহাকাশ গবেষকদের কাছে বড় ধাক্কা।

Astronomy: খালি চোখেই আকাশে একসারিতে ছ’ছটা গ্রহ, সামনের সপ্তাহেই বিরল মহাজাগতিক ঘটনা দেখার সুযোগ! কবে?

আপনি কি মহাজাগতিক বিষয়ে আগ্রহী? তাহলে সামনের সপ্তাহেই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে দুর্দান্ত কিছু দৃশ্য৷ ঘটতে চলেছে বিরল মহাজাগতিক ঘটনা৷
আপনি কি মহাজাগতিক বিষয়ে আগ্রহী? তাহলে সামনের সপ্তাহেই আপনার জন্য অপেক্ষা করছে দুর্দান্ত কিছু দৃশ্য৷ ঘটতে চলেছে বিরল মহাজাগতিক ঘটনা৷
একই সরলরেখায় দৃশ্যমান হবে সৌরজগতের ৬টি গ্রহ। আর পৃথিবী থেকে এই আশ্চর্যজনক দৃশ্য দেখতে পাব আমরা।
একই সরলরেখায় দৃশ্যমান হবে সৌরজগতের ৬টি গ্রহ। আর পৃথিবী থেকে এই আশ্চর্যজনক দৃশ্য দেখতে পাব আমরা।
দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধ, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, নেপচুন এবং ইউরেনাস এই ৬টি গ্রহই ওই নির্দিষ্ট দিনে এক সরলরেখায় অবস্থান করবে।
দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধ, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, নেপচুন এবং ইউরেনাস এই ৬টি গ্রহই ওই নির্দিষ্ট দিনে এক সরলরেখায় অবস্থান করবে।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ইউরেনাস এবং নেপচুন খালি চোখে আবছা দেখা যাবে৷ তাই এই গ্রহগুলি স্পষ্ট ভাবে দেখতে ভাল টেলিস্কোপের প্রয়োজন হবে।
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ইউরেনাস এবং নেপচুন খালি চোখে আবছা দেখা যাবে৷ তাই এই গ্রহগুলি স্পষ্ট ভাবে দেখতে ভাল টেলিস্কোপের প্রয়োজন হবে।
ওয়ারউইক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড্যানি স্টেইগ জানিয়েছেন, বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকেই আকাশে এই ঘটনাটি দেখা যাবে। তবে দক্ষিণ গোলার্ধের মানুষের কাছে এই সুযোগ বেশি৷
ওয়ারউইক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড্যানি স্টেইগ জানিয়েছেন, বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকেই আকাশে এই ঘটনাটি দেখা যাবে। তবে দক্ষিণ গোলার্ধের মানুষের কাছে এই সুযোগ বেশি৷
প্রফেসর ড্যানির মতে, এই ঘটনায় কিছু গ্রহকে খালি চোখেই দেখা যাবে। কিন্তু বিক্ষিপ্ত আলো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। মঙ্গল ও শনি গ্রহ দেখা সহজ হবে।
প্রফেসর ড্যানির মতে, এই ঘটনায় কিছু গ্রহকে খালি চোখেই দেখা যাবে। কিন্তু বিক্ষিপ্ত আলো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। মঙ্গল ও শনি গ্রহ দেখা সহজ হবে।
সমস্ত গ্রহগুলি তির্যক বিন্যাসে দৃশ্যমান হবে, যার মধ্যে শনি থাকবে শীর্ষে। এর পরে নেপচুন, তারপর মঙ্গল, ইউরেনাস এবং বুধ থাকবে। বৃহস্পতি দিগন্তের সবচেয়ে কাছে উপস্থিত হবে।
সমস্ত গ্রহগুলি তির্যক বিন্যাসে দৃশ্যমান হবে, যার মধ্যে শনি থাকবে শীর্ষে। এর পরে নেপচুন, তারপর মঙ্গল, ইউরেনাস এবং বুধ থাকবে। বৃহস্পতি দিগন্তের সবচেয়ে কাছে উপস্থিত হবে।
আগামী ৩ জুন এই বিরল দৃশ্যটি দেখা যাবে আকাশে৷ কখন এবং কোথায় দেখতে হবে তা জানতে নাসার মোবাইল অ্যাপে চোখ রাখতে পারেন।
আগামী ৩ জুন এই বিরল দৃশ্যটি দেখা যাবে আকাশে৷ কখন এবং কোথায় দেখতে হবে তা জানতে নাসার মোবাইল অ্যাপে চোখ রাখতে পারেন।
আপনি অগাস্ট এবং জানুয়ারি ২০২৫-এও এই ভাবে দেখা যাবে গ্রহদের। এর পর আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাতটি গ্রহ সরলরেখায় দেখা যাবে।
আপনি অগাস্ট এবং জানুয়ারি ২০২৫-এও এই ভাবে দেখা যাবে গ্রহদের। এর পর আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাতটি গ্রহ সরলরেখায় দেখা যাবে।

একক মহাকাশ অভিযানের জন্য প্রস্তুত ‘ব্যোমমিত্রা’, ইসরো-র ‘গগনযান’ অভিযানের আগেই মহাকাশে পাড়ি দেবে মহিলা রোবট মহাকাশচারী

ইসরো-র ‘গগনযান’ অভিযানের আগেই মহাকাশে পাড়ি দেবে ভারতের মহিলা রোবট মহাকাশচারী — ‘ব্যোমমিত্রা’। রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং এই কথা জানিয়েছেন। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী (ইন্ডিপেন্ডেন্ট চার্জ)-র মতে, চলতি বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিক নাগাদ ব্যোমমিত্রা মিশন হওয়ার কথা। মানুষচালিত অভিযান ‘গগনযান’ আবার দেশের প্রথম মানুষচালিত মহাকাশযান। ওই যানে যাবেন ভারতীয় মহাকাশচারীরা। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে এই অভিযান হওয়ার কথা।

এদিকে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার রোবটটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্যোমমিত্রা’। এই নামটা এসেছে সংস্কৃত শব্দ থেকে। ‘ব্যোম’ শব্দের অর্থ হল মহাকাশ আর ‘মিত্র’ শব্দের অর্থ হল বন্ধু। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, ওই মহিলা রোবট মহাকাশচারীর মধ্যে মডিউল প্যারামিটার, ইস্যু অ্যালার্ট মনিটর করা এবং লাইফ সাপোর্ট অপারেশন কার্যকর করার ক্ষমতা রয়েছে। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ৬টি প্যানেল পরিচালনা এবং প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মতো কাজও করতে পারবে সে।

আরও পড়ুন-                            একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা

ড. জিতেন্দ্র সিংয়ের আরও ব্যাখ্যা, ব্যোমমিত্রা মহাকাশচারীকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে মহাকাশের পরিবেশে মানুষের কার্যকলাপ অনুকরণ করতে পারে। সেই সঙ্গে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের সঙ্গে যোগাযোগও গড়ে তুলতে পারে।

আরও পড়ুন-                            একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা

উল্লেখযোগ্য ভাবে, গগনযান চালু করার আগে পরীক্ষামূলক যান ফ্লাইট টিভি ডি১ গত বছরের ২১ অক্টোবরই সম্পন্ন হয়েছিল। এটি ক্রু এস্কেপ সিস্টেম এবং প্যারাসুট সিস্টেমের যোগ্যতা অর্জনের উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। একটি অফিসিয়াল বিবৃতি অনুযায়ী, সমস্ত প্রস্তুতিই সম্পন্ন। এর মধ্যে অন্যতম হল, লঞ্চ ভেহিকেলের মানবিক রেটিং সম্পন্ন করা এবং সমস্ত পরিচালনার পর্যায়ের যোগ্যতাও পর্যালোচনা করা।

গগনযান প্রকল্পটি ৪০০ কিলোমিটার কক্ষপথে মহাকাশচারীদের একটি ক্রু চালু করবে। তারপরে ভারতে সমুদ্রের জলে অবতরণ করিয়ে মানব মহাকাশচারীদের নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে। ড. জিতেন্দ্র সিং জানান, গগনযান ৩ গত বছরের ২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করেছে। আর তা প্রত্যাশা অনুযায়ী স্বাভাবিক ভাবেই কাজ করছে। এর দ্বারা পাঠানো ইনপুটগুলি সময়ে সময়ে শেয়ার করা হবে।