খাল থেকে উদ্ধার করা হয় বাংলাদেশী সাংসদের দেহাংশ

Crime News: রহস্যের জট কাটেনি! বাংলাদেশের সাংসদ খুনের অভিযুক্ত সিয়ামকে নিয়ে দেহাংশ তল্লাসি

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বাংলাদেশি সাংসদ খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সিয়ামকে গ্রেফতার করার পরই রবিবার বাগজেলা খাল এলাকায় এনে তল্লাশি চালানো সিআইডির বিশেষ তদন্তকারী আধিকারিকরা। ডিএমজির সদস্য এবং ভারতীয় নৌসেনাদের সঙ্গে নিয়ে এদিন সিআইডির তদন্তকারী সদস্যরা বাগজেলা খালের কৃষ্ণমাটি এলাকায় আসেন। এলাকা শনাক্তকরণের পরেই ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

সাংসদ খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দফায় দফায় একাধিকবার ভাঙড়ের এই বাগজোলা খাল এলাকায় তাদের নিয়ে এসে তল্লাশি চালালেও এখনও পর্যন্ত বাগজোলা খাল থেকে সংসদের কোনও দেহাংশ পাওয়া যায়নি। রবিবার মূল অভিযুক্ত সিয়ামকে নিয়ে এসে আদতে কিছু পাওয়া যায় কি না, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম খুনের ঘটনায় ধৃত মহম্মদ সিয়াম হোসেনকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাগজোলা খাল থেকে হাড়গোড় উদ্ধার করল সিআইডি। রবিবার সকালে সিয়ামকে নিয়ে ভাঙড় এলাকায় পৌঁছে বাগজোলা খালে নামেন সিআইডি আধিকারিকেরা। সেখান থেকে উদ্ধার হয় হাড়গোড়। তবে সেই হাড় বাংলাদেশের সাংসদেরই কি না, তা স্পষ্ট নয়। ফরেন্সিক পরীক্ষায় তা জানা যাবে। সূত্রের খবর, একটি ঝোপের পাশ থেকে হাড়গোড়গুলি উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: কেমন মাছ গেঁথেছে বঁড়শিতে! ভোট শেষে খোশমেজাজে মাছ ধরছেন দিলীপ ঘোষ 

আরও পড়ুন: বাজার ভরবে লোভনীয় ইলিশে! গত বছরের আকাল কাটিয়ে কি এবার ইলিশ জোয়ার? দিঘায় বড় খবর!

বাংলাদেশের সাংসদ খুনে বড় সূত্র পেতে চলেছে সিআইডি। রবিবার সকালে সিয়ামকে নিয়ে ভাঙড়ের পোলেরহাট থানা এলাকার কৃষ্ণমাটিতে বাগজোলা খালে নামে সিআইডি। তল্লাশির পর একটি ঝোপের পাশ থেকে বেশ কিছু হাড়গোড় উদ্ধার হয়। হাড়গুলি প্রাথমিক ভাবে দেখে অনুমান, সেগুলি মানুষেরই। যদিও তা আনোয়ারুল আজিমেরই কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সেই জন্য করতে হবে ফরেন্সিক পরীক্ষা।

প্রসঙ্গত, নিউ টাউনের অভিজাত আবাসনে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে কিলো পাঁচেক ছোট ছোট মাংসের টুকরো উদ্ধার করেছিল সিআইডি। সেই মাংস কি আনোয়ারুলেরই, তা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ বার হাড়গুলিও ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে সিআইসি সূত্রে খবর। হাড়গুলি যদি সত্যিই বাংলাদেশের সাংসদের হয়, তা হলে সেটা হবে এই মামলায় সিআইডি তদন্তে বড় অগ্রগতি । তবে তা ফরেন্সিক পরীক্ষায় জানা যাবে না। এ জন্য প্রয়োজন হবে ডিএনএ প্রোফাইল করার। সে জন্য নমুনা সংগ্রহ করতে হবে আনোয়ারুলের রক্তের সম্পর্কিত কারও থেকে। সিআইডি সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরো বা হাড়ের ডিএনএ প্রোফাইল করতে আনোয়ারুলের কন্যাকে বাংলাদেশে তলব পাঠানো হয়েছে। তিনি এসে নমুনা দেবেন বিশেষজ্ঞদের।

শুক্রবার বাংলাদেশ সীমান্তের কোনও এক জায়গা থেকে সিয়ামকে গ্রেফতার করে সিআইডি। শনিবার বারাসত আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁক ১৪ দিন পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। তারপর রবিবার সকালেই সিয়ামকে নিয়ে কৃষ্ণমাটিতে পৌঁছে গেলেন সিআইডি আধিকারিকরা।

সিআইডি সূত্রে খবর, গত ১৩ মে আনোয়ারুলকে খুনের পরে নিউ টাউনের অভিজাত আবাসন থেকে সাংসদের দেহের অংশ ট্রলি সুটকেসে করে কৃষ্ণমাটিতে বাগজোলা খালে ফেলে দিয়েছিল সিয়াম। সঙ্গে ছিল খুনের মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত জিহাদ হাওলাদার। জিহাদকে আগেই গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। খালে দেহ ফেলে আবার নিউ টাউনের অভিজাত আবাসনেই ফিরে এসেছিল সিয়াম বলে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। গত ১৬ মে বিহার হয়ে নেপালে পালিয়ে যায় সিয়াম।

সুমন সাহা